ইনসাইড বাংলাদেশ

জায়ানের বিকালটা যেমন কাটতো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

শ্রীলঙ্কার বোমা হামলায় নিহত জায়ান চৌধুরীর দাদাবাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জের ভাটিপাড়ায়। জায়ানের বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স এম এইচ চৌধুরী পারুলের ছেলে। প্রিন্স আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ে শেখ সোনিয়ার স্বামী।

জায়ান প্রিন্স-সোনিয়া দম্পতির বড় ছেলে। মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ছুটি কাটাতে জায়ানরা শ্রীলংকায় গিয়েছিল। সেখানে কলোম্বতে একটি হোটেলে ওঠেন তারা। রোববার কয়েকটি গির্জা ও পাঁচতারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই বোমা হামলায় শেখ সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হয় এবং তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স গুরুতর আহত হন।

আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরীর (৮) মরদেহ কাল মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে আনা হবে। তার দাফন হবে বনানীতে। বোমা হামলায় পর মশিউল হক চৌধুরী আহত হন এবং জায়ানকে অনেকক্ষণ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে হাসপাতালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর আগে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল শিশু জায়ান। রাতে শিশুটির মৃত্যুর খবর পায় পরিবারের সদস্যরা।

জায়ান চৌধুরী ক্রিকেট খেলতে খুব ভালোবাসতো। প্রতিদিন বিকেল হলেই ব্যাট-বল হাতে বাসার নিচে চলে যেত। জায়ান চৌধুরী আর ক্রিকেট খেলবে না। শেখ সেলিমের বাসার বিপরীতে ১০ নম্বর বাসার গাড়িচালক বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার খবর শুনে নিজেকে খুব খারাপ লাগছে। বাসার কেয়ারটেকারের সঙ্গে সে ক্রিকেট খেলত। অনেক সময় বল বাসার বাইরে রাস্তায় চলে আসত। আমি সে বল কুড়িয়ে আবার ভেতরে পাঠাতাম। ছেলেটা প্রতিদিন বিকেল হলেই বল ও ব্যাট নিয়ে নিচে নেমে বাসার কেয়ারটেকারদের সঙ্গে খেলত।’

তিনি বলেন, ‘উত্তরা সান-বীম স্কুলের ক্লাস টু-এর ছাত্র জায়ান চৌধুরী ছেলে হিসেবে খুব ভালো ছিল। শান্ত মেজাজের ছেলে ছিল সে।’তার মৃত্যুতে সান-বীম স্কুলের সহপাঠীদের মনেও শোকের ছায়া নেমে আসে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাবিকদের নিয়ে দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা 'এমভি আবদুল্লাহ' ২৩ নাবিক নিয়ে এখন দুবাইয়ের পথে আছে। বিপদজনক এলাকা অতিক্রম করে জাহাজটি নিরাপদ জোনে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে চলছে। আগামী ২২ এপ্রিল সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

র্দীঘ ৩১ দিন পর বন্দিদশা থেকে মুক্ত নাবিকরা অনেক মানসিক শান্তিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

কবির গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, বিপদজনক এলাকা অতিক্রম করে এমভি আবদুল্লাহ এখন নিরাপদ জোনে অবস্থান করছে। আগামী ২২ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি। নাবিকরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছে। তারা দ্রুত সময়ে দেশে ফিরে আসবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি আবদুল্লাহ'। 


নাবিক   দুবাই   এমভি আবদুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩৩ বছর পর জানা গেল সুফিয়া অবস্থান পাকিস্তানে, ফেরার অপেক্ষায় স্বজনরা

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

১৯৯০ সালে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুফিয়া বিবি (৫৯)। পরিবারের লোকজন ওই সময় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে হাল ছেড়ে দেন স্বজনরা। ধারণা ছিল, সুফিয়া হয়তো বেঁচে নেই।

গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘দেশে ফেরা’ নামের একটি পেজে সুফিয়ার পরিচয়সহ ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রচার করে পরিবারের সন্ধান চাওয়া হয়। পরে তা দ্রুত ভাইরাল হয়। সুফিয়ার পরিবারের সদস্যরাও তাকে চিনতে পেরে ফিরে পেতে উদ্‌গ্রীব হয়ে উঠেন।

ফেসবুকে সুফিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে রয়েছেন পাকিস্তানের করাচির ছোট একটি গ্রামে। সুফিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ নাওপাড়া গ্রামে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুফিয়ারা ছয় ভাই ও পাঁচ বোন। ভাই–বোনের মধ্যে সুফিয়া চতুর্থ। ১৯৭৮ সালের দিকে তাঁর বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের সৌলাপাড়া গ্রামের আবদুল জব্বারের সঙ্গে।

এরপর সুফিয়ার কোলজুড়ে আসে দুই মেয়েসন্তান, নাম রাখা হয় জোবেদা বেগম ও ছোবেদা বেগম। বিয়ের সাত বছর পর স্বামী জব্বার মারা গেলে দুই সন্তান নিয়ে সুফিয়া ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে বাবার বাড়ি থেকে অভিমান করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সুফিয়ার বয়স ছিল ২৫-২৬ বছর। তার নিখোঁজের বছর দুয়েক পর বড় মেয়ে ছোবেদা এবং ১৬ বছর পরে ছোট মেয়ে জোবেদা মারা যান। অন্তত ২০ বছর আগে মারা গেছেন সুফিয়ার বাবা চাঁন মামুদ ও মা শরিতন নেছাও। তবে তাঁর সব ভাই-বোন এখনো বেঁচে আছেন।

সুফিয়ার ভাই সহিদার রহমান বলেন, ‘সোমবার রাতে ফেসবুকে ভিডিওতে দেখতে পাই, আমার বোন সুফিয়া মা–বাবা, ভাই–বোন সবার নাম বলছেন। তবে বোনকে দেখেই আমি চিনতে পারি। গত বুধবার মুঠোফোনে ভিডিও কনফারেন্স করে আমরা সব ভাই–বোন তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। এ সময় বড় বোন সুফিয়া আমাদের খোঁজখবর নেন এবং দেশে ফেরার জন্য আকুতিমিনতি করেন। সুফিয়া বর্তমানে পাকিস্তানের করাচিতে আছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে তিনি পাকিস্তানে গেছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি। এখন বোনকে কীভাবে আমরা ফেরত পাব, তা বুঝতে পারছি না। তবে আমরা তাঁকে ফেরত পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।’

সুফিয়ার আরেক ভাই মতিয়ার রহমান বলেন, ‘৩৩ বছর আগে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বড় বোন সুফিয়া। তাকে অনেক জায়গায় খুঁজেও পাইনি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তিনি বেঁচে নেই। হারিয়ে যাওয়ার পর মা–বাবাও শোকার্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁরা আজ বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে এখন আমরা বোনকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’

মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। আমিও চাই, সুফিয়া নিজ দেশে স্বজনদের কাছে ফিরে আসুক। এখন সুফিয়ার স্বজনেরা যে ধরনের সহযোগিতা চাইবে, তা করা হবে।’

বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘সুফিয়ার বিষয়টি শুনেছি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে।’


পাকিস্তান   সুফিয়া   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ নেতাকে হুমকি দিলেন এমপি

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ডানে; অভিযুক্ত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে মোবাইল ফোনে পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হুমকি দেন এমপি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দেওয়া কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে হুমকির ওই কল রেকর্ডটি ভাইরাল হয়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জুম্মান আহমেদ লিছন। তিনি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

৩১ সেকেন্ডের ওই কল রেকর্ডটিতে জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুম্মান আহমেদ লিছনকে উদ্দেশ করে সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুকে বলতে শোনা যায়, ‘এ তুমি ফেসবুকে কী লিখছো মোর সম্পর্কে? তোমার এতখানি অডাসিটি? ভাবোকি নিজেরে? তাজমহল সাহিত্য চো... না! ঠ্যাং ভাইঙ্গা...দিমু, তুই চেনো আমারে? তুই তাজমহল ল্যাহো, আমি ওহানে গেছি একটা দলের প্রোগ্রামে, পৌরসভার প্রোগ্রামে। আমার সম্পর্কে নেগেটিভ লেখো? তোর রাজনীতি আমি... ভরে দেব। তুই চেনো আমারে? বেশি বাড়ছো তোরা, অসভ্য।’

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুম্মান আহমেদ লিছন বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমনটা হয়েছে। তাকে যে পোস্টের স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে সেটি সুপার এডিট করা। তবে একজন সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, সেটা কাম্য নয়।

এ বিষয়ে বরগুনা-১ আসনে সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আমি ঢাকায় যাচ্ছি, এসে মিটিং ডেকে আমাদের মতামত দেব।


ছাত্রলীগ   গোলাম সরোয়ার টুকু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কেএনএফের হাতে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি

প্রকাশ: ০৮:৩৭ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার হওয়ার পর বান্দরবানের রুমা শাখা থেকে বিশেষ বিবেচনায় তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বান্দরবানের রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন দাশকে শাখাটির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রীতি কুসুম চাকমার সই করা এক নোটিশে তাদের বদলি করা হয়।

ওই নোটিশ অনুযায়ী, বান্দরবানের রুমা শাখার নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায় এবং কে. বি বাজার শাখার ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার (চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ। তখন ব্যাংকের ভল্ট খুলতে না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে উদ্ধার করা হয়।


কেএনএফ   ব্যাংক ম্যানেজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৬ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল, তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।


সমাজকল্যাণ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন