নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপের জন্য আগামী ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের কাছে আমন্ত্রণের চিঠিটি পৌঁছে দেন।
এই উদ্দেশ্যে গতকাল সোমবার রাতেই আবদুস সোবহান গোলাপকে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। গোলাপের হাতে চিঠি দিয়ে বলেন, সকাল বেলাই যেন এই চিঠি ড. কামাল হোসেনের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘চাচার কাছে জানতে চাইবে উনি কী খাবেন।’
আজ সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় যান এবং বাসায় গিয়ে তিনি ড. কামালের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি হস্তান্তর করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক তিনি ড. কামাল হোসেনকে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আপনাকে নৈশভোজ করতে বলেছেন এবং জানতে চেয়ে আপনি কী খেতে চান আর আপনারা কতজন আসবেন। ড. কামাল হোসেন এসময় গোলাপকে বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্টু (গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু) জানিয়ে দেবে।’
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকাকালীন সময়ে ড. কামাল হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আইনমন্ত্রী ছিলেন। পরে ড. কামালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও অর্পণ করেন বঙ্গবন্ধু। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে চাচা বলে ডাকতেন।
পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন। এরপর দলীয় সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি যখন প্রথমবারের মতো দেশে ফিরে আসেন তখনও শেখ হাসিনা ড. কামাল হোসেনকে চাচা বলেই ডাকতেন। পরবর্তীতে অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সম্মান এবং শ্রদ্ধার জায়গা থেকে কখনোই সরে আসেননি।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ বিরোধী জোটের নেতা হওয়ার পরও ড. কামালকে সসম্মানে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা আবারও তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।