নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০১৮
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের জন্য বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল মন্ত্রিসভার অনুমোদনের একদিন পরেই আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকার সকল সরকারি দফতর, স্বায়ত্বশাসিত/আধা-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়েগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭/০৩/১৯৯৭ তারিখের সম(বিধি-১)এস-৮/৯৫(অংশ-২)-৫৬(৫০০) নং স্মারকে উল্লিখিত কোটা পদ্ধতি নিম্নরূপভাবে সংশোধন করিল:
(ক) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হইবে; এবং
(খ) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হইল।’ এই আদেশ ‘অবিলম্বে কার্যকর হইবে’ বলেও উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
কোটা বাতিলের প্রতিবাদে শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আন্দোলন চলাকালীন সময়ের মধ্যেই এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হল।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে নবম থেকে ত্রয়োদশতম গ্রেডে নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৫ শতাংশ কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। কোটা পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশির ভিত্তিতে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোটা বাতিলের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোনো কোটা থাকবে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৫৫ শতাংশ পদে নিয়োগ করা হয় অগ্রাধিকার কোটায়। অগ্রাধিকার কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা। ২০১২ সালে বিদ্যমান অগ্রাধিকার কোটায় কাঙ্ক্ষিত যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই কোটা থেকে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম করা হয়। এছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে পোষ্য, আনসার-ভিডিপিসহ আরও কিছু কোটা রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।