ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মনটা পড়ে থাকে এই বইমেলায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা বিভাগের গোপন নথি নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শিরোনামে ১৪ খণ্ডের বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে এই বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন তিনি।

আজ শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় বাংলা একাডেমিতে পৌঁছান তিনি। উদ্বোধনী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিশরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশির। গ্রন্থমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চারটি বিভাগে নির্বাচিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হয়। চার লেখকের হাতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার পদক পেয়েছেন কবিতায় কাজী রোজী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্যে আফসান চৌধুরী, কথাসাহিত্যে মোহিত কামাল ও প্রবন্ধ-গবেষণা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

পুরস্কার প্রধান শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই আজকে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় যারা পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,‘ যারা গবেষণা করেন লিখেন, তারা আমাদের সমাজকে সমৃদ্ধি করে। তাদেরকে তো কোন মূল্যে বিচার করা যায় না। কিন্তু আমি চেষ্টা করবো সামনে সম্মানি ২ লাখ টাকা থেকে বাড়াতে। এ বছর ৪ জন পুরস্কার পেয়েছে। আগামী বছর আরও দশজনকে দেওয়া হবে।’

এরপর তিনি ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বই নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে তিনি জানান, ‘পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (আইবি) প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে তার কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট পাঠাতো। এরই ভিত্তিতে বিনা বিচারে আটক, মামলাসহ নানামুখী নির্যাতন চলতো। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামে স্পেশাল ব্রাঞ্চে খোলা ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট সংকলন করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা আমাদের ইতিহাসকে জানার জন্য এক অমূল্য সম্পদ। এই বইটি আমাদের আরও সমৃদ্ধ করবে।’ এ সময় তিনি বইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন,‘ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকতেই এটা অর্জন করি। ইতিমধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সকল মাতৃভাষা সংরক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। বইমেলা শুধু বই কেনাবেচা নয়, বই মেলা হচ্ছে আমাদের প্রানের মেলা। যদিও আগে যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন এই মেলায় আসতাম। ঘুরে বেড়াতাম সারাদিন। এখন তো আর সেই সুযোগ নেই। আর আসতে গেলে অন্যেরও অসুবিধা হয়। আমার নিরাপত্তায় যে অন্যের অসুবিধা হবে, সেটা বিবেচনা করেও অনেক সময় আসা হয় না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, সবসময় মনটা পরে থাকে এই বইমেলায়।’

এরপর প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। তার সঙ্গে ছিলেন শিল্প সাহিত্যের গুনী ব্যাক্তিত্বরা। 

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘বিজয়: বায়ান্ন থেকে একাত্তর (নবপর্যায়)’। একই সঙ্গে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যাত্রাও শুরু হয় এই মেলা থেকে।

প্রতিবছরের মতো একুশে গ্রন্থমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইয়ের দোকানগুলো। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে ‘হিট স্ট্রোক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নীলফামারীতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘হিট স্ট্রোক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠান

নীলফামারী সরকারী মেডিকেল কলেজের আয়োজনে জনসচেতনতা মূলক ‘হিট স্ট্রোক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্বে করেন নীলফামারী সরকারী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবু রায়হান মোঃ সুজা-উদ-দৌলা। 

 

অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোক রোধে করণীয়, চিকিৎসা ও প্রস্তুতি বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এএসএম রেজাউল করিম।

 

সেমিনারে জানানো হয়, তাপদাহে ‘হিট স্ট্রোক’ থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। চা, কফি পান করা থেকে এড়িয়ে চলা ভালো। চা, কফির ক্যাফেইন আপনাকে ডিহাইড্রেটেড (পানি শূন্য) করে ফেলতে পারে। ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরিধান করতে বলা হয়।

 

এছাড়াও বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একান্তই বের হওয়ার প্রয়োজন হলে ভারি কাজ এড়িয়ে চলা, ঘন ঘন বিরতি এবং বিশ্রামের জন্য ছায়া বা শীতল জায়গা খুঁজতে এবং ছাতা ব্যবহার করার কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবু বিন হাজ্জাজ ও সহকারী পরিচালক আরিফুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলিপ কুমার রায় ও নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম।


হিট স্ট্রোক   সেমিনার   দিকনির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও বৃষ্টি চেয়ে পাবনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

অতি তীব্র তাপদাহ, সাথে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষ। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল । তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পাবনায় সালাতুল ইসতিসকা অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হয়েছে।

 

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় পাবনা দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাবনাবাসী। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

 

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুস শাকুর।

 

তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

 

নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র-যুবকসহ শহরের আশপাশের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। 

 

মাওলানা আব্দুস শাকুর বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এটা যৌক্তিক একটি কারণ। আমরা যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন মালিকের কাছে ধর্ণা দেবো তিনি যেন রহমত বর্ষণ করেন। এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দয়া ভিক্ষা চাইছি। রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা মাঠে এসেছি, আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম, ক্ষমা চাইলাম। আমরা আশা রাখি আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে মাফ করে দিবেন এবং তিনি দয়া করে পরিবেশকে আবার সুন্দর করে দিবেন।’


তীব্র তাপদাহ   ইসতিসকার নামাজ   বৃষ্টির আশা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছয় দিনের সফরে থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংকক ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

এ সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ সফরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা রয়েছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


সরকারী সফর   থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ

ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে না দেয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের কুমিরগোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ আইরিন পারভীনকে (৪২) গলা টিপে ও মাছ কাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে তার অর্থলোভী পাষন্ড স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ (৪৪)। এছাড়া প্রায় ১ মাস ধরে ৫ বছরের মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর নাছিমা পারভীন বিনা (৪৭) নামের বোন ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখেছে। এরপর থেকে মায়ের জন্য রাতদিন কান্নাকাটি করে ৫ বছরের অবুঝ শিশু আবিদা আনজুম অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।

 

অর্থলোভী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরিয়ান ও চর বেলতৈল গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

 

এ ঘটনায় সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ জেলহক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি বাদীর লিখিত আবেদনটি আমলে নিয়ে আগামী ৭ মে আসামীদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন জানান, প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ২০১২ সালের ১১ মে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাকে মারপিট ও নির্মম নির্যাতন করে বেতনের সমুদয় টাকা হাতিয়ে নিতেন। এরপর ঢাকার উত্তরায় জায়গা কেনার কথা বলে প্রতি মাসে বেতনের ১৮ হাজার টাকা করে ৫ বছরে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

 

এরপর ওই জায়গা দেখতে চাইলে বিদ্যুৎ ওই জায়গা দেখাতে পারেননি। ফলে তাকে টাকা দেয়া বন্ধ করা হয়। এছাড়া সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক থেকে ডিপিএসের ১ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৫ টাকা , জনতা ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও রূপপুরের বাড়িতে এক তলা পাকা বিল্ডিং নির্মাণের সময় স্বর্ণের গহণা বিক্রির টাকা ও সোনালি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ তুলে নিয়েছেন। সোনালি ব্যাংকের ঋণের কিস্তি বাবদ প্রতি মাসে এখনও ১১ হাজার ৪০০ টাকা করে বেতন থেকে কেটে নেওয়া অব্যহত থাকা অবস্থায় আবারও  চর বেলতৈল গ্রামে জমি কেনার কথা বলে সোনালি ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে দিতে চাপ দেয়।

 

এতে রাজি না হওয়ায় গত ২৮ মার্চ ভোরে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বেধরক মারপিট করে। এছাড়া গলাটিপে ও মাছকাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর বেধরক মারপিট ও নির্যাতন করে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৯) ও মেয়ে আবিদা আনজুম (৫)কে আটকে রেখে তাকে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের রূপপুর পুরান পাড়ার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনি ওইদিন সকালে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের চুনিয়াখালিপাড়া মহল্লার বাবা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। এর ৭ দিন পর অসুস্থ হয়ে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক কৌশলে পালিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে।

 

অপরদিকে মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর গ্রামের বোন নাছিমা পারভীন বিনা ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে না দিলে একাধিক লোক মারফত ও মোবাইল ফোনে মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ হুমকির ফলে আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি। তিনি তার ৫ বছরের শিশু কন্যা আবিদা আনজুমকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতে দূর্বৃত্তরা আমার বাবার চুনিয়াখালি পাড়ার বাসভবনের নিচতলায় হামলা চালিয়ে একটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মারপিট, গলাটিপে ও বটি দা দিয়ে মারতে যাওয়ার ঘটনা দেড় বছর আগের। ২/১ মাসের মধ্যে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মেয়েকে আটকে রাখার ঘটনাও সত্য নয়। চুনিয়াখালি পাড়ার বাড়িতে হামলা জানালার গ্লাস ভাংচুরের সাথেও আমি জড়িত নই।  


হত্যা চেষ্টা   স্কুল শিক্ষিকা   অর্থ লোভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পত্তির লোভে মাকে ঘর ছাড়া করল ছেলে


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে রাতের অন্ধকারে মা ও বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমন অভিযোগ করেন দুই ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী ২ ব্যক্তি হলেন, পঁয়ষট্টি বছর বয়সী বৃদ্ধা সমমেহেরা বেগম ও তার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা জান্নাত আক্তার মুন্নি। অভিযুক্ত ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পান্না বেগম সম্পত্তি ও টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

 

ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের খন্ডলী পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত জাহাঙ্গির আলম ও পান্না বেগম সম্পর্কে ছেলে ও ছেলের স্ত্রী।

 

ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি বেগমসহ ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্বামী পরিত্যক্তা মুন্নি নিজের অর্থ দিয়ে পৈত্রিক কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন। নিজের টাকা দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী পান্নাকে ওই বাড়িতে থাকতে দেন তিনি। গভীর রাতে সম্পত্তি ও বসতঘর দখলের জন্য বৃদ্ধা মা ও বোনকে বের করে দেন জাহাঙ্গীর। বাড়ির চারপাশে টিন দিয়ে বন্ধ করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেয় রাতারাতি। বৃদ্ধা ওই দুই নারী এখন রাত্রি যাপন করে রাস্তায়।

 

মুন্নি বেগম আরো বলেন, তার সঞ্চয়কৃত দুই লাখ টাকা জাহাঙ্গীর ধার নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পাওনা টাকা দাবি করলে ও তার সম্পত্তি বিবাদীদের কাছে বিক্রি করবে না বলে জানালে তারা জোর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এখন তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার সাথে বাগানে, খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বলেও জানায়।

 

এদিকে এ ঘটনায় বক্তব্য নিতে গেলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পান্না বেগম কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ধরনের বন্টন নামা ছাড়া তার বোন সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ধরনের ক্রয় শুদ্ধ নয় বলে দাবি করেন তিনি।

 

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আনোয়ার বলেন, তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে জাহাঙ্গীর বাড়িতে নেই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার কথা জানান এই জনপ্রতিনিধি।


মাকে ঘর ছাড়া   সম্পত্তির লোভ   অর্থ আত্মসাৎ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন