নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
এবারের মন্ত্রিসভায় জাতীয় চার নেতার পরিবারের কেউ ঠাঁই পায়নি। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এটা এক বড় বিস্ময়। কেননা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাসে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ মনসুর এবং কামারুজ্জামান এই চারটি নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রসম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন এই চারজন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁরাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ’৭১ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক তাঁদের প্রথমে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং পরে ৩ নভেম্বর তার প্ররোচণায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় এই চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে জাতির পিতার পরই তাঁদের ভূমিকা অপরিসীম। এমনকি এই চার নেতার হত্যার পরও তাদের পরিবারের সদস্যরা মুজিব আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। চার নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন বিধ্বস্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনাও চার নেতাদের পরিবারের এই পরিশ্রম ও ত্যাগের মর্যাদা দিয়েছেন বরাবরই। ’৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল তখন তখন এই চার নেতার পরিবারের ২ জন তৎকালীন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিল। এদের একজন হলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। অন্যজন হলেন মোহাম্মদ নাসিম। আবার, ২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সোহেল তাজ মন্ত্রী ছিলেন। এমনকি ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিম মন্ত্রী ছিলেন।
গতকাল রোববার বিকেলে সাড়ে ৪টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম নতুন মন্ত্রিসভার ৪৬ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। এই মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন ২৪ জন, ১৯ জন হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী আর ৩ জন হয়েছেন উপমন্ত্রী। কিন্তু সেই মন্ত্রীসভায় স্থান পাননি জাতীয় চার নেতার পরিবারের কোন সদস্য। এবারই প্রথম, চার নেতার পরিবারের সদস্যশুন্য আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা। যদিও চার নেতার পরিবার থেকে দুইজন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন সিমিন হোসেন রিমি ও মোহাম্মদ নাসিম।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এ শপথের মধ্যদিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।