ইনসাইড বাংলাদেশ

কাজ ছাড়া কাছের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

একজন রাজনীতিবিদের জীবন কর্মব্যস্ততায় ভরা। তাকে সারাক্ষণ কাজের মধ্যে থাকতে হয়। কখনও দেশের কাজ, কখনও দলের কাজ। রাজনৈতিক কলাকৌশলের গোপন বৈঠকেও বসতে হয়। সারাক্ষণ নানারকম ব্যস্ততা, নানারকম বৈষয়ক চাহিদা, নানারকম ঝঞ্ঝাট মেটানোই রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব। আর তিনি যদি সরকার প্রধান হন তাহলে তো কথাই নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারাদিনই কাটে ব্যস্ততার মধ্যে। নানারকম সরকারী কাজ, দেনদরবার, তদবির আবদার, আর রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণেই তার কর্মব্যস্ত সময় কাটে। এর মধ্যেই তার একান্ত কাছের কিছু মানুষ আছেন, যাদের সঙ্গে তিনি রাজনীতি, স্বার্থ, তদবির, দেন-দরবারের বাইরে শুধুমাত্র কিছুটা নির্মল সময় কাটান। এই নির্মল সময় কাটানো প্রত্যেক মানুষের জন্যই জরুরি। প্রত্যেকেই তাদের কাজ, স্বার্থের সংঘাতের বাইরে একটা বলয় গড়ে তোলেন, যেখানে তিনি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারেন, মন খুলে কর্থাবার্তা বলতে পারেন। কিছুটা স্বার্থহীন সময় কাটাতে পারেন।

একটা মানুষের যেমন এইরকম স্বার্থহীন সম্পর্কের নিরেট আড্ডা জরুরি, তেমনি রাজনীতিবিদদের জন্যও এরকম স্বার্থহীন, নির্মল আলাপচারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে যে কোন রাজনীতিবিদই দমবন্ধ অবস্তায় পড়তেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীরও এরকম দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য কিছু কাজহীন কাছের মানুষ আছেন। তার কাজহীন কাছের মানুষের মধ্যে নিঃসন্দেহে তার পরিবারের সদস্যরা সবার আগে। সেখানে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, তার দুই সন্তান ও তাদের সন্তানরা অবশ্যই এই কাজহীন সম্পর্কের প্রধান বলয়। এই প্রধান বলয়ের বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর কাছের কিছু মানুষ আছেন যাদের সঙ্গে তিনি নির্মল সময় কাটান। যাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে, হাসি ঠাট্টা করে, কিংবা স্বার্থহীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে স্বস্তি পান। এই স্বস্তিটাই তাকে কর্মদীপ্ত করে এবং একটা ঝঞ্ঝাটমুক্ত সময় কাটিয়ে তিনি আবার সজীব হয়ে ওঠেন। এরকম কিছু মানুষের আমরা সন্ধান পেয়েছি যারা কোন রকম কাজ বা স্বার্থ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষ। এদের মধ্যে কয়েকজন নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।

১. চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ: শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে একজন। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে তাকে খুবই পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শাহাবুদ্দিনের সম্পর্ক ভাইবোনের। প্যারিসপ্রবাসী এই শিল্পী প্রধানমন্ত্রী ডাক দিলেই ছুটে চলে আসেন। সম্প্রতি তিনি টাঙ্গাইলের কুমুদিনীর এক অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বাংলাদেশের এসেছিলেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। পরে গণভবনে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন। গণভবনের জন্য একটি নতুন ছবির পরিকল্পনাও তিনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলাপচারিতা হয় ছবি, চিত্রকলা, সর্বশেষ চিত্রকলার অবস্থা নিয়ে। অনেকেই হয়তো জানেন না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ভালো চিত্রবোদ্ধা। তিনি ভালো ছবি বোঝেন এবং গণভবনে ওঠার পর থেকে তিনি গণভবনকে সাজিয়েছেন নানারকম চিত্রকলার সমাহারে। শিল্পী শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক আবেগঘন এবং অনেক পুরনো। সেকারণেই তার সঙ্গে যখন প্রধানমন্ত্রীর সময় কাটে তখন স্বার্থের কোন বেড়াজাল থাকে না।

২. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা: রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা একজন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানার সঙ্গে একই স্কুলে পড়তেন। সেই সূত্রে তাদের একটি পারিবারিক সখ্যতাও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বড় বোন ছোট বোনের। প্রধানমন্ত্রীর বিনোদনের একটি বড় উৎস হলো রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান। যে চ্যানেলেই বন্যার গান হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রী সেসময় অবসরে থাকলে সে গান তিনি শুনবেনই। প্রধানমন্ত্রী বন্যার গানের সিডিগুলো নিজের কাছে রাখেন। একটু অবসর পেলেই সেই গানগুলো তিনি বারবার শোনেন। কিছুদিন আগে বন্যার এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ফোন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। বন্যাকেও প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে ডেকে নেন। তার গান শোনেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত ও সঙ্গীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন। যে আড্ডাটা শুধুই নির্মল, সেখানে কোন চাওয়া পাওয়ার সম্পর্ক নেই।

৩. ডা. নুজহাত চৌধুরী: ডা. নুজহাত চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবি ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে। তিনিও পেশায় চিকিৎসক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন। চিকিৎসক পরিচয়ের আড়ালে তার বড় পরিচয় হলো তিনি একাত্তরের শহীদদের সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম একাত্তর’ এর অন্যতম নেতা। তিনি প্রধানমন্ত্রী খুবই স্নেহের পাত্র। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মাঝে মাঝেই সাক্ষাৎ হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন। কিন্তু সে বিষয়গুলোর মধ্যে কোন স্বার্থ, দেন-দরবার বা কোন তদবির নেই। নুজহাত চৌধুরী কোন মন্ত্রী বা এমপিও নন। এ ধরনের দায়িত্ব গ্রহণে কখনও কোন আগ্রহ তার আছে বলে জানা যায় না। চিকিৎসা করেন, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কথা বলেন। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার নানা বিষয় নিয়ে আলাপচারিতাও ভালই জমে।

এই তিনজন ছাড়াও আরও কিছু মানুষ আছে প্রধানমন্ত্রী যাদেরকে ডেকে নেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সজীব হয়ে ওঠেন। যাদেরকে প্রশ্রয় দিলেও তারা তাকে ব্যবহার করবে না, তাকে ব্যবহার করে কোন কিছু হাসিল করতে চাইবে না বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুযোগে কোন অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেবে না, এরকম কিছু মানুষকে ঘিরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষের বলয়। যে বলয়ে কোন কাজ নেই। যারা প্রধানমন্ত্রীর জীবনে টনিক হিসেবে কাজ করেন।    

 

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএমপির দুই পদে ৪ জনের বদলি

প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার দুই জন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিএমপি হাবিবুর রহমানের সই করা অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে উল্লিখিত স্থানে বদলি অথবা পদায়ন করা হলো। এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ডিএমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়ল। আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিনদিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দেই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ড্রাম ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে গিয়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে  আহত হয়েছে আরও ৮ শ্রমিক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কাজ শেষে ফেরার পথে উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ওই গাড়িতে মোট ১৭ জনশ্রমিক ছিলেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজটি কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রেরণ করছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলো সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

রাঙামাটি   সাজেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে কুশপুত্তলিকা দাহ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রায়পুর। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ‘আমরা পৌরবাসী’র ব্যানারে নানা প্ল্যাকার্ড, ঝাড়– মিছিলসহ বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুর থানা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে আঞ্চলিক সড়কের পাশে মামলার বাদী মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধরা। 

মঞ্জুরুল আলম রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার।

এসময় মঞ্জুরুল আলমের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার বিচার দাবি করেন বক্তারা।

এর আগে পৌরসভার নিয়ম নীতি না মেনে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পৌর কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার দায়ে মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠানে মেয়রকে নানা কটাক্ষ করেন মঞ্জুরুল আলম। পরে রোববার (২১ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে রায়পুর পৌরসভার মেয়রসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপু, কর্মচারী আলম মিয়া, সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও আবু তাহের সাগর।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন