নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৩ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আমরা কোনো তালিকা নিয়ে সংলাপ অংশগ্রহণ করবো না। আমরা চাই সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সংলাপে আমরা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করব। জাতীয় পার্টি আসন বেশি পেলে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
আজ শনিবার বিকালে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনই হয়তো আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আমরা ক্ষমতায় গেলে মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকবে। আমরা সরকার পরিচালনা করলে কোনো মানুষ খুন, গুম হবে না। কোনো মায়ের অশ্রু ঝরবে না। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দলটি (বিএনপি) আমাকে বিনা বিচারে ৬ বছর কারাগারে রেখেছিল। এখন সেই দলের প্রধান আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে আছেন। আর সেই নেত্রীর ছেলেও আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বিদেশে পলাতক আছে, সেও দেশে ফিরতে পারবে না। তাই এখন দেশের রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি আছে। শক্তিশালীভাবে নির্বাচন করলে আমরা ক্ষমতায় যেতে পারব।’
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।