ইনসাইড বাংলাদেশ

‘টিউশনির টাকা জমিয়েই মনোনয়ন ফরম কিনেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪২ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন, সাংসদ হয়ে দেশ তথা জনসেবায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিব। দেশসেবায় রাজনীতির চেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম আর নেই। আমি টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ চালাই। বাবার মৃত্যুর পর আমি তাই করে আসছি। এই টিউশনির টাকা জমিয়েই মনোনয়ন ফরম কিনেছি।’

বাংলা ইনসাইডারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এবার সর্বকনিষ্ঠ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদুল হক জেমস (২৭)। ঢাকা-৭ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন তিনি। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য তাঁর সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো: 

আপনি নিজেকে তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে জাহির করছেন। আপনার কাছে তারুণ্যের ব্যাপারটা আসলে কি?

কবি নজরুল ইসলাম তারুণ্য দেখেছিলেন লেনিন, কামাল আতার্তুকের মাঝে। আমার কাছে তারুণ্য মানে শুধুমাত্র বয়সের বাঁধনে জড়ানো কোন বিষয় নয়। কর্মস্পৃহা,চিন্তা-চেতনায় আসল। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক শিক্ষিত, রুচিশীল,স্মার্ট,সুবোধ চিন্তার অধিকারী সবাই আসলে তরুণ। সেক্ষেত্রে, সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যের দৃষ্টান্ত। আবার, কর্মস্পৃহা ও বুদ্ধিদীপ্তটায় দেশরত্ন শেখ হাসিনাও আসলে তরুণ।

রাজনীতি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন?

অ্যারিস্টটল বলেছেন,মানুষ জন্মগত ভাবেই রাজনৈতিক প্রাণী। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ কোন কিছুই রাজনীতির বাহিরে নয়। রাজনীতির ব্যপ্তি অপরিসীম। আমি  এই দেশে জন্ম গ্রহণ করার পর এতদূর এসেছি, সেটার পেছনেও রাজনৈতিক পলিসির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব আছে।

আপনার রাজনীতিতে আসার পেছনের গল্পটা শুনতে চাই । কেন রাজনীতিতে এলেন?

আমি পারিবারিক ভাবেই রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছি। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি সনদ নেন নি। আমার মামা পদধারী আওয়ামীলীগের কর্মী। আবার এটাও নয় যে, শুধুমাত্র পারিবারিক আবহের কারণেই রাজনীতিতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছোটবেলা থেকেই আলাদা ভালোলাগা ছিল। স্কুল জীবন পর্যন্ত উনাকে নিয়েই পড়াশোনা ও জানাশোনার চেষ্টা করেছি। কলেজে আসার পর ১/১১ পেলাম। তখনই প্রত্যক্ষ রাজনীতি তথা মিছিলে যাওয়া শুরু। শেখ হাসিনার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শামিল হলাম।

একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দেয়ার সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা এসেছিল। সেটা লিখতে গিয়েই আবিষ্কার করলাম, বড় হয়ে রাজনীতিতে যেতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলাম।

বেশিরভাগ ছাত্রনেতা ছাত্রলীগ শেষ করার পর অন্যান্য সহযোগী সংগঠনে যোগ দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির পর আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। আপনি তা করলেন না কেন?

এটা আসলে যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এক এক জনের সিদ্ধান্ত এক এক রকমের হবে। আমি মনে করি, ছাত্রলীগ করার পর বুকের ভিতর অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকে, আমি সেটাকেই কাজে লাগাতে চাচ্ছি। ছাত্রলীগ আমার কাছে অদম্য সাহস, অদম্য ইচ্ছাশক্তি এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। আপনি যদি জাতির পিতাকে অনুসরণ করেন দেখবেন, তিনি অল্প বয়সেই মন্ত্রী হয়েছিলেন। আমাদের জুনায়েদ আহমেদ পলক ভাইও খুবই তরুণ। আবার, গাজীপুরের সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেলও খুবই তরুণ। এনালগ বাংলাদেশকে যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশে নিয়ে গেলেন সেই সজীব ওয়াজেদ জয়ও তরুণ। বৈশ্বিক রাজনীতির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখবেন,ফ্রান্সের এমানুয়েল ম্যাখোঁ, কানাডার জাস্টিন ট্রুডোও তরুণ। ইচ্ছাশক্তি ও কর্মস্পৃহা থাকলে অভিজ্ঞতাকেও জয় করা যায়।

ধরেন মনোনয়ন পেয়ে গেলেন। নির্বাচন করতে অনেক অর্থ লাগে বলে মিথ আছে। আপনি কোথায় পাবেন এত অর্থ?

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে জাতির পিতা তার নির্বাচনী খরচের সোর্স জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের এক আনা-দুই আনা, মানুষের ভালোবাসা তাকে বারবার নির্বাচিত করেছে। আমি যদি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে এটা বুঝাতে পারি যে, সুখে-দুঃখে আমি তাদের ঘরের ছেলের মত পাশে থাকব, তবে জিতে আসা কোন ব্যাপার না। আমি বিশ্বাস করি, ভালোবাসার শক্তির কাছে ব্যক্তিশক্তি মূল্যহীন।

প্রচার-প্রচারণায় কোন কোন বিষয়ের দিকে আলোকপাত করছেন?

প্রচার প্রচারণায় আমি সরকারের উন্নয়ন প্রচার করছি। পাশাপাশি এটা বুঝাচ্ছি যে, দশরত্ন শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আবার, ভোটাধিকার যে নাগরিকদের মর্যাদাবান করে এটাও বুঝাতে চাচ্ছি। আমি আমার আসনের ভোটারদের বুঝাতে চাচ্ছি, সার্বজনীন ভোটাধিকারের জন্য সার্বজনীন শিক্ষারও প্রয়োজন আছে। তাদের ভোটের মূল্যটা বোঝাতে চাচ্ছি।

যদি নির্বাচিত হন, তাহলে ঢাকা-৭ আসন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি?

আপনি জানেন ঢাকা-৭ আসন পুরান ঢাকায় অবস্থিত। পুরান ঢাকা নানান সমস্যায় জর্জরিত। এখানে ট্রাফিক জ্যাম, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা,পানি-গ্যাসের সমস্যা সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। শেখ হাসিনা বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বানিয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজিয়ে দিচ্ছেন। তাই, বাংলার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক আজ শেখ হাসিনা।

পুরাণ ঢাকার ঐতিহ্য বহাল রেখেই বসবাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণ করা যায়। সমবায়ের ভিত্তিতে জমি অধিগ্রহণ করে প্ল্যান করে পুনর্নির্মাণ করলে আমার বিশ্বাস পুরাণ ঢাকা হবে আইকনিক রেসিডেনশিয়াল এরিয়া। যেখানে যাতায়াত,পানি নিষ্কাশন অন্যান্য নাগরিক সুবিধাদি অনায়াসেই পাওয়া যাবে। সায়দাবাদ পানি শোধনাগারের মত পুরান ঢাকাকে উদ্দেশ্য করে নতুন পানি শোধনাগার নির্মাণ করা যেতে পারে। এতে পানি সমস্যার সমাধান হবে বলেই বিশ্বাস করি।

আপনি জানেন, পুরান ঢাকা দিয়ে বেড়িবাঁধ আছে। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে যাতায়াত সহজ করে দিলে মূল সড়কের উপর যানজট কমে যাবে অর্ধেক। ট্রাক স্ট্যান্ডের কারণে বেঁড়িবাঁধ ব্যবহারের কর্মদক্ষতা হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হাজারীবাগের ট্যানারি পুনর্নির্মাণ করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাতে আমরা শেখ হাসিনাকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখি ।

লন্ডন টেমস নদীর তীরে, আর আমাদের ঢাকা বুড়িগঙ্গার তীরে। ব্যস্ততার দিক থেকে বুড়িগঙ্গা টেমস নদীর চেয়ে কোন অংশেই কম না। সদরঘাট ও সোয়ারীঘাট প্ল্যান করে সাজালে সরকার আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে। বুড়িগঙ্গাকেও সঠিক রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে। নদী মাতৃক বাংলাদেশে বুড়িগঙ্গাকে গাবতলী পর্যন্ত জলপথ হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে সড়ক পথের উপর চাপ কমে যাবে। এই সরকারের সময়ই ওয়াটার বাস চালু হয়েছিল, যা আজ নেই বললেই চলে।

আপনি জানেন, ঢাকা-৭ এ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হওয়ায় এখানে শত শত পথ শিশু আছে। যারা সকল নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তরুণদের সঙ্গে নিয়ে আমি এদের জন্য কিছু করতে চাই। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছা শ্রমের বিনিময়ে ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি এই পথশিশুদের মূল ধারায় নিয়ে আসতে পারব বলেই আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তিনিই বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতাদের পিতার নামের পাশে আমার নাম লিখে দাও আর ঠিকানা দিয়ে দাও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর।’ আমি এই পথশিশুদের বাবার নামের জায়গায় শেখ মুজিবুর রহমান দিতে চাই, ছোট রাসেল যেভাবে বেড়ে উঠত, আমি তাদের সে ভাবেই বেড়ে তুলতে চাই। আর এই কর্মযজ্ঞে শেখ হাসিনাই আমার অনুপ্রেরণা।

আপনি যদি মনোনয়ন না পান, তারপর কি করবেন? রাজনীতিকেই কি পেশা হিসেবে নেবেন?

দেখেন, রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নেবার মত আপাতত পারিবারিক সক্ষমতা আমার নেই। আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মনোনয়ন কিনেছি। রাজনীতি আমি আজীবন করব। মনোনয়ন না পেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিবেন, তার জন্যই স্বার্থহীনভাবেই কাজ করব। নির্বাচনের পর নিজের ও পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য শিক্ষিত ছেলে হিসেবে এমন পেশাকেই বেছে নেব, যে পেশায় কাজ করার পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতি করা যায়। সেক্ষেত্রে, ছোটখাটো ব্যবসা দিয়েই শুরু করব ইনশাআল্লাহ।

আপনার জন্মস্থান ময়মনসিংহ। আপনি সেখান থেকে মনোনয়ন না কনে ঢাকা থেকে কিনলেন কেন?

দেখুন, আমি অনেক আগে থেকেই পুরান ঢাকায় থাকি। পুরান ঢাকাই আমাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দিয়েছে। পুরান ঢাকাই আমাকে জবি ছাত্রলীগের জেমস হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছে। এই পুরান ঢাকার মানুষেরাই আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমি সব সময় তাদের পাশে ছিলাম, তারাও আমার পাশে ছিল। পুরান ঢাকার মানুষদের সাথে আমার আত্মার বন্ধন।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪ মে থেকে শনিবারও খোলা থাকবে স্কুল

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

সূত্র জানায়, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও বন্ধ থাকবে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। 


স্কুল   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপমাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তা শীর্ষে অধ্যক্ষ মামুন


Thumbnail

বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শতাধিক রাস্তা, অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং উপজেলাবাসীকে হয়রানিমুক্ত নিরলস সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সৎ, নির্লোভ, শিক্ষিত ও ধর্মীয় অনুরাগী হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। 

গত ২দিন সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে এ দাবি সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করে তারা। 

উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোট নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ৫ বছরে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা পাঁকা করে দিয়েছেন। পানির সমস্যা দূরীকরণে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। এছাড়াও নতুন মাটির রাস্তা বাঁধাইকরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়াও চরবংশী ইউনিয়নের জেলেদের সাথে কোন ধরণের অন্যায়, জমি জবরদখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেননি। এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। 

উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী, ১নং উত্তর চরআবাবিল, ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ও ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের জনগণ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অধ্যক্ষ মামুন নির্বাচিত হওয়ার পর অন্যায় করেননি এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মানুষের উপকার ও এলাকার উনয়নে কাজ করেছেন। উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণ পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চায়। 

বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রবীন ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯১ সাল থেকে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ মামুন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সুণামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। 

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বাধিক সমর্থন নিয়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্বকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মামুনের নেতৃত্বে সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচিত হন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত কোন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কর্মকান্ড করেননি। দলের নেতাকর্মীরা তার সৎকম, নির্লোভ ও সন্ত্রাসমুক্ত কর্মকান্ডকে প্রচন্দ করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর। 

সরেজমিনে এলাকাবাসীর থেকে আরও জানা যায়, বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই। এসমন ভদ্র নম্র মানুষই রায়পুর উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারবে। এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায়। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দটি মনোনয়ন জমা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

লক্ষীপুর   রায়পুর উপজেলা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব'

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়, অনুমতি মিললে ঈদুল আজহার আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা। ভারত ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে। কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে ইথানল ব্যবহার সস্তা হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। ব্রাজিলের জীবন্ত গরু ও মাংস খাতে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রী জুনে ব্রাজিল সফরের কথা রয়েছে। যদি তিনি ব্রাজিল যান, তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি, তা হয়তো স্বাক্ষর হতে পারে।

পাওলো ফার্নান্দো আরো বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।


ব্রাজিল   রাষ্ট্রদূত   ডিক্যাব   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন