নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
তিন আসনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে গতকাল দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি ইকবাল কবির বেঞ্চ। প্রার্থিতার আপিল নিষ্পত্তির আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আবেদনটি আবারও বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়েছেন। এর ফলে খালেদার নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়টি আবারও ঝুলে গেলো।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া। দুই দফা প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা আইনজীবীরা। গত সোমবার শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন দুই বিচারক। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়নকে বৈধ বলেছেন এবং রিটার্নিং অফিসারকে মনোনয়ন গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। জ্যেষ্ঠ বিচারপতির পক্ষে যুক্তি ছিল, খালেদা জিয়ার দুটি মামলাই আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির আপেক্ষায় আছে। আর আপিল বিভাগে যতক্ষণ পর্যন্ত মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত মামলাটি চলমান হিসেবে ধরা হয়। এই বিবেচনায় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বেগম খালেদা জিয়া বৈধ প্রার্থী বলে বিবেচনা করেছেন।
কিন্তু দুই সদস্যের বেঞ্চের কনিষ্ঠজন বিচারপতি ইকবাল কবির বেগম জিয়া নির্বাচন করার অযোগ্য বলে রায় দিয়েছেন। তাঁর রায়ের পক্ষে যুক্তি হলো: দণ্ড ও সাজা স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত একজন প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্য এমনটাই নির্দেশনা আছে আপিল বিভাগের। আর আপিল বিভাগের এই নির্দেশনার আলোকেই বেগম খালেদা জিয়ার যেহেতু নিম্ন আদালতে দণ্ড হয়েছে এবং উচ্চ আদালত সেই দণ্ড স্থগিত করেনি, তাই তিনি (বেগম জিয়া) নির্বাচন করার বৈধতা পেতে পারেন না।
রায়ের বিষয়টি আবারও বেঞ্চে ফেরত পাঠানোই খালেদা প্রার্থিতার বিষয়টি আবারও ঝুলে গেলো।
বাংলা ইসনাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন