নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নয়টি ধারা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুদ্রিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ।
আজ সোমবার অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন থেকে সরকারের কাছে সংসদের আগামী অধিবেশনেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে। দেশের নামকরা মোট ১৬টি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা ব্যানার হাতে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে ১০ মিনিটের এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের অভিযোগ ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থী।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম এ কর্মসূচিতে সাত দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আশা করব, আমাদের এই দাবি সরকার গ্রহণ করবে এবং এই সংসদের শেষ অধিবেশনেই যথাযথ সংশোধনী এনে এই আইনটি সবার জন্য গ্রহণযোগ্য আইন উনারা করবেন।’
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রী বলছেন আলোচনার দরজা বন্ধ হয়নি, আমরাও মনে করি না আলোচনার দরজা বন্ধ। তবে আলোচনার নামে প্রহসন যেন না হয়। আমরা আলোচনায় গেছি, আমরা অত্যান্ত বিশ্বাস নিয়ে গেছি। কিন্তু সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন এখনো হয়নি।’
অন্যদের মধ্যে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এইজের সম্পাদক নূরুল কবীর, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, করতোয়া সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনিরুজ্জামান।
সম্পাদক পরিষদের সাত দফা দাবিগুলো হলো:
১. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নয়টি ধারা যথাযথভাবে সংশোধন করা
২. বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনেই এসব সংশোধনী আনা
৩. পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থার মাধ্যমে কোনো সংবাদ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানোর ক্ষেত্রে তাদেরকে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু আটকে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে, কিন্তু কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থা বন্ধ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। আর কেবল তখনই প্রকাশের বিষয়বস্তু আটকানো যাবে, যখন যখন ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়বস্তু আটকে দেওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারবে
৪. কোনো সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থা আটকে দেওয়া বা জব্দ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিতে হবে
৫. সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবীদের সাংবাদিকতার দায়িত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের পেশাজীবীদের কোনো অবস্থাতেই পরোয়ানা ছাড়া ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ছাড়া আটক বা গ্রেপ্তার যাবে না
৬. গণমাধ্যমের পেশাজীবীর বিরুদ্ধে মামলার গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা তার প্রাথমিক তদন্ত প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে করাতে হবে। সেজন্য প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে হবে
৭. তথ্য অধিকার আইনকে ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওপর প্রাধান্য দিতে হবে
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।