নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের হলফনামার সম্পদের হিসাবে নজর থাকবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব তারা সঠিকভাবেই দেবেন বলে প্রত্যাশা করছেন দুদক চেয়ারম্যান। দুদক সূত্র জানায়, সম্ভাব্য প্রার্থীদের হলফনামায় অর্থ-সম্পদের বৈধতা ও যথাযথ উৎস থাকতে হবে। আয়কর নথির হিসাবের সঙ্গে হলফনামার হিসাবের মিল থাকতে হবে। কোনো প্রার্থীর হলফনামার হিসাব অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মনে হলে তা অনুসন্ধান করা হবে। প্রয়োজনে সংশ্নিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগেও দুদক একাধিক প্রতিমন্ত্রী-এমপির হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। এবারও কমিশন হলফনামার অস্বাভাবিক সম্পদ অনুসন্ধানে নামবে। (সমকাল)
অন্যান্য সংবাদ
সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিতেই গলদ
দলীয় সরকারের অধীনে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুস্পষ্টকরণের অভাব রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর দলীয় সরকারের ‘রুটিন কাজ’ সংজ্ঞায়িত করা নেই। বর্তমান এমপিদের মধ্যে যারা মনোনয়ন পাবেন না তাদের কাজের ক্ষেত্রে আচরণবিধির কোন ধারা প্রযোজ্য হবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। প্রটোকলের পরিবর্তে নিরাপত্তার জন্য মন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ থাকলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। নির্ধারিত সময়ের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোটের প্রচার বৈধ না অবৈধ এ সংক্রান্ত কিছুই নেই। (যুগান্তর)
বেশির ভাগ এমপির নামই আ. লীগের তালিকায়
আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে পরিবর্তন আসছে খুব কমই। কোনো ঝুঁকিতে না যাওয়ার চিন্তা থেকেই দলের বেশির ভাগ বর্তমান এমপিকে এবারও মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এলাকায় যাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিভিন্ন সময়ে, সেই এমপিরাও এবার দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন। প্রতিপক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থীদের মোকাবেলার কৌশল হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান এমপিদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান এমপিদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল। দলের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। (কালের কণ্ঠ)
রাজনীতিতে নেতাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম
রাজনীতিতে আসছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বজনরা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের ২৩ জন স্বজন এবার নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপি নেতাদের ৩৭ জন স্বজন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী। নানা আইনি জটিলতার কারণে কোনো কোনো আসনে নেতারা দাঁড়াতে পারবেন না বলে স্বজনদের এনেছেন। কোথাও কোথাও নেতাদের উত্তরাধিকারীরা নৌকা ও ধানের শীষে প্রার্থী হতে চান। বিভিন্ন আসনের প্রবীণ সংসদ সদস্যরাও নিয়ে আসছেন তাদের ছেলেমেয়ে কিংবা ভাইদের। কেউ কেউ আবার আগেভাগে সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। কোথাও নেতার অবর্তমানে স্ত্রী, কোথাও আবার স্বামী-স্ত্রী দুজনই হতে চাইছেন প্রার্থী। একাধিক আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দুই ভাই। আছেন চাচা-ভাতিজাও। (ইত্তেফাক)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।