নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮
দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলের নেতৃত্বে থাকতে পারবে মর্মে জমা দেওয়া বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার দুপুরে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া দণ্ডিতরা পদে থাকতে পারবেন না— বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধনীতে বাদ দেওয়া এমন বিধান কেন বেআইনি ও সংবিধানের ৬৬ (ঘ)-এর পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী একমাসের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করায় ঢাকার কাফরুলের বিএনপিকর্মী মোজাম্মেল হোসেন সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির দলীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেই সংশোধনীসহ চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বিএনপি নির্বাচন কমিশনে যে নতুন গঠনতন্ত্র জমা দেয় তাতে দেখা যায়, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারাটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামের ওই ধারায় বলা ছিল, ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে ‘অযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবেন। তারা হলেন: (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি; (খ) দেউলিয়া; (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি; (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।”
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ের নির্ধারিত তারিখের মাত্র ১০ দিন আগে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে তাদের সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দেয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হলেও যেন তারা দলের নেতৃতে থাকতে পারেন, সেই সুযোগ করে দিতেই বিএনপি কৌশলে এই সংশোধনীর আশ্রয় নেয় বলে তখন মন্তব্য করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায় বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সের শিশু কন্যা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর নিকট আরবি পড়তো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬ টায় আরবি পড়তে শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী না আসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বিজ্ঞ আদালত এ পর্যন্ত মোট ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক এবং আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মন্তব্য করুন
কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।