নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপির সঙ্গে জোট করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমি বিএনপির কেউ নই। আমি আওয়ামী লীগের লোক ছিলাম। ৭০ সালের নির্বাচনে আমি বঙ্গবন্ধুর এজেন্ট ছিলাম। সেই সময় মানুষ দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখনও সেই পরিবর্তন চায়। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি।’
আজ বুধবার বিকেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘রাস্তায় এত পুলিশ এর আগে আমি কখনও দেখিনি। যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ২ জানুয়ারির পর ছেড়ে দেওয়া হবে। এর থেকে প্রমাণিত হয় নির্বাচনে যাতে বিরোধী দল নামতে না পারে সে জন্য পুলিশ এই তৎপরতা চালাচ্ছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, চীনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য ঐকফ্রন্ট ড. কামাল হোসেন বিএনপির কেউ নয় বললেও কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর পাশেই উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ আরও বিএনপির আরও অনেকে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।