নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়াও রফিকুল ইসলাম মিয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,২০০১ সালের ৭ এপ্রিল সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সমস্যা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তার যাবতীয় সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার জন্য ৪৫ দিনের সময় দিয়ে একটি নোটিশ দেয় দুদক। ২০০১ সালের ১০ জুন তিনি দুদকের নোটিশটি গ্রহণ করেন।
নোটিশ গ্রহণ করার পরও তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০০১ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো সম্পদের হিসাব দাখিল করেনি।
হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় ২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের অফিসার লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শেষ করে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিভিন্ন সময় ৬ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।