ইনসাইড বাংলাদেশ

যা আছে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

একাদশ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনি ইশতেহার পাঠ করেন।

বিএনপির ইশতেহারে গুরুত্বারোপ করা ১৯ দফার মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অর্থনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, যুব নারী ও শিশু, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, জ্বালানি, তথ্য ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ, কৃষি ও শিল্প, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ফান্ড প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ, পররাষ্ট্র এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ।

ইশহেতারে যা যা আছে:

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন

  • বিএনপি নির্বাচনের দিনের গণতন্ত্রকে নিত্যদিনের অনুশীলনে পরিণত করবে।
  • সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে।
  • একাধারে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে।
  • মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হবে।
  • বিরোধী দল থেকে ডেপুটি  স্পিকার নিয়োগ দেওয়া হবে।
  • সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে শর্তসাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
  • বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে ‘জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংবিধানে ‘গণভোট’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃস্থাপন করা হবে।
  • সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে উল্লেখসংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।
  • জাতীয় সংসদকে সকল জাতীয় কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে।
  • নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের পুুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য অতীতের সমস্যার আলোকে নিরূপণ করা হবে এবং এই লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে স্বচ্ছ আলাপ-আলোচনা করা হবে।
  • প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন এক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশনের সদস্য থাকবেন সংসদে সরকারি দলের নেতা, বিরোধী দলের নেতা এবং সর্বজনশ্রদ্ধেয় জাতীয় ব্যক্তিত্ব।
  • একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে।
  • জাতীয় নেতৃবৃন্দের আপত্তিকর সমালোচনা রোধে সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি উৎসাহিত করা হবে।
  • ব্যক্তির বিশ্বাস-অবিশ্বাস এবং দলীয় আনুগত্যকে বিবেচনায় না নিয়ে কেবলমাত্র সততা, দক্ষতা, মেধা, যোগ্যতা, দেশ-প্রেম ও বিচার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র, পুলিশ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে।
  • প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ দেওয়া হবে।
  • র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। র‌্যাবের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। এই ব্যাটেলিয়ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। রাষ্ট্রের সকল সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা স্ব স্ব চার্টার অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
  • চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সকল ধরনের তদবির ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশরক্ষা, পুলিশ ও আনসার ব্যতীত শর্তসাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা থাকবে না।
  • বিডিআর হত্যাকান্ডের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সকল অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে এবং অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় যেন সাধারণ মানুষের কোন ভোগান্তি না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে।
  • সড়ক পথে চলাচলে বিরাজমান বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটানো হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিচার বিভাগ

  • সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত করা হবে।
  • মামলার জট দূর করার জন্য যোগ্য বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে এবং এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
  • বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা

  • মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। সরকারে সাথে কোনো বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও কারো কণ্ঠরোধ করা হবে না।
  • অনলাইন মনিটরিং তুলে দিয়ে জনগণকে অবাধে কথা বলার ও মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হবে।
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসহ সব প্রকার কালা-কানুন বাতিল করা হবে।
  • তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তি দ্রুততর করার জন্য বিদ্যমান বাধাসমূহ পুরোপুরি দূর করা হবে।
  • মানুষের জীবনের মূল্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, গুম, খুন এবং অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হবে।
  • বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ বাতিল করা হবে।
  • রাজনৈতিক নেতাদের যুক্তিসংগত সমালোচনার অবাধ অধিকার থাকবে।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ

  • দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব থাকবে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের হাতে।
  • বর্তমানে কমবেশি ৫% বাজেট স্থানীয় সরকার এর মাধ্যমে ব্যয় এর পরিবর্তে প্রতিবছর ৫% হারে বাড়িয়ে ৫ (পাঁচ) বছরে কমপক্ষে ৩০% বাজেট স্থানীয় সরকার এর মাধ্যমে ব্যয় এর বিধান করা হবে।
  • জেলা পরিষদ জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে।
  • পৌর এলাকাগুলোতে সব সেবা সংস্থা মেয়রের অধীনে রেখে সিটি গভর্নমেন্ট চালু করা হবে।
  • জনকল্যাণে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা এবং স্থানীয় সরকারের স্তর নির্ধারণের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করা হবে।

মুক্তিযোদ্ধা

  • সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে। মূল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।
  • দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

যুব, নারী ও শিশু

  • জাতীয় উন্নয়নে যুব, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
  • ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠন করা হবে।
  • দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিএনপি সকল কর্মকা-ে নারী সমাজকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করবে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সকল বাধা অপসারণ করা হবে।
  • ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে।
  • নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, এসিড নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, নারী ও শিশু পাচাররোধে কঠোর কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশু-শ্রম রোধে কার্যকর বাস্তবানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
  • শিশু সন্তান রেখে নারীরা যাতে নিশ্চিন্তে কাজে মনোনিবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক দিবা যতœ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
  • নারী উদ্যোক্তাদের অধিকতর উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সমর্থন, স্বল্প-সুদে ব্যাংক ঋণ এবং কর-ছাড় দেয়া হবে।
  • এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
  • নারীদেরকে ন্যায়সঙ্গত সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রদান করা হবে। এই লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিদ্যমান আইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

শিক্ষা ও কর্মসংস্থান

  • শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে।
  • উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা হবে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সমৃদ্ধ। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। গড়ে তোলা হবে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়।
  • শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য জাতীয় টিভিতে একটি পৃথক শিক্ষা চ্যানেল চালু করা হবে।
  • বিশ্বের মেধা জগৎ ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে বাংলাদেশের একটি নতুন মাত্রা যোগের জন্য বাংলা ভাষার পাশাপাশি
  • ইংরেজিসহ অন্যান্য বিদেশী ভাষা শেখার জন্য অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
  • স্বল্পআয়ের পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বল্প সুদের শিক্ষা ঋণ চালু করা হবে।
  • বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের সুবিধার্থে মেধাবীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-সংসদের নির্বাচন নিশ্চিত করে ছাত্রদের মধ্য হতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশের পথ সুগম করা হবে।
  • মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। তাদের কারিকুলামে পেশাভিত্তিক ও বৃত্তিমূলক বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
  • সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানজনক ‘সম্মানীভাতা’ চালু করা হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে তা প্রতিরোধ করার জন্য সকল প্রকার আইনি, প্রতিকারমূলক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সকল ধরনের ভ্যাট বাতিল করা হবে। ভ্যাট বিরোধী, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে আনীত সকল মামলা প্রত্যাহার এবং এসব আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
  • সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে।
  • প্রথম ৩ (তিন) বছরে দুর্নীতি মুক্ত ব্যবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে ২ (দুই) লাখ মানুষকে চাকরি দেওয়া হবে।
  • তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের সাবলম্বী হওয়ার জন্য ২০ বছর মেয়াদী ঋণ চালু করা হবে।
  • আগামী পাঁচ বছরে এক (০১) কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

তথ্য ও প্রযুক্তি

  • তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিদেশ হতে অর্জিত অর্থ দেশে আনয়নের ক্ষেত্রে সকল প্রকার অযৌক্তিক বাধা দূর করা হবে।
  • ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর সাথে জড়িত সকলকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্বল্প চার্জে Global Payment Gateway সুবিধা দেওয়া হবে।
  • Nationwide Telecommunication Transmission Network (NTTN), Internet Service Provider (ISP) এবং International Internet Gateway (IIG) মার্কেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এর ফলে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে, দক্ষতা বাড়বে এবং ইন্টারনেট ব্যয় হ্রাস পাবে।
  • অগমেনটেড রিয়্যালিটি, এ্যানিমেশন এবং রোবটিকস তৈরি খাতে গবেষণা ও বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। START UP FUND এবং IT Innovation Fund এবং Venture Capital দিয়ে দেশের স্থানীয় সমস্যার জন্য তথ্য প্রযুক্তির সলিউশান ডেভেলাপ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে।
  • পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্নভাবে ই-গভর্নমেন্ট চালু করার জন্য ক্লাউড ভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ এপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে সরকার দেশি প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে।
  • ভিওআইপি ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে এই খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
  • সৃজনশীল ব্যক্তির মেধাস্বত্বের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। শুধু সাব-কন্ট্রাক্ট নয়, আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদনে স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত সফটওয়ার ব্যবহারে স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হবে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্বরান্বিতকরণ তহবিল সহ আইটি ইনকিউবেটর এবং ল্যাবরেটরি ব্যবস্থা সংযোজিত হবে।
  • ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোবাইল ডাটার জন্য এবং ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী মূল্যে সময়োপযোগী সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হবে।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত সকল প্রকার উপকরণ সামগ্রীর ওপর শূন্য শুল্ক সুবিধা বজায় রাখা হবে।
  • মেট্রোপলিটন এলাকা, পৌরসভা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রশাসনিক কেন্দ্রসমূহকে ক্রমান্বয়ে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট পৌরসভা, স্মার্ট গ্রাম ও স্মার্ট ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করা হবে।

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি

  • আগামী ৫ বছরের মধ্যে খেলাধুলার কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ যাতে একটি গ্রহণযোগ্য স্থান করে নিতে পারে সে লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক মান অর্জনের জন্য প্রতি জেলায় একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্রীড়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
  • জাতীয় ভাবধারার পরিপন্থি অপসংস্কৃতি চর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হবে। সংস্কৃতির মাধ্যমে স্বাধীন চিন্তাধারা ও মতাদর্শের যেন সুষ্ঠু প্রতিফলন হয় তার জন্য গণতান্ত্রিক রীতি পদ্ধতির অনুসরণ করা হবে।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

  • জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হবে। উৎপাদনকারী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার যুক্তিসঙ্গত মুনাফা নিশ্চিত করে ঔষধের মূল্য যুক্তিসঙ্গত হারে হ্রাস করা হবে।
  • বিশিষ্ট চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জাতীয় এক্রেডিটেশন কাউন্সিল (Accreditation Council) গঠন করা হবে।
  • মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং বয়ঃবৃদ্ধদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • চিকিৎসার ক্ষেত্রে সিংহভাগ খরচ হয় ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায়। এক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ডায়াগনস্টিক বুথ স্থাপন করা হবে।
  • শিশুদের ডায়াবেটিস ও বেড়ে ওঠার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

প্রতিরক্ষা ও পুলিশ

  • একটি দক্ষ, স্বচ্ছ, গতিশীল, মেধাবী, জবাবদিহি মূলক যুগোপযোগী ও গণমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে। মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও প্রান্তিক জাতি-গোষ্ঠী কোটা ব্যতিরেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে। গতিশীল বিশ্বায়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধানের আলোকে একটি যথোপযুক্ত সিভিল সার্ভিস আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যান্য সব সরঞ্জাম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেনা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহন করা হবে।
  • পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরত সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে। সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য যৌক্তিক রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।
  • পুলিশ বাহিনীর ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। জাতিসংঘ বাহিনীতে পুলিশের অংশ গ্রহন বৃদ্ধির ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পুলিশের জন্য কল্যান মূলক প্রকল্প গৃহীত হবে।
  • ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টরদের বেতন ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে আপগ্রেড করা হবে এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অবসরে গেলেও তাদের রেশন সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা

  • দুঃস্থ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী এবং অসহায় বয়স্কদের ভাতার পরিমাণ মূল্যস্ফীতির নিরিখে বৃদ্ধি করা হবে। বেসরকারি ও স্বনিয়োজিত খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য বার্ধক্যের দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি ‘পেনশন ফান্ড’ গঠন করা হবে। গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।

পরিবেশ

  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য টেকসই কৌশল গ্রহণ করা হবে। উপকূল এলাকাসহ সারাদেশে নিবিড় বনায়ন ও সুন্দরবনসহ অন্যান্য বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পররাষ্ট্র

  • বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে।
  • বিএনপি অন্য কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কর্মকান্ডকে কোনো স্পেস দিবে না। একইভাবে অন্য কোনো রাষ্ট্রও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
  • মুসলিম দেশসমূহ ও প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ বাসভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য শক্তিশালী দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।
  • জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা যেমন- সার্ক, বিমসটেক, বিসিআইএম, বিবিআইএন প্রভৃতি সংস্থাগুলোকে সুসংহত করা এবং কার্যকরভাবে গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
  • বিআরআই, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেসিক ইনসিয়েটিভ সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
  • বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নেপাল, ভুটান ও য়ুন্নানের জনগণের সংযোগ সহজতর করা হবে।
  • আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বহমান আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আঞ্চলিক ও পারস্পারিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

  • পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন, সম্পদ, সম্ভ্রম ও মর্যাদা সুরক্ষা করা হবে। অনগ্রসর পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকুরী ও শিক্ষাক্ষেত্রে সকল সুবিধা এবং পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
  • দল, মত, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল জাতি গোষ্ঠির সংবিধান প্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মকর্মের অধিকার এবং জীবন, সম্ভ্রম ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হবে। এই লক্ষ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
  • উল্লেখিত অঙ্গীকারগুলো সম্পর্কে আমাদের পূর্ণাঙ্গ ইশতেহারে বিস্তৃত ব্যাখা আছে। এই ইশতেহার আপনারা বিএনপি’র ওয়েব সাইটে পাবেন। উপরন্তু, ব্যাপক জনগনের সুবিধার্থে এ সপ্তাহেই এ ইশতেহারের মূদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হবে।

আমরা বিশ্বাস করি এই নির্বাচনি লড়াইয়ে এদেশের মানুষ জয়যুক্ত হবেই। বিজয়ের এই মাসে মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা একতায় বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশের জনগন স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটাবে। মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত হবে আমাদের জীবন। 

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গতকাল সোমবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। ‘প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’ এ স্লোগানে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনাসহ অনেক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়। সব ধরনের প্রতিশ্রুতি সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে পূরণের আশ্বাসও দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) শীর্ষক" প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায়  প্রধান অতিথি  হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমুল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে। 



মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।  সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, জলজসম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষীদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। তিনি জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। 

সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের মৎস্য সেক্টরে সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং গ্রামীন জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তিনি এসময় উল্লেখ করেন। 

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের পুরস্কার বিতর্কে যা বললেন আইনজীবী

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার পেয়েছেন কিনা সে বিষয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ড. ইউনূস দেশে ফিরলে, আসল কাহিনী জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অপমান ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যিনি নিজেই সমুদ্র তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. ইউনূস যে বাকু সম্মেলনে গিয়েছিলেন সেখানে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। নয় দেশের সাবেক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিলিতভাবে তাকে এ অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এখন ইউনূস সেন্টার থেকে কোনো কর্মচারী এই পুরস্কার নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। ড. ইউনূস তো সেখান থেকে এটা প্রকাশ করেননি। তিনি দেশে আসলেই এ বিষয়ে জানা যাবে। 

তিনি বলেন, পুরস্কারের বিষয়ে কোনো ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু তাই বলে এটাকে প্রতারণার নাম দেয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ড. ইউনূস তো নিজেই সমুদ্র, তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। তাকে সম্মাননা দেয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি উদগ্রীব থাকে। তাকে যে ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী অপমান করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই।

এর আগে গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টার থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টেও তার এই পুরস্কার পাওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে এ খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দপ্তর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটিকে ‘প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


ড. ইউনূস   পুরস্কার বিতর্ক   দ্য ট্রি অব পিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।

এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।  

এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়। 

এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় সংসদ   স্পিকার   ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী   আইপিইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ২৯ রমজানেও খোলা থাকছে অফিস!

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।

আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
 
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।

তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
 
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।

এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।


সরকারি অফিস   ঈদুল ফিতর   অফিস টাইম   রমজান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইউনূস সেন্টারের ধৃষ্টতা!

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে- প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এ ঘটনায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার করায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ প্রদান: বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের বক্তব্য’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ইউনেস্কো কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

‘ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেস্কো সদরদপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।’

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতরও যখন ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয় এবং এটিকে প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার বলে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। এরপরও ইউনূস সেন্টার ড. ইউনূসের ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা পাওয়ার বিজ্ঞপ্তি তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়নি বা প্রত্যাহার করেনি। ফলে সেন্টার ড. ইউনূসের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাকে ভয়ঙ্কর ধৃষ্টতা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এ সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। সম্মেলনের আয়োজক ছিল নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার।   

ইউনূস সেন্টার   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন