নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৫ এএম, ১১ এপ্রিল, ২০১৯
অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবার সংকল্প করেছিলেন নুসরাত। নুসরাতের পড়ার টেবিল থেকে উদ্ধার করা এক চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কারাগারে থাকা ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে যারা অংশ নিয়েছিলো তাদের প্রতি ক্ষোভ ছিলো নিপীড়নের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের।
গত ২৭ মার্চ সিরাজউদ্দৌলা যে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছিলেন তার বর্ণনা রয়েছে চিঠিটিতে। এজন্য নুসরাতকে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভনও দেখিয়েছিলেন এই অধ্যক্ষ।
চিঠিতে নুসরাত লেখেন এ ঘটনায় তিনি আত্মহত্যা করবেন না। তবে সিরাজউদ্দৌলা গ্রেপ্তার হলে তার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বান্ধবীদের অংশগ্রহণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নুসরাত। শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই যাওয়ার প্রত্যয় ছিলো চিঠির ভাষায়।
সহপাঠীদের উদ্দেশে নুসরাত লিখেছেন, ‘তোরা সিরাজুদ্দৌলা সম্পর্কে সব জানার পরও কিভাবে তার মুক্তি চাইতেছিস, তোরা জানিস না ঐদিন ক্লাসে কি হইছে, উনি আমার কোন জায়গায় হাত দিয়েছে এবং আর কোন জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে।
‘উনি আমাকে বলছে, নুসরাত ঢং করিও না। তুই প্রেম করিস না, ছেলেদের সাথে প্রেম করতে ভাল লাগে? ওরা তোরে কি দিতে পারবে, আমি তোকে পরীক্ষার সময় প্রশ্ন দেব।’
পুলিশের ধারণা, চিঠিটি তার দুই বান্ধবী তামান্না ও সাথীকে উদ্দেশ্য করে লেখা। চিঠিটি আলামত হিসেবে জব্দ করেছেন তারা।
বুধবার রাত, সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।
সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত পাঁচ দিন ধরে নুসরাত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর লড়াই করেছেন নুসরাত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার কথা থাকলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন