নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে ১৩ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এদের দুইজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধীতার অভিযোগ রয়েছে। ফলে তাদের মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগও বিব্রত।
এ আসনে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক। গত বছর ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগে উপজেলায় একক আধিপত্য ছিল তাঁর। মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া এই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে সক্রিয় ছিলেন ১২ জন প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে।
উপ-নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরজ্জামান সরকার ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা এম. এ. করিম নৌকার প্রার্থীর বিরোধীতা শুরু করেন। মনিরুজ্জামান তখন নৌকার পরিবর্তে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রত্যাশী বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় ছাত্রলীগের সভায় তোপের মুখে পড়েন বলেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর এম. এ. করিম তার এক ঘনিষ্ঠজনকে মোবাইল ফোনে নৌকা প্রতীক যেন ভোট না পায় সেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তবে দলীয় নেতাদের বিরোধীতার পরও ভোটের লড়াইয়ে সংগ্রাম বিজয়ী হন।
আবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছায়েদুল হকের স্ত্রী দিলশাদ আরা মিনু, মনিরুজ্জামান সরকার ও এম. এ. করিম ১১ জনের একটি জোট গঠন করেছেন। জোটের নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলীয় সাংসদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন।
জোটের বাকি নেতারা হলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ সম্পাদক নাজির মিয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী প্রজন্ম লীগের সহসভাপতি ইখ্তেশামুল কামাল, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগ নেত্রী এম.বি কানিজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি রাখেশ সরকার, নাসিরনগর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আলমগীর, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ এহসানুল হক ও জেলা কৃষক লীগের সদস্য মো. আলী আশ্রাফ।
নৌকার বিরোধীতার পরেও নৌকার প্রার্থীতার বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, আমি সেক্রেটারি হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে পাশ করানোর জন্য অনেক করেছি। এজন্য এখানে প্রতিবার নৌকা জিতেছে। উপনির্বাচনে জাপার পক্ষে ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। এটা বর্তমান এমপির লোকজনের ষড়যন্ত্র।
নৌকার বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা এম. এ. করিম বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ আমার নয়। অন্যারা ষড়যন্ত্র করে পাঠিয়েছে। আমি নৌকার পক্ষে যে কাজ করেছি এলাকাবাসী জানেন। এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. রাফিউদ্দিন বলেন, উপ-নির্বাচনে আমি তাদের (মনিরুজ্জামান ও করিম) ইউনিয়নে বলেছি আপনাদের নৌকায় বসে নৌকা টানা খারাপ। যারা আওয়ামী লীগে থেকে নৌকার বিরোধীতা করে আমি তাদের ঘৃণা জানাই। নৌকার বিরোধীতা করে নৌকার প্রার্থী হওয়া নিন্দনীয়। দল থেকে যাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে আমরা তার জন্যই কাজ করবো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।