নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ০৭ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল থাকবে কিনা সে ব্যাপারে সকল দায়-দায়িত্ব সরকারের।
আজ বুধবার বেলা চারটার দিকে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বল সরকারের কোর্টে। আমরা তো এ ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা হলেও সংবাদ সম্মেলনে জোটের মুখপাত্র মির্জা ফখরুলকেই বেশি কথা বলতে দেখা যায়।
সংলাপে সন্তুষ্ট কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্টের কথা এখন বলতে চাচ্ছি না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সন্তোষ আদায় করবো।’
সংলাপে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে জোরেসোরে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি খালেদা জিয়া তো আইনিভাবে জামিন পাওয়ার যোগ্য।’
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলেও আগামীতে সীমিত পরিসরে সরকারের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
আগামী বৃহস্পতিবার রাজশাহীর উদ্দেশ্যে লংমার্চ এবং পরশুদিন রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে কোনো সমঝোতা ছাড়াই সংলাপ শেষ হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
পিটার হাস নির্বাচন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।