ইনসাইড বাংলাদেশ

চোখ ছলছল করছিল প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় শেষ বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সৈয়দ আশরাফকে তাঁর ‘ছোট ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টে সবাইকে হারিয়ে আমি যাদের কাছে পেয়েছি, সৈয়দ আশরাফ তাদের একজন।’  তিনি বলেন,‘আমাদের জীবন বড়ই বিচিত্র। আমাদের আপনজন হারিয়ে এই শোক প্রস্তাব করতে হয়। আমি সৈয়দ আশরাফকে ছোটবেলা থেকেই চিনি। আমার পরিবারের সদস্য। কামালের সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আমি আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। সেসময় আশরাফ আমাদের সঙ্গে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে। ও আমাকে বড় বোনের মতই জানতো। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যারা আওয়ামী লীগে ছিলেন তারা প্রত্যেকেই একটা দুঃসময়ের মধ্যে কাটিয়েছেন। আমিই ৯৬ সালে আশরাফকে দেশে নিয়ে আসি। দেশে এসে রাজনীতি করতে বলি। যখনই তাকে কোন দায়িত্ব দিয়েছি। সে তার পালন করেছে। সবসময় পড়াশুনার মধ্যেই থাকতো। আশরাফ এত সহজ সরল ছিল। তার বোনকে আমরা নমিনেশন দিয়েছি। আমরা এতটুকু বলবো তার স্মৃতি সবসময়ই আমাদের মাঝে থাকবে। আমরা সবসময় তার কথা মনে রাখবো।’

প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর কথা স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পরেন। এরপর তিনি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একমাত্র মেয়ের প্রসঙ্গে কেঁদে ফেলেন। তিনি এই কথা বলতে বারবার থেমে যান। একটা সময় দ্রুত তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি বলেন,‘মাননীয় স্পিকার আমার কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য যাদের শোক প্রস্তাব আসছে তাদের জন্যও শোক প্রকাশ করেন।  

এরপর সংসদ সদস্যরা সৈয়দ আশরাফ ও অন্যান্যদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। 

এর আগে জাতীয় সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনেই শোক প্রস্তাব পাশ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফসহ বিগত সংসদ থেকে এ সংসদের মধ্যবর্তী সময়ে যারা মারা গেছেন তাদের জন্য শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। পরে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফের উপর আলোচনায় অংশ নেন সাংসদরা। আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে প্রথমেই বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এরপর একে একে আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন ধর্ষকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লায় মাত্র ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ‘মাদক কারবারির’ হাতে তুলে দিয়েছেন স্বামী। ওই ব্যক্তির নাম আবুল খায়ের। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে ওই তিনজন ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই স্বামী আবুল খায়েরসহ ৪ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে বরুড়া থানা পুলিশ। তারা হলেন বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মহিন।

বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, শাকপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আবুল খায়ের একজন মাদকাসক্ত। বুধবার একই এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মাহিনের কাছে মাত্র ৫ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বন্ধক রেখে মাদকের টাকা নেন স্বামী আবুল খায়ের। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ‘ধর্ষণ’ করেন নূরু, মনির ও মাহিন।

এ ঘটনা পর ভুক্তভোগী নারী তার বাবার বাড়ি এলাকা মুরাদনগর চলে যান। পরে শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।


কুমিল্লা   ধর্ষণ   স্ত্রী   স্বামী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হলের সিট দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আবাসিক শিক্ষার্থীর সিট দখল হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান হলে ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ইমরান ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহিদ হবিবুর রহমান হলের ১৪৬ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র।

অভিযুক্তরা হলেন, একই হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিনহাজ ইসলাম আইন বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব ফিরোজ।

ভুক্তভোগী ইমরানের অভিযোগ, ' বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আমি হল প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ১৪৬ নম্বর কক্ষে উঠি। রাতে খাওয়ার জন্য বাহিরে গেলে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের কয়েকজন নেতা-কর্মী এসে আমার বিছানাপত্র সড়িয়ে দেন এবং সেখানে সমাজকর্ম ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজুলকে তুলে দেন। রাতে হলে এসে অবস্থা দেখে প্রাধ্যক্ষকে জানাই।’

প্রাধ্যক্ষ এবিষয়ে ভুক্তভোগীকে বলেন, 'তুমি ছাত্রলীগকে জানাও প্রক্টর স্যারের সুপারিশে প্রাধ্যাক্ষ এই সিট তোমাকে বরাদ্দ দিয়েছে। এই দুই দিন তো ছুটি। রবিবার (২১ এপ্রিল) এসে এটা দেখব। তুমি এখান থেকে বের হবা না।'

 ইমরান আরও বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে হলের ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ তার কক্ষে ডাকেন এবং সিট ছাড়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ ইসলাম বলেন, 'ওই শিক্ষার্থী তার সিটেই থাকবে। তাছাড়া ছাত্রলীগের কেউ যেন কোন শিক্ষার্থীকে হল কক্ষে না ডাকে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করব।'

হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে আরেক নেতা আহসান হাবিব ফিরোজ জানান, 'প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েই ওই সিটে আমি একজনকে উঠিয়েছি।'

ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম জানান, 'ঘটনাটি অবগত হয়েছি। বিষয়টি আমি দেখছি। ওই শিক্ষার্থী তার জন্য বরাদ্দকৃত সিটেই থাকবে।'

আবাসিক ছাত্রকে হুমকি বিষয়ে কি ব্যবস্থা জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ জানান, 'আমি কথা বলেছি, আর সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে যদি একই ঘটনা ঘটলে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের বিরুদ্ধে হলে সিট দখল, আবাসিক ছাত্রকে হুমকি-ধমকি ডাইনিং-ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা পরিশোধ না করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় ছাত্রলীগের দখলকৃত সিটে ওঠা মাহফুজুল হলের আবাসিক ছাত্র নয়।

এদিকে হলগুলোতে ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে অ্যাখ্যা দিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদি সজিব বলেন, 'হলে ছাত্রলীগের সিট দখল নতুন কিছু নয়। এমন ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষমতা নামক বটবৃক্ষের নিচে আশ্রয় নিচ্ছে অভিযুক্তরা। একটি ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়ার মানে এমন অসংখ্য ঘটনার জন্ম নিতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করা।’ তাই অবিলম্বে এদের লাগাম টেনে ধরে হলে যথাযথ সিট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।

ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, 'বিষয়গুলো আমারাও দেখছি। একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চেষ্টা করছি।'


ছাত্রলীগ নেতা   হলের সিট দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের দান করা কর্নিয়ায় চেখে আলো ফিরে পাচ্ছেন দুই অন্ধ লোক।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। তার ছেলে অর্ণব আদিত্য বাবার কথা অনুযায়ী কর্নিয়া দুটি দান করেন সন্ধানীতে। সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের টিম দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে।

ডা. লিটু বলেন, শনিবার সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিব নারায়ণ দাশ মননে চিন্তায় যে অবদান রেখেছিল মৃত্যুর পরেও দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর সুন্দর রং রূপ দেখার সুযোগ করে দিয়ে গেছেন। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।

জানা গেছে, শিব নারায়ণ এর আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। পরে বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এজন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটুয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


শিব নারায়ণ   কর্নিয়া   অন্ধ   চোখে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঋণের চাপে মায়ের আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নিথর মাকে জড়িয়ে ধরে দুই সন্তানের আহাজারি

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি এনজিওর ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সাথে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়। 

 

এ বিষয়ে ডালিয়া বেগমের ভাই আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন এবং অন্যান্য স্বজনরা জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।

 

ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

 

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

 

এদিকে বানারীপাড়া হাসপাতাল ও থানা চত্বরে মৃত মায়ের নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে অবুঝ দুই সন্তানের (ভাই-বোন) কান্না উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছে।


ঋণের চাপ   এনজিও   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‌‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


বঙ্গবন্ধু   রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন