নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
`মর্নিং শোজ দ্য ডে`। সকাল দেখেই নাকি দিনের চিত্র বোঝা যায়। আমরা আশা রাখতে পারি এই প্রবাদে। আমরা অনেক সময় অনেক বড় বড় কথা বলি। নীতিবাক্য বলি। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই দেখি না। নতুন মন্ত্রী পরিষদ শুরুতেই বলা যায় চমকে দিল, তাক লাগিয়ে দিল। প্রশংসা পেল।
নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য বরাদ্দ পতাকাওয়ালা গাড়ি সোমবার শপথের আগেই তাদের ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে সাভারে যাওয়ার সময় সেই গাড়ি সঙ্গে নেননি তারা। ঢাকা থেকে তারা বাসে করে স্মৃতিসৌধে যান। আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) মন্ত্রীরা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বাসযোগেই যাবেন টুঙ্গিপাড়াতে। বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মোনাজাত শেষে তারা ওই বাসে করেই ঢাকায় ফিরবেন।
বাসযোগে গিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং বঙ্গবন্ধুর কবরে মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা জানানোর ঘটনা এবারই প্রথম। মন্ত্রীরা প্রটোকলের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে গিয়ে সংবাদের শিরোণাম হয়েছেন। মন্ত্রিসভার সব সদস্যের একসঙ্গে বাসে চড়ে কোথাও যাওয়ার এমন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। আজ টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারের সামনে থেকে তারা রওনা দিয়েছেন এবং বাসে করেই ফের ঢাকায় ফিরবেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা বাসযোগে টুঙ্গিপাড়া গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বাসযাত্রায় শামিল হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা তাকে হেলিকপ্টারে যেতে অনুরোধ করেন।
এতে কী হয়েছে? এতে সময় যেমন বেঁচেছে, আলাদা করে গাড়িও ব্যবহার করতে হয়নি। ফলে জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। গতকাল তারা চারটি বাসযোগে সাভারে গিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আসন সংকুলান না হওয়ায় মিনিবাসগুলোর ভেতরে তাদের অতিরিক্ত আসন পেতে বসতে দেখা যায়।
মন্ত্রীরা চাইলেই পারতেন ৪৭টি গাড়ি নিয়ে যেতে। কিন্তু তারা বাসে চড়ে গেলেন। ৪৭টি গাড়ি যেতে যে সময় লাগতো আর যানযট হতো। তাতে রাস্তা যে ঠিক কতক্ষণের জন্য থমকে যেত সেটা বোঝাই যায়। কিন্তু মন্ত্রীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই মুগ্ধ করেছে শরহরবাসীকে। তাদের প্রথম পদক্ষেপে পেয়েছেন সাধুবাদ।
আমরা কথায় কথায় পরিবর্তন চাই। দেশের পরিবর্তন চাই। রাজনীতির পরিবর্তন চাই। রাজনীতিবিদদের পরিবর্তন চাই। মন্ত্রীর পরিবর্তন চাই। পরিবর্তনগুলো কি আমাদের চোখে পড়ে? আমরা কি চোখ খুলে দেখতে পারি পরিবর্তন? একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পরে আমূল বদলে গেল মন্ত্রিসভা। ইশতেহার বাস্তবায়নের উপযোগী করেই নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুনরা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসে। আর পুরনোরা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাইতো তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে গঠিত মন্ত্রিসভা সফল হবে বলে আশা করছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন। এই মন্ত্রিসভার প্রতি আমরা ভরসা রাখতে পারি। সূচনাতেই তারা সেই দৃষ্টান্ত দেখাল।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সব খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরও অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’
প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন এরর কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা গেইটে ঈদ পূণর্মিলনী সভা করে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিক মিজান অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের নির্দেশে তার ভাই, ভাতিজা সহ অন্তত ৮/১০ জন যুবক সাংবাদিক মিজানের ওপর হামলে পড়ে বলে প্রত্যরক্ষদর্শীরা জানান।
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কারণে চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া পরামর্শ দেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমানের থেকে জানা যায়, উপজেলা আ'লীগের সভাপতির নেতৃত্বে একটি অসহায় পরিবারে জায়গা দখলের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রচারে জেরে তার ওপর হামলা হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর এর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেন নি।
সাংবাদিক আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ মিজানুর রহমানের উপর হামলা হচ্ছে দেখে আমরা কয়েক জন মিলে তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মো গোলাম কবির বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিন উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ বেলাল, অর্থ সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম শ্রাবণ,পাঠাগার সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন মুন্নী নির্বাহী সদস্য শাকের বিন ফয়েজ। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের যথাযত আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।
এদিকে সাংবাদিক মিজানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক। তারা এই ন্যা ক্কারজনক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যীবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
কক্সবাজার কুতুবদিয়ায় সাংবাদিক মিজান হামলা
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।