নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
মৃত্যুর আগে জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ নিজ নামে একটি ট্রাস্ট খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্বজনদের কাছে। তাঁর রেখে যাওয়া সহায়-সম্পত্তি এ ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হবে। এবং ঐ ট্রাস্ট থেকে যা আয় হবে তা অসহায় এবং দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। এদিকে, গুরুতর অসুস্থ সাবেক এই রাষ্ট্রপতি তাঁর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, এবং দেশে- বিদেশে থাকা তার বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্র দাবী করছে।
জানা গেছে, এরশাদের পালক পুত্র রাহগির আল মাহি এরশাদ, বিদিশার পুত্র এরিখ এরশাদ, পালক পুত্র আলম এবং পালিত কন্যা আজরা জেবিন, পুরাতন ঢাকার রিপা কর্মকার, নারায়ণগঞ্জের অনন্যা হুসেইন মৌসুমী কিছু সম্পত্তির ভাগ পেয়েছেন। কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়টি তিনি দলের নামে দলিল করে দিয়েছেন। এছাড়া রংপুরে যে দলীয় কার্যালয় রয়েছে সেটিও জাতীয় পার্টির নামে করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঠাকুরগাঁওয়ে এরশাদের রয়েছে বিশাল খামারবাড়ি। সে বাড়িটি তিনি পুত্র এরিখ এরশাদের নামে দিয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট পার্কে তার নামে থাকা ফ্ল্যাটগুলোও তিনি পরিবারের সদস্যদের নামে দিয়েছেন। রংপুরে তার যে বিশাল সম্পত্তি রয়েছে সেগুলোও ভাই-বোনদের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছেন। এছাড়া সৌদি আরব এবং যুক্তরাজ্যে তাঁর যে ব্যবসা রয়েছে সেগুলোরও সমবণ্টন করেছেন দুই পুত্র ও পালিত কন্যাদের নামে।
এরশাদের পারিবারিক সূত্র জানায়, এরশাদের নিজস্ব সম্পত্তির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তিনি তার নামে একটি ট্রাস্ট করে তা সঠিকভাবে পরিচালনার ইচ্ছা জানিয়েছেন। এরশাদের সহোদর হুসেইন মুর্শেদ জানান, ভাই খুব অসুস্থ যে কারণে তার কিছু সিদ্ধান্তের কথা পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন। তবে তিনি জানান, ভাইয়ের সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়টি বহু আগেই সমাধা হয়েছে। যার যতটুকু প্রাপ্য তার সবটুকুই তিনি সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। হুসেইন মুর্শেদ জানান, তাঁর ভাই রাষ্ট্রপতি থাকাবস্থায় বহু অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করেছেন যা এখনো অব্যাহত আছে। যা পরবর্তী সময়ে ট্রাস্টের মাধ্যমে সহায়তা দেয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে
গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার
দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের
বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা
যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ২টার দিকে
কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার
বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন।
এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের
পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে
এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।
অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী
বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল
থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।
সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। শুক্রবার রাতে
গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন আসেন। গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের
পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী
বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন।
তিনি বলেন, আরও চার-পাঁচজন গরু চোর
এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায়
তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
একাত্তরের ২৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে বিছিন্নভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় উদ্বেগে পড়ে হানাদারেরা।
সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। রাতে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে তাকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সহচর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ঢাকা থেকে ফরিদপুর পৌঁছান।
২৯ মার্চ রাতে ঢাকায় একশর মত বাঙালি ইপিআর সদস্যকে পাকিস্তানি সেনারা প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে তিনটি দলে ভাগ করে রমনা কালীবাড়ির কাছে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের এদিন রাত দেড়টার দিকে আইনসভার সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কুমিল্লার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সেনারা। তাকে ও তার ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে আর কখনো পাওয়া যায়নি।
বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এদিন স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে তিন বেলায় তিনটি অধিবেশন প্রচার করা হয়। মুক্তিকামী জনতার বাতিঘরের রূপ নেয় এই বেতার কেন্দ্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী। হামলায় শহীদ হন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে নিহত হয় পাক বাহিনীর একটি দল।
মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরব ও নরসিংদীর মধ্যে রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
চুয়াডাঙ্গায় থেকে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ইপিআর, আনসার, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বাহিনী কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করে। পাকিস্তানি বাহিনী মর্টার, মেশিনগান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তি বাহিনী তিনভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণ চালায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অভিযানে ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য পাবনা থেকে গোপালপুরের পথে নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাজশাহীর দিকে যাওয়ার পথে প্রাণ হারায়।
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং সৈনিকদের টাউন হলে একত্রিত করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ।
পাকিস্তানি বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ে সমবেত হয়। সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানিরা প্রথম আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী সেই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।
বিদ্রোহ মুক্তিযুদ্ধ সেনাবাহিনী
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।