ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

অবশেষে শুরু হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠনের প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভবনটি ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, দীর্ঘ আইনি জটিলতার অবসান শেষে আমরা উচ্চ আদালত কর্তৃক নতুন করে কোন প্রকার সময় বৃদ্ধি বা ভবন ভাঙ্গা কার্যক্রম স্থগিত রাখতে কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় বিজিএমইএ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করছি।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবনটি ভাঙ্তে বিজিএমইএকে দেওয়া সময় পার হয়ে যাওয়ার পরই সরকার এই ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করছে। ভবনটি ভাঙার সময় পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, পুরো ভবনটি ভাঙতে একদিন সময় লাগবে। ভাঙার আগে বিজিএমইএ ভবনের সব ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন গ্যাস বিদ্যুত, পানি, টেলিফোন লাইনসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভবনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এছাড়া ভবনটি থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে অফিস মালিকদের স্বল্প সময় প্রদান করা হতে পারে। এরপরই মূল ভবন ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

 


রানা প্লাজা   ট্রাজেডি   ১১ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে শত টাকায় মিলবে চক্ষু চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নীলফামারীতে দীপ আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন

নীলফামারীতে চক্ষু রোগীদের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিশ্চিত করতে দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। এখানে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা।

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সদরের সংগলশী ইউনিয়নের ইপিজেড মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। 

 

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দীপ আই কেয়ারের হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম ও প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার   এ.কে.এম নুরুল কবির। উদ্বোধনী দিনে প্রায় চার শতাধিক চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।

 

এসময় হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম জানান,'ইপিজেড ভিশন সেন্টারে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা। সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন চক্ষু রোগীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চোখের চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন।


চক্ষু সেবা   দীপ আই ফাউন্ডেশন   চক্ষু পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপদাহ: অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশে হচ্ছে তীব্র তাপদাহ। টানা কয়েক দিনের তাপদাহের ফলে অস্বস্তিতে জনজীবন। নেই বৃষ্টির ছাপ। উত্তপ্ত রোদে পুড়ছে দেশের মানুষ। তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। ব্যাঘাত ঘটে মানুষের চলাচলে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাত গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গায় হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা থেকে বিদ্যুৎ চমকানোর পর শোনা যায় মেঘের গর্জন। এর ১০ মিনিট পরই শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা থেকে বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হয়। বিদ্যুৎ চমকানোর ফলে আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় মেঘের গর্জন। রাত ১টা ১০ মিনিটে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তীব্র তাপদাহের পর রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। রাতে ২০ মিনিটে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়’। 

টানা কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহ চলমান ছিল। জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়। এ মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপদাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। ব্যাঘাত ঘটে মানুষের চলাচলে


তাপদাহ   ‍বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: ইসতিসকার নামাজসহ ব্যাঙের বিয়ে, নেই বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:৪৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বেশিরভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কৃপা কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া বৃষ্টির আশায় রাজশাহী ও নাটোরে ধুমধাম করে ‘ব্যাঙের বিয়ে’ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনই বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কোথাও কোথাও। তবে ঢাকাসহ দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপপ্রবাহ আজ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গতকাল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখীলী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, অপরিবর্তিত থাকতে পারে রাতের তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি বিরাজ করবে। আগামীকাল সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহী বিভাগের পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গোপালগঞ্জে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবানে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনা বিভাগের যশোর ও খুলনায় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ময়মনসিংহে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ছিল চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল।

ইসতিসকার নামাজ আদায়

বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কৃপা কামনা করে গতকাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুহাত তুলে চোখের পানি ফেলেন মুসল্লিরা। রাজধানীর আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে গতকাল সকালে শায়খ আহমাদুল্লাহর ইমামতিতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন শতাধিক মুসল্লি। নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে খুতবা ও দোয়া করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এ সময় তিনি বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। এখনই সচেতন না হলে সামনের দিনে আরও বিপদে পড়তে হবে।

খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে গতকাল সকাল ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়ালের ইমামতিতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তিন দিনব্যাপী ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল প্রথম দিনে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি। মোরেলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল হক তালুকদারের আহ্বানে গতকাল সকাল ৭টায় উপজেলা সদর আবদুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন মোরেলগঞ্জ বাজার চাউলাপট্টি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আলী।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, নাটোরের লালপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটায় বৃষ্টি কামনায় মুসল্লিরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন বলে জানিয়েছেন আমাদের সংবাদকর্মীরা।

ব্যাঙের বিয়ে

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তাঁতারপুর গ্রামে ব্যাঙের বিয়ে দেন স্থানীয়রা। ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে’ গানটি গেয়ে ষাটের অধিক বাড়িতে বৃষ্টির জন্য আর্তনাদ করেন তাঁতারপুর গ্রামের শিশুসহ একদল নারী-পুরুষ। প্রতীকী পুকুর খননের পর ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় গ্রামের ওসিমুদ্দিন মণ্ডলের আমবাগানে ভোজের আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে, এর আগেরদিন সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামে মহাধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিয়ের জন্য ছায়াম গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজন সব আয়োজনই ছিল। বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দম্পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার। হয় এ 


তাপপ্রবাহ   ইসতিসকার নামাজ   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বজনপ্রীতিতে ভেঙে পড়েছে চেইন অব কমান্ড

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সন্তান, আত্মীয়স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে বিরত না রাখার কারণে, শাস্তির মুখোমুখি পড়তে যাচ্ছেন এমপি-মন্ত্রীরা। দলীয় সভানেত্রীর কড়া নির্দেশনার পরও তারা তাদের এ ধরনের কাজ জারি রেখেছে।

৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন। রাজনীতি-বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের দলীয় চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে।

এমপি-মন্ত্রী এমনকি কিছু কেন্দ্রীয় নেতাও দলীয় প্রধানের নির্দেশনা মানেননি। এটা সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম। শৃঙ্খলা-পরিপন্থি কাজ। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বহিষ্কারসহ নানা শাস্তির কথা গঠনতন্ত্রে রয়েছে। এর আগে একাধিকবার গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে কাউকে কাউকে বহিষ্কার করা হলেও পরে আবার সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। দলীয় পদবি এমনকি মনোনয়নও দেওয়া হয়েছে তাদের। সে কারণে এবারের উপজেলা নির্বাচনেও দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা আমলে নেননি অনেক এমপি-মন্ত্রী।

প্রথম ধাপের ভোটে গত সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিনেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা। এসব প্রার্থীর বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, যারা দলীয় নির্দেশ অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা মূলত দলের শৃঙ্খলা মেনে চলছেন না। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করছেন। তাদের বিষয়ে দল অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সর্বজনীন করার জন্য দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি-মন্ত্রীদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এ চাপ এখনো বহাল রয়েছে। প্রথম ধাপের ভোটে কিছু এমপি-মন্ত্রী দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা রেখেছেন। কেউ কেউ রাখেননি। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। আশা করি তারা দলীয় প্রধানের কথা রাখবেন। যারা দলীয় সভানেত্রীর কথা রাখেননি, তাদের ব্যাপারে ৩০ এপ্রিল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।’

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করার পেছনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিজের পক্ষে নানা যুক্তিও দিচ্ছেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে দলের নির্দেশনা এসেছে ১৮ এপ্রিল। আর প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ এপ্রিল। এজন্য কোথাও কোথাও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কিংবা আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হয়ে গেছেন। তাদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীও নেই। স্থানীয় মন্ত্রী-এমপিরা নিজেদের স্বজনদের প্রার্থী ঘোষণা করায় অন্যরা আর প্রার্থী হওয়ার সাহস পাননি। প্রথম ধাপের ভোটে অনেক এমপি-মন্ত্রী দলীয় সভানেত্রীর কথা তো শোনেনইনি, দ্বিতীয় ধাপেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে দেনদরবার শুরু করেছেন কেউ কেউ।

দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লা সদর আসনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন কুমিল্লা-১০ আসনের এমপি, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই গোলাম সারোয়ার। আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে এসেছিলেন তাঁর ভাইয়ের পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীকে কাজ করতে যেন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহারউদ্দিন বাহারকে ফোন করেন। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক সরাসরি না করে দেন। একই সঙ্গে দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা মানার কথা বলেন সাবেক অর্থমন্ত্রীকে।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাদিকের ভাগনে ফজলে রাব্বী স্বরনও সদর আসনে প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন।

প্রথম ধাপে যেসব এমপি-মন্ত্রীর স্বজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান এবং চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান (শফিক) খান মাদারীপুর সদর উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও টাঙ্গাইল-১ আসনের এমপি ড. আবদুুর রাজ্জাকের দুই স্বজন তাঁর নির্বাচনি এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আবদুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুন অর রশিদ হীরা ও মামাতো ভাই মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তপন ধনবাড়ী উপজেলায় নির্বাচনি মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তে অটল আছেন।

শেষ দিনেও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান আতা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। আতা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই।

গাজীপুর-১ আসনের এমপি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের আপন ভাতিজা পরিচয় দেওয়া মুরাদ কবীর গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তবে মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুরাদ তার আপন ভাতিজা নন, দূর সম্পর্কের ভাতিজা।

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ও পাশের সোনাতলা উপজেলায় তাঁর ভাই মিনহাদুজ্জামান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিনাজপুর-৫ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের চাচা মোহাম্মদ আলী, চাচাতো ভাই আলী আফসার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি।

পাবনার বেড়া উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ভাই সাবেক বেড়া পৌর মেয়র আবদুল বাতেন।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ভাগনে জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল নির্বাচন করছেন।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বর্তমান এমপি আলী আজগর টগরের পরিবারের দুজন অংশ নিচ্ছেন। এঁরা হলেন ভাই আলী মুনছুর বাবু এবং তাঁদের চাচা সহিদুল ইসলাম।

নীলফামারী-১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের চাচাতো ভাই আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু ও ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজ নির্বাচন করছেন।

নেত্রকোনা-১ আসনের এমপি মোশতাক আহমেদ রুহির চাচাতো ভাই মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান কলমাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা) আসনের এমপি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আপন ফুপাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন রয়েছেন নির্বাচনে।

প্রথম ধাপে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি আলহাজ শরীফুল হক। সম্পর্কে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের স্ত্রীর বড় ভাই।

মৌলভীবাজার-১ আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের ভাগনে শোয়েব আহমদ বড়লেখা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকলেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ও পিরোজপুরে-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী।

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী অমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নোয়াখালী ৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলীয় সভানেত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেখানে অনেকের বোধোদয় হয়নি। শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি। যারা দলীয় প্রধানের নির্দেশনা মানেন না, জনগণও তাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করবে। ৩০ এপ্রিল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা না মানা অত্যন্ত দুঃখজনক। দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


উপজেলা নিবার্চন   স্বজনপ্রীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন