নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ০৩ অক্টোবর, ২০১৮
এ মাসেই মন্ত্রীদের পদত্যাগের জন্য বলা হতে পারে। সাধারণত মন্ত্রীদের পদত্যাগের এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হয়। তবে এও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার পর গঠন করা হবে নির্বাচনকালীন সরকার। ৩০ অক্টোবর থেকে তিন মাস সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতার কথা বিবেচনায় নিলে নির্বাচন কমিশন আগামী মাসের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। (কালের কণ্ঠ)
অন্যান্য সংবাদ
হার্ডলাইনে সরকার
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার হঠাৎ করে হার্ডলাইনে। বিশেষ করে গত সোমবার রাজধানীর ৩২ থানায় শীর্ষ নেতারাসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা দায়েরের পর এটাই এখন দেশজুড়ে আলোচনার বিষয়। সরকারের সংশ্নিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ১০ অক্টোবর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নাশকতা ঠেকাতে এবং বিএনপিকে চাপে রাখতেই এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে। (সমকাল)
এগিয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীরা
দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এমন এমপিদের কেউ মনোনয়ন পাবেন না। যারা কাজ করেছেন, উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন, জনপ্রিয়, মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে তারাই এগিয়ে থাকবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং এটা মাথায় রেখেই প্রার্থী বাছাইয়ে শাসক দলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এরই মধ্যে প্রায় একশ’ জনের মতো জনবিচ্ছিন্ন ও নানা অভিযোগের তীরবিদ্ধ এমপির তালিকা প্রস্তুত করেছেন দলটির হাইকমান্ড। তালিকাভুক্ত এমপিদের আসনে উঠে এসেছে স্বচ্ছ ও জনপ্রিয় নতুন মুখ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে এসব জনপ্রিয় ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাদের প্রার্থী করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় আওয়ামী লীগ। দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। (যুগান্তর)
দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশু শিক্ষার আওতায় আসবে
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারসহ ১৫ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সেইসঙ্গে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনার জন্য একটি প্রকল্প সংশোধন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ২১৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৮ হাজার ৪৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৪৪৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ২৯০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পের মাধ্যমে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর ২২৭ কি.মি. দৈর্ঘ্যে ১০০ মিটার প্রস্থ ব্যাপী ড্রেজিং এর মাধ্যমে ৩ মিটার গভীর করে নৌপথটি ক্লাস-২ নেভিগেশনাল রুটে উন্নীত করা হবে। (ইত্তেফাক)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।