নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচন প্রতীক/মার্কা হিসেবে একজন পেলেন ‘হুক্কা’। তিনি কীভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন। ধূমপান বিরোধী আইন আছে। আইন অনুযায়ীই ধূমপান ও সংশ্লিষ্ট কোনো ধরনের প্রচারণা করা যাবে না। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণায় একজনের মার্কা ‘হুক্কা’ হলে তিনি কি এর প্রচারণা চালাবেন না। আর মার্কা প্রচলিত আইনের পরিপন্থীই হয়, তবে সেটি কীভাবে থাকে বরাদ্দের জন্য নির্বাচন কমিশনের তালিকাকৃত প্রতীক হয়।
নির্বাচন কমিশনের তালিকায় ৬৪ টি প্রতীক আছে। এর মধ্যে ৩৯ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের। যার মধ্যে আছে, নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল, উদীয়মান সূর্য ইত্যাদি। এর বাইরের প্রতীকগুলো নতুন কোনে দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বাছাই করে নিতে হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় একবার নজর বুলালেই প্রশ্ন উঠতে পারে প্রতীকগুলো কী বর্তমান সময়ের উপযোগী।
নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় হুক্কার মতো প্রচলিত আইনের পরিপন্থী মার্কা আছে। তেমনি এমন সব প্রতীক আছে যেগুলো বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে প্রায় অপরিচিত। কুলা, মাথাল, নোঙ্গর, শঙ্খ, হ্যারিকেন এসব প্রতীক কী সময়োপযোগী।
বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিচিত প্রতীক কেন থাকবে না। কেন মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার প্রতীক হবে না। হুক্কা, কবুতর, কুলা, মাথাল, নোঙ্গর, শঙ্খ, হ্যারিকেন কেন এখনো মার্কা হিসেবে ব্যবহার হবে-এই প্রশ্নগুলো তুলতে পারেন কেউ।
নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে তুলেছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়েও অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রতীকসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলোর দিকেও কমিশনের মনোযোগ দেওয়া উচিত বলেই মত বিশ্লেষকদের।
নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা দেখুন এই ঠিকানায়: http://www.ecs.gov.bd/bec/public/files/1/symbol/20085_20086.pdf
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন