ইনসাইড বাংলাদেশ

নৌকায় ভোটের ওয়াদা করুন ও অন্যান্য সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য আরেকবার আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় এক জনসভায় তিনি ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা  আরেকটি বার আওয়ামী লীগকে ভোট দিন। অতীতে ভোট দিয়েছেন, আগামী দিনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই। প্রতিজ্ঞা করেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।’ (কালের কণ্ঠ)

অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগের একজনও বেঁচে থাকত না :জয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপি যদি আমাদের মতো টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকতো, তাহলে আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মীও বেঁচে থাকতো না। আওয়ামী লীগ বিএনপি না, আমাদের চরিত্র তাদের মতো না। আমরা খুনি না, আমরা সন্ত্রাসী না। আওয়ামী লীগ হচ্ছে স্বাধীনতার দল। গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘২১ শে আগস্ট: বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান-ভবিষ্যত্’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। (ইত্তেফাক)

মাদক ব্যবসায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

ইয়াবা (অ্যামফিটামিন), কোকেন, হেরোইন পরিবহন, কেনাবেচা, ব্যবসা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তান্তর, সরবরাহ ইত্যাদি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে। গতকাল শনিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনের বৈঠকে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর আগে বিলের ওপর আনা সংশোধনী, যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ২২ অক্টোবর বিলটি উত্থাপন করা হয়। তফসিলের ৭ অনুচ্ছেদ থেকে ১৫ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নয়টি ক্ষেত্রে ক শ্রেণিভুক্ত মাদকের বিভিন্ন পরিমাণ উল্লেখ করে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। (সমকাল)

সাত দফা না মানলে শাস্তি হবে কল্পনাতীত: ড. কামাল

বিশিষ্ট আইনজীবী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সময় থাকতে সাত দফার আলোকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সাত দফা এখন জনগণের দাবি। এটা উপেক্ষা করলে যে শাস্তি পেতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারবেন না। তিনি বলেন, দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ, হাত তুলে রায় দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ হলে অনেক অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। একাত্তরে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা এনেছে। আপনারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। (যুগান্তর)

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি       



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।

এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।  

এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়। 

এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় সংসদ   স্পিকার   ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী   আইপিইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ২৯ রমজানেও খোলা থাকছে অফিস!

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।

আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
 
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।

তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
 
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।

এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।


সরকারি অফিস   ঈদুল ফিতর   অফিস টাইম   রমজান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইউনূস সেন্টারের ধৃষ্টতা!

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে- প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এ ঘটনায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার করায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ প্রদান: বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের বক্তব্য’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ইউনেস্কো কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

‘ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেস্কো সদরদপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।’

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতরও যখন ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয় এবং এটিকে প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার বলে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। এরপরও ইউনূস সেন্টার ড. ইউনূসের ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা পাওয়ার বিজ্ঞপ্তি তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়নি বা প্রত্যাহার করেনি। ফলে সেন্টার ড. ইউনূসের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাকে ভয়ঙ্কর ধৃষ্টতা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এ সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। সম্মেলনের আয়োজক ছিল নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার।   

ইউনূস সেন্টার   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বনানী অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ২৬ জন। আর আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

একই বচরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য। 

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।


অগ্নিকাণ্ড   এফআর টাওয়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদে নৌরুটে ফেরি বাড়ছে: বিআইডব্লিউটিসি

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ফেরি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ কে এম মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপার নিশ্চিতসহ সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামাল দিতে আরও পাঁচটি ফেরি বাড়ানো হবে। আর এ রুটে ৩০টি লঞ্চ চলাচল করবে।

ঘাট যানজটমুক্ত রাখতে ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান। 


ঈদ   নৌরুট   ফেরি   বিআইডব্লিউটিসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন