নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ তারিখ ছিল ২৮ নভেম্বর। আসন্ন এ নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৩০০ আসনের বিপরীতে বিভিন্ন দল থেকে ৩০৫৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ অনান্য দলের আরো কয়েক হাজার ব্যক্তি মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। কিন্তু দলের সবুজ সংকেত না পাওয়ায় তারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
বাংলাদেশে কেনো এতো সংখ্যক লোক সংসদ সদস্য(এমপি) হতে চায়? এমপি হলে কি ধরণের লাভ এবং সুযোগ সুবিধা তাঁরা ভোগ করে তা অনেকেরই অজানা। তাই বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য যেসব সুযোগ-সুবিধা পান সেগুলো তুলে ধরা হলো,
১. সংসদ সদস্যদের মাসিক বেতন ৫৫,০০০ টাকা
২. নির্বাচনী এলাকার ভাতা প্রতিমাসে ১২,৫০০ টাকা
৩. সম্মানী ভাতা প্রতিমাসে ৫,০০০ টাকা
৪. শুল্কমুক্তভাবে গাড়ি আমদানির সুবিধা
৫. মাসিক পরিবহন ভাতা ৭০,০০০ টাকা
৬. নির্বাচনী এলাকায় অফিস খরচের জন্য প্রতিমাসে ১৫,০০০ টাকা
৭. প্রতিমাসে লন্ড্রি ভাতা ১,৫০০ টাকা
৮. মাসিক ক্রোকারিজ, টয়লেট্রিজ কেনার জন্য ভাতা ৬,০০০ টাকা
৯. দেশের অভ্যন্তরে বার্ষিক ভ্রমণ খরচ ১২০,০০০ টাকা
১০. স্বেচ্ছাধীন তহবিল বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা
১১. বাসায় টেলিফোন ভাতা বাবদ প্রতিমাসে ৭,৮০০ টাকা
১২. সংসদ সদস্যদে সংসদ ভবন এলাকায় এমপি হোস্টেল আছে থাকার জন্য।
এছাড়াও ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একজন সংসদ সদস্য প্রতিবছর চার কোটি টাকা করে থোক বরাদ্দ পান। এই বরাদ্দের পরিমাণ আগে ছিল দুই কোটি টাকা। থোক বরাদ্দের টাকা একজন সংসদ সদস্য তাঁর নিজের পছন্দ মতো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যায় করতে পারেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় পর্যায়ে নানা প্রকল্প যেমন কাজের বিনিময়ে খাদ্য, বয়স্ক ভাতা, নানা ধরণের সামাজিক নিরাপত্তা-বেষ্টনী সহ প্রায় ৪০ ধরণের প্রকল্প আছে। এসব প্রকল্প থেকে কারা কারা সুবিধা পাবেন সেটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের সম্মতির ভিত্তিতে বরাদ্ধ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় নানা প্রকল্পে প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা অগ্রাধিকার পেয়েছেন। আইন অনুযায়ী নির্ধারিত বেতন-ভাতার পাশাপাশি একজন সংসদ সদস্য তাঁর নির্বাচনী এলাকায় সবচেয়ে ক্ষমতাবান হিসেবে পরিচিত।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।