নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্য করা হয়েছে। আজ শনিবার ডাকসু’র প্রথম সভাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংসদের নবনির্বাচিত নেতারা।
ডাকসুর প্রথম কার্যকরী সভায় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিমা অর্ণি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব তোলেন। পরে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সভাপতির কাছে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার বিরোধিতা করেন নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর। যদিও কমিটির বাকি ২৪ জন সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাবে একমত পোষণ করেন এবং শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব পাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেয়ার বিরোধিতা করে নূর বলেন, ‘যেহেতু এই নির্বাচন বিতর্কিত সেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেয়া উচিৎ নয়।’
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে আসেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সদস্যরা। সেদিন প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ সম্বোধন করেন বারবার রং বদলানো নুরুল হক নূর। আর আজ তিনিই ডাকসুর প্রথম কার্যকরী সভায় প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার বিরোধিতা করলেন।
এর আগে, আজ বেলা সাড়ে এগারটা নাগাদ শুরু হয় ডাকসুর কার্যকরী সভা। এ সভা শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ভিপি নুরুল হক নূর, জিএস গোলাম রাব্বানীসহ নির্বাচিত সদস্যরা। সভায় উপস্থিত আছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।