ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতীয় সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আবারও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিকে তিনি প্রতিবেশী দেশে জঙ্গি হামলার ঘাঁটি হতে দেবেন না। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম টাইমস নাউ-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, অন্য দেশে হামলায় মদদ দিলে নিজের দেশও আক্রান্ত হতে পারে।

শনিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করাই তার সরকারের অগ্রাধিকার। টাইমস নাউ-এর সাংবাদিক সৃঞ্জয় চৌধুরীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আঞ্চলিক সহযোগিতা, তিস্তার পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও নিজের অবস্থান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে কোনও ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ঘাঁটি না থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সাংবাদিক সঞ্জয়। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কোনভাবেই চাই না, আমাদের দেশের মাটিকে ব্যবহার করে অন্য কোনও প্রতিবেশী দেশে সন্ত্রাসী হামলা হোক। সে কারণেই দেশে সন্ত্রাসবাদী কোনও ঘাঁটি আছে কিনা, কিংবা অন্য কোনও তৎপরতা চলছে কিনা; আমরা সবসময় তা খেয়াল করি। তেমন কিছুর খোঁজ পেলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিই। এটা আমাদের খুব স্পষ্ট অবস্থান।’

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন আমরা আমাদের দেশের মাটিকে সন্ত্রাসী তৎপরতায় ব্যবহৃত হতে দেব?’ `আপনি যদি অন্য কোনও দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতায় মদদ দেন, তো একদিন আপনার দেশই ভোগান্তির শিকার হবে। মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে অস্ত্র চোরাচালানের দৃষ্টান্ত টেনে বলেন, আমাদের দেশ একসময় অস্ত্র চোরাচালানের নিরাপদ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, কেন সেটা আমরা হতে দেব? যদি দিই, একদিন আমার দেশের মানুষও ভোগান্তির শিকার হবে। কারণ, কোনও না কোনভাবে দেশের কিছু মানুষ ওই তৎপরতায় উৎসাহিত হবে।’ শান্তি আর উন্নয়নকে তার সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি ছাড়া উন্নয়ন হবে না। আমি তাই দেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা করি। অর্থনৈতিক উন্নয়নই আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক সৃঞ্জয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে যে সংকটগুলো তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে, তার অনেকগুলোই পাকিস্তানের সৃষ্টি করা। সে সময় ২০১৬ সালের পর বাংলাদেশে আর কোনও জঙ্গি হামলা না হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনও দেশ নাই, কোনও সীমানা নাই। নিজের পরিবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তিনি আর তার বোন শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের বাকি সব সদস্য ৭৫’এর ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ৬ বছর পরে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে নিজেও বারবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় তার সমাবেশস্থলে বোমা পুঁতে রাখা এবং ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

২০১৬ সালে পাকিস্তানের সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ ধরে সাংবাদিক সঞ্জয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতের আগে আপনি অনুধাবন করেছেন, সার্ক সম্মেলনে যাওয়া যথাযথ নয়। জবাবে শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশের সিদ্ধান্তটি একান্তই নিজেদের। বলেন, প্রতিবেশিদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সব সময়ই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত আঞ্চলিক সহযোগিতা। তবে প্রত্যেক দেশেরই তাদের নিজ নিজ ভূমিকার পেছনে নিজস্ব কারণ থাকে। হুম, আমি স্বীকার করছি, আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেও সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, মানুষ মারার চেষ্টা হয়েছে। সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা দেখা গেছে। তবে আমরা যেটা করেছি, তা হলো আমরা একে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি, কমিয়ে আনতে পেরেছি। তবে পাকিস্তানের চিত্র দেখেন আপনি.।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, `বাংলাদেশ মনে করে সার্ক অঞ্চলের চলমান পরিস্থিতি আপাতত সম্মেলনের জন্য সহায়ক নয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) বাংলাদেশের কাছে সুনির্দিষ্ট সংবেদনশীলতার প্রশ্ন, যেখানে পাকিস্তান আমাদের বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে। বিষয়টি তারা তাদের পার্লামেন্টেও তুলেছে। তারা অবাঞ্ছিত কিছু মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করে। এতে আমরা আহত হয়েছি, যেহেতু বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ। নিজেদের দেশের অভ্যন্তরেই আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, এতে তাদের মাথাব্যথার কিছু নেই। পাকিস্তানের এই আচরণের ফলে তাদের সঙ্গে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্যও আমার ওপর অনেক চাপ রয়েছে। কিন্তু আমি বলেছি, সম্পর্ক থাকবে। তবে সমস্যাগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে আমাদের।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক একান্তই তাদের দ্বিপাক্ষিক ব্যাপার। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না, কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমি মনে করি, মানুষের কথা ভাবতে হবে আমাদের। সাধারণ মানুষের কথা। তাদের জীবনযাপন কেমন, তারা কী চিন্তা করছে, তারা কী করে একত্রিত হয়ে কাজ করতে পারে।

সার্কের সাফল্য প্রশ্নে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে তখন, যখন একটি দেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি বলেন, আমাদের এমন একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে যে কোনও দেশ অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তেক্ষপ করবে না। সেটা নিশ্চিত হলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে। হস্তক্ষেপ ঘটলে বন্ধুত্ব সম্ভব না।সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারও তিস্তা সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তার দলের নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় আসতে না পারলে `উঠতে থাকা` বাংলাদেশ `পড়ে` যেতে পারে। আবার নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মধ্যপ্রাচ্যে শেখ হাসিনার মতো নেত্রী থাকলে গাজায় এমন পরিস্থিতি হতো না’

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে যদি শেখ হাসিনার মতো কেউ থাকত তাহলে গাজায় চলমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অডিটোরিয়ামে কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন- ‘আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’


তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তিনি থাকেন সেখানকার মধ্যমণি। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব সারাবিশ্বে বিরল।

‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, এখন বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। বিদেশি নেতারা তার প্রশংসা করে চলেছেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন- আপনি শুধু আমারই নয় আমার পরিবারেরও অনুপ্রেরণা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছে, আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র অহমিয়া ভাষায় রূপান্তরিত সংস্করণ আসামের কবি ও গবেষক ড. রীতা চৌধুরী রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জিরো আওয়ার’ একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবন জোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়।

মাধ্যপ্রাচ্য   শেখ হাসিনা   ফিলিস্তিন   রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় নিজ নামের সড়ক ও পার্ক উদ্বোধন করবেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্ত্বর থেকে কালসী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।  

আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দু’টি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক’র কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।

আগামী মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নামফলক উন্মোচন করবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন।

কাতারের আমির   আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে প্রাণীকূলের প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গা   সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   হিট এলার্ট জারি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারপিটের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।

শুক্রবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাটোরে অপহরণ ও মারধরের শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেন পাশার সুস্থ্যতা কামনা করেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশের বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সাথেই আমার দলের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এটিকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। এ সময় আমার নেতাকর্মীদের পাশে আমার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। 

নিজের শ্যালকর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক আমার আত্মীয় হোক আর দলীয় নেতা কর্মী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অন্তত ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

এদিকে ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযুক্ত অপর প্রার্থী শেরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের দাবি, তিনি নির্দোষ। হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা পরিষদ   ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি   জুনায়েদ আহমেদ পলক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশজুড়ে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন