নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার মুখ্য আসামি খালেদা জিয়া। মুখ্য আসামি অন্য আসামিদের চেয়ে কম সাজা পেতে পারেন না। কিন্তু নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ে, খালেদা জিয়ার দণ্ড পাঁচ বছর হলেও অন্য পাঁচ আসামির দণ্ড দেওয়া হয়েছিল ১০ বছর। তাই সাজা বাড়ানো হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাইকোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম একথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে জিয়া অরফানেজ মামলার মুখ্য আসামি খালেদা জিয়া। তাই হয়তো আদালত বেগম জিয়ার সাজা বাড়িয়েছেন।’
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যাক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। শুধুমাত্র দণ্ড মওকুফ হলে এবং খালাস পেলেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
আজ সকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন আদালত। খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এছাড়া তারেক জিয়াসহ মামলার অপর ৫ আসামির সাজা ১০ বছর বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। রায়ে খালাস চেয়ে করা খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির আপিল আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।