নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভোট থেকে সরে দাঁড়াবে কিনা তা নিয়ে সংশয় কাজ করছে সরকারি দলে। সারা দেশে বিএনপি প্রার্থীরা এখনো আটঘাট বেঁধে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামেননি। এ কারণে তাদের ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকা না থাকার আলোচনা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই ভোটে জোয়ার তুলেই আবারও ক্ষমতায় আসতে চান। ইতিমধ্যে এই গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন দলের নীতিনির্ধারক ফোরাম। এ কারণে তিনি নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)
ড. কামালের গাড়িবহরে হামলা : আহত ৩০
স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার শিকার ড. কামাল হোসেন বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তারা ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে শহীদদের অবমাননা করেছে। এটা মেনে নেয়া যায় না, দেশের কোটি কোটি মানুষ মেনে নিতে পারে না।
তিনি বলেন, যারা দেশ শাসন করছে, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। আজ যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, জেনে রাখো, চিরদিন কেউ ক্ষমতায় থাকে না। আর কোনো সরকারও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই সরকার আর ১৬ দিন ক্ষমতায় আছে। সুতরাং তাদের বেআইনি আদেশ মানবে না।’ (যুগান্তর)
সহজ জয়েই সিরিজ বাংলাদেশের
রান-বলের হিসাব মেলানোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে ততক্ষণে। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৯০ বলে ২৩ রান আর কী এমন! রোমাঞ্চের টক্করটা তখন বরং ‘রানের সঙ্গে রানের’। জেতার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩ রান আর সেঞ্চুরির জন্য সৌম্য সরকারের দরকার ২০। পারবেন তিনি? পারেননি। আর সেটাই কাল স্বাগতিকদের আট উইকেটে ম্যাচ জয় এবং ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের একমাত্র হাহাকার। নাহ্, আরেকটি ছোট্ট হতাশাও রয়েছে। কেন যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরো বেশি কিছু রান করল না! তাহলে তো সৌম্যর পাশাপাশি সেঞ্চুরির সম্ভাবনা থাকত তামিম ইকবালেরও! ম্যাচের ফল ছাপিয়ে এমন ‘মধুর আক্ষেপ’ যখন বড় হয়ে ওঠে, তখন খেলায় বাংলাদেশের আধিপত্য সহজেই বোধগম্য। (কালের কণ্ঠ)
খামোশ বললে জনগণ খামোশ হয়ে যাবে না: শেখ হাসিনা
গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খামোশ বললেই কি মানুষের মুখ খামোশ হয়ে যাবে? খামোশ বললে জনগণ খামোশ হয়ে যাবে না, মানুষকে খামোশ রাখা যাবে না।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। (প্রথম আলো)
যত ‘প্রতিকূলতা’ আসুক সরবে না বিএনপি
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীসহ গোটা দেশে প্রচার-প্রচারণায় স্বস্তি পাচ্ছেন না ধানের শীষের প্রার্থী এবং সমর্থকরা। অধিকাংশ স্থানের প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। অনেক প্রার্থী এলাকায় গিয়ে ঘরে বসে আছেন। যারা বেরুচ্ছেন তারাই হামলায় পর্যুদস্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন গ্রেফতার হচ্ছেন নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, আসম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অধিকাংশ নেতাই হামলার শিকার হয়েছেন। ঢাকাসহ সারাদেশে নৌকার প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেলেও ধানের শীষের পোস্টার ও প্রচারণা চোখে পড়ছে কমই। (ইত্তেফাক)
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
পিটার হাস নির্বাচন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
নড়াইলের লোহাগড়ায় দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ইয়াবা
ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের আরেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল
থেকে ৫০০টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের
চরদৌলতপুর গ্রামের দ্বীন মোল্যার মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার জিয়া চৌধুরী (৩৩) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী।
তিনি ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের মো. আজগর চৌধুরীর ছেলে। ভুক্তভোগী মো. আরজ
আলী ওরফে লিচু কাজী (৫৮) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ
নেতা লিচু কাজী চরদৌলতপুর বাজার থেকে পাংখারচর বাড়িতে ফেরার পথে দ্বীন মোল্যার দোকানের
সামনে পৌঁছলে অভিযুক্ত জিয়া ডেকে নিয়ে বসান তাকে।
এ সময় পাশে বসে কৌশলে লিচু কাজীর পাঞ্জাবির পকেটে জিয়া একটি প্যাকেট
ঢুকাতে গেলে তখন ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নীল রঙের জীপারযুক্ত পাঁচটি
পলি ব্যাগ মাটিতে পড়ে যায়। সেখানে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি
টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জিয়া চৌধুরী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
লিচু চৌধুরীকে লোহাগড়া থানায় নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি পেকেটে থাকা ৫০০ ইয়াবা
উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে লিচু কাজী পুলিশকে জানান যে, সমাজে আমাকে হেয় করার
জন্য জিয়া এমন নাটক সাজায়। উপস্থিত ভ্যানচালক আজিম ফকিরও পুলিশকে একই সাক্ষ্য দেন।
এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন বিকেলেই ইয়াবা কারবারি
জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তারকালে সাংবাদিকদের তিনি
বলেন, আমি অপরাধী নই।
আওয়ামী লীগ নেতা লিচু কাজী থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,
সামাজিকভাবে হেয় করতে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা জিয়ার মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে আমাকে
ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সত্য উদঘাটিত হওয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অভিযোগ থেকে মুক্তি
পেয়েছি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে
জিয়া চৌধুরী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি
মাদক মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।