নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫২ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭ টি ইউনিটের সঙ্গে বিমান বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে এখনো বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনগুলো এখনো উত্তপ্ত হয়ে আছে। এ কারণে দমকল কর্মীরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে বাধার মুখে পড়ছেন। তাপ কমিয়ে আনতে ভবনগুলোর ওপর হেলিকপ্টার থেকে পানি ছোড়া হচ্ছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ৭০ টি মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সেখানকার বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো অন্তত ৪১ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টার অন্তত ৪ টি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি প্রাইভেট কারের গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবনগুলোতে রাসায়নিকের গোডাউন থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।