ইনসাইড বাংলাদেশ

‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের চরম শাস্তি দেওয়া হোক’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

‘পরিবহন শ্রমিকরা কয়েকদিন পরপর এভাবে হঠাৎ করে পরিবহন বন্ধ করে মানুষকে কষ্ট দেয়, এটা ঠিক না। কিছুদিন পরপর এমন অরাজকতা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের  আইনের আওতায় এনে চরম শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের লাইসেন্স বাতিল করার দাবি করছি সকারের কাছে।’

উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তির শিকার মিরপুর ১ নম্বর নিবাসী এবং ধানমন্ডি ২৭ এ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আলম সরকার। 

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে অফিসে আসার সময় অনেকে কষ্ট করে এসেছি। মিরপুর ১ নম্বর থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত হেটে এসেছি। কল্যাণপুর থেকে ধানমন্ডি ২৭ পর্যন্ত দুইজনে শেয়ার করে আসছি, রিকসায় ভাড়া লাগছে ১০০ টাকা। যাওয়ার সময় কিভাবে যাব, কত লাগবে আল্লাই জানে।’ 

শুধু আলম সরকার নয় পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে অসংখ্য মানুষ এমন ভোগান্তির কবলে পরে সীমাহীন কষ্ট পোহায়। 

‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধন এবং ৮ দফা দাবিতে শ্রমিকদের সারা দেশে টানা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রাজধানীতে সকাল থেকেই কোনও গণ পরিবহন চলাচল করে নাই। যার ফলে অফিসগামী মানুষজন চরম কষ্টে করে অফিস যেতে হয়। বাস না থাকায় অনেকেই পায়ে হেটে অফিসে অথবা গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে আবার পরিবহন অবরোধের সুযোগে রিকসা ও সিএনজি চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছামত কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করে নেয়।

সরেজমিনে ফার্মগেট এলাকায় দেখা যায়, প্রাইভেট গাড়ী এবং সিনজি, মোটর সাইকেল ছাড়া রাস্তায় আর কোনো যানবাহন নেই। অনেকক্ষণ পর পর একটা দুইটা বিআরটিসি গাড়ী আসলেও তা যাত্রীর তুলনায় অপর্যাপ্ত। তাই বিআরটিসির কোনো গাড়ী আসলেই উঠার জন্য হুড়োহুড়ি পরে যায়। বাধ্য হয়ে অনেকে বিআরটিসি বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে যেতেও দেখা যায়।   

ফার্মগেটে বাসের জন্য অপেক্ষারত হুমায়ুন কবির শিকদার নামের একজন আইনজীবী বলেন, ‘আমরা পরিবহন শ্রমিকদের কাছে দিনে দিনে জিম্মি হয়ে পড়ছি। যখন আইনটা সংসদে উঠলো তখন তাঁরা কিছু বললো না, এখন আইন পাশ হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা কেন এভাবে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আজকে প্রায় সবাই সময়মত তাদের অফিসে যেতে পারে নাই, কাজ করতে পারে নাই। শারীরিক কষ্টতো হচ্ছেই মানুষের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।’

সেফা আক্তার নামে আরেকজন নারী যাত্রী ঘণ্টা খানেক সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে বাংলা ইনসাইডারকে জানান। তার কাছে পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনো দরকার আছে? পুরান ঢাকা থেকে হেটে এবং রিকসায় ফার্মগেট আসলাম। মিরপুর দশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। মনে হচ্ছে বাকি পথও হেটেই যেতে হবে। 

সাজ্জাদ হোসেন নামে মকবুল হোসেন কলেজে দর্শনের তৃতীয় বর্ষের পরিক্ষার্থী বলেন, আজকে আমার ফাইনাল পরীক্ষা ছিল, ভোর পাঁচটার সময় সাভার থেকে রওনা দিয়েছি, অনেক কষ্টে কলেজে পৌঁছেছি। পরীক্ষা শেষে এখন আবার বাড়ী ফেরার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। পরিবহন শ্রমিকরা যা ইচ্ছা তাই করছে, দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।

বারডেম হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ দাদিকে দেখতে এসেছিলেন মুন্সিগঞ্জ থেকে আলমগীর হোসেন নামের একজন মাদ্রাসার ছাত্র। দাদিকে হাসপাতালে দেখে শ্যাওড়াপাড়ায় তার চাচার বাসায় যাবেন কিন্তু রাস্তায় বাস না পেয়ে হাটা শুরু করেছেন।

মিরপুর কাজিপাড়া যাওয়ার জন্য কাওরান বাজারে অপেক্ষামান নুরুল হক নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের নেতারাইতো সরকারে আছে। শ্রমিকদের কোনও দাবী দাওয়া থাকলে তা সকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লোকদের সঙ্গে বসেতো সমাধান করা যায়। তা না করে কার নির্দেশে জনসাধারণকে এমন কষ্ট দেওয়া হচ্ছে তাদের খুঁজে বের করা দরকার। তাদেরকেই আগে শাস্তি দেওয়া দরকার।

পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আজ ঢাকায় যারাই বাসা থেকে হয়েছে, বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য প্রায় সবাই সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগে শিকার হয়েছেন। সকলের কন্ঠেই পরিবহন শ্রমিকদের এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ ও হতাশা লক্ষ করা যায়। পরিবহন শ্রমিক ও সরকারের কাছে ধর্মঘট প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোড় দাবিও করেন সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ।   

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন

প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালের ৫ম তলায় কার্ডিয়াক আইসিইউ-তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।

রাজধানী   শিশু হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালীতে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের নির্বাচন কাজে শ্রমিকদের মন্দিরে আগুন দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এতে দুই সহদর নিহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

নিহত দুই সহদরের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নে ঘোপঘাট গ্রামে। তবে আহতদের সবার পরিচয় জানা যায়নি।  


ফরিদপুর   গণপিটুনি   নির্মাণ শ্রমিক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে চলে যায় বাস, নিহত ১

প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে গেছে। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে করেছেন।

নিহতের নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে এখন। সুরতহাল শেষে নিয়ন্ত্রণ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


বিমানবন্দর   তৃতীয় টার্মিনাল   দূর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র স্বচ্ছতার সঙ্গে বাছাই করা হবে

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে। সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাছাই কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্রগুলোকে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর দিয়েছেন। এ সময় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘সরকারি অনুদান দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করা মোট ১৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ৪৫টি চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে’।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাছাই কমিটির সদস্যরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করা চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনার উপর আলাদা আলাদাভাবে নম্বর দিয়েছেন। পরে সব সদস্যদের নম্বরগুলো গড় করে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে’। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)–এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়।


চলচ্চিত্র   সচিবালয়   তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়   প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ এ আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মেলায় নজর কেড়েছে ৭৫০ কেজি ওজনের ষাঁড়

প্রকাশ: ১২:৪৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বয়স ৩ বছর, লম্বা ৯ ফুট, ওজন ৭৫০ কেজি। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বিশাল দেহের ষাঁড়টি সবার নজর কেড়েছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মেলায় ষাঁড়টি প্রদর্শন করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। মেলায় ষাঁড়টি প্রদর্শন উদ্বোধন করেন জয়পুরহাটের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক সরকার মো. রায়হান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান। বক্তারা প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রদর্শনীতে ৪০টি স্টল আছে। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়টি সবার নজর কেড়েছে। ষাঁড়টি মেপে ৭৫০ কেজি ওজন পাওয়া গেছে।

মেলায় ৪০টি স্টলে উন্নত জাতের বিভিন্ন প্রাণী, দুগ্ধজাত খাবার ও যন্ত্রাংশের ব্যবহার প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড় অতিথি ও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। ষাঁড়ের মালিক আক্কেলপুর পৌর শহরের হাস্তাবসন্তপুর মহল্লার জোবাইদ হোসেন। তিনি পেশায় পশুচিকিৎসক। ১৫ বছর ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। এ পেশায় আসার আগে থেকে বাড়িতে বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করছেন।

জোবাইদ হোসেন বলেন, ‘এখন তার বাড়িতে বিদেশি জাতের তিনটি গরু আছে। এর মধ্য দুটি ষাঁড় ও একটি গাভি। ষাঁড় দুটির একটি ফ্রিজিয়ান জাতের, অন্যটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। গাভিটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। সেটিও এখন গর্ভবতী। তবে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড় ও গাভির মায়ের জাত ছিল ভিন্ন। তাদের মায়ের জাত ছিল শাহিওয়াল। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বীজ সংগ্রহ করে শাহিওয়াল জাতের গাভিতে দেওয়া হয়। এতে শাহীওয়াল জাতের গাভি থেকে শতভাগ ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বাছুর হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়ের বয়স তিন বছর। এ বয়সে ষাঁড়টি ৯ ফুট লম্বা। ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও স্কয়ার মেপে ওজন ৭৫০ কেজি পাওয়া গেছে’।

প্রতিবেশী শামীম হোসেন বলেন, ‘জোবাইদ অনেক আগে থেকে বাড়িতে বিদেশি গরু লালন-পালন করছেন। গরু লালন-পালন করতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে পশুচিকিৎসক হয়েছেন। তিনি নতুন নতুন জাতের বড় বড় গরু লালন–পালন করেন’।

জোবাইদ হোসেন বলেন, ‘ষাঁড়টি প্রতিদিন পাঁচ-সাত কেজি দানাদার খাবার, কাঁচা ঘাস ও খড় খায়। এতে প্রতিদিন ষাঁড়ের পেছনে ৫০০ টাকার মতো খরচ হয়। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের গরুর দুধ ও মাংস বেশি হয়। এখন তাঁর ষাঁড়ের দাম আট লাখ টাকা হবে। তবে তিনি ষাঁড়টি এখনই বিক্রি করবেন না। এ ষাঁড় থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন। বীজ প্রজনন উন্নয়নের জন্য তিনি ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। খামারিদের এ জাতের গরু পালনে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী মেলায় ষাঁড় এনেছিলেন। প্রদর্শনী মেলায় ব্রাজিলিয়ান ষাঁড়টি দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছেন’।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন