নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০১৯
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অধ্যায় শেষ করে দিলো। বর্তমানে ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এই নির্বাচন হবে বেগম জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। বিএনপির নেতারা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, আপনার একটি ভোট বেগম জিয়ার মুক্তি আনবে। কিন্তু বিএনপি তার ইতিহাসের জঘন্যতম ফলাফলের মাধ্যমে নিজেরাই তার মুক্তির পথ বন্ধ করে দিলো। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার দণ্ড হাইকোর্ট বাড়িয়েছে। এটা আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আর জিয়া চ্যারিটেবল মামলাতেও বেগম জিয়া নিম্ন আদালতে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আরো অন্তত দুই ডজন মামলা চলছে। তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনার অনুকম্পা ক্ষমা ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির পথ খোলা নেই। বিএনপি এখন কী করবে? বেগম জিয়া যদি, এই সরকারের মেয়াদে জেল থেকে বেরুতে না পারেন তাহলে হয়তো জেলেই কাটবে তার বাকী জীবন। বিএনপির সামনে এখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে রাজনীতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিশ্চয়ই রাজনীতিক উদারতা দেখাবেন। তিনি ক্ষমা এবং সমঝোতার নতুন নজির স্থাপন করতে চাইবেন। তিনি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টে ফেলারও পদক্ষেপ নেবেন। দেশের স্বার্থে সব দল একসাথে-এরকম একটি মতবাদের প্রতি শেখ হাসিনার নীরব পক্ষপাত রয়েছে। এজন্য যখনই তিনি সরকার গঠন করেছেন, তখনই তিনি সবাইকে নিয়েই সরকার গঠন করতে চেয়েছেন। আবার যারা রাজনীতিকে কলুষিত করতে চায়, তাদের ব্যাপারে কঠোর হতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না এই ‘লৌহমানবী’।
কাজেই বিএনপি যদি জামাতকে বাদ দেয়, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় রাজনীতি করতে চায়, জাতির পিতাকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে নতুন সংসদের সামনে অভূতপূর্ব সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। এসবের বিনিময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চেয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করতে পারে বিএনপি। আর সেজন্য বিএনপিকে প্রথমে যেটা করতে হবে, তা হলো সংসদে যেতে হবে, শপথ নিতে হবে সংসদ সদস্য হিসেবে। তারপর তারা সরকারের সঙ্গে এক আপোষরফার সংলাপে যেতে পারে। যেহেতু ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এখনও বিএনপি আছে তাই বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য এরকম একটি উদ্যোগ তিনি নিতেই পারেন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন থেকে এটুকু অর্জন বিএনপির জন্য কম হবে না। এই নির্বাচনে একটি বিষয় প্রমাণ হয়েছে যে, বেগম জিয়াই তাদের একমাত্র নেতা যিনি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য। তার মুক্তির জন্য বিএনপি কি সমঝোতার পথে হাঁটবে?
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।