নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯
অবশেষে ঘুম ভেঙেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের। নুসরাত হত্যা ও নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আগামী ৩০ এপ্রিল সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এটি একটি ভালো উদ্যোগ হলেও বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে প্রায় সবাই যখন প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, তখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা অনেকটা নিশ্চুপই ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২০ দিন পেরিয়ে যাবার পর অবশেষে তারা কর্মসূচী ঘোষণা করলেন।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নৃশংস এবং ঘৃণ্য একটি কাজ। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়টিও একটি সামাজিক সমস্যা। এই বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্যই প্রতিবাদ জানানো উচিত। সেদিক দিয়ে নুসরাত হত্যা ও নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ অবশ্যই ভালো একটি উদ্যোগ। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের নেতারা যদি এই ইস্যুটিকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে সেটা একটি নিন্দনীয় কাজ হবে।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের পর সচেতন নাগরিকরা যে যার জায়গা থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সারাদেশেই নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তখন নিশ্চুপ ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এই ঘটনার ২০দিন পেরিয়ে যাবার পর তারা কর্মসূচী ঘোষণা করলেন। এ কারণেই তাদের এই কর্মসূচীটা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। তাদের আসল উদ্দেশ্যটা কী তা নিয়েও সন্দেহ জাগছে। সামাজিক একটি ইস্যুকে রাজনৈতিক মোড়কীকরণ করে তারা নুসরাত হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করছেন কিনা সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফন্টের নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এ বৈঠকেই আগামী ৩০ এপ্রিল বিকাল চারটায় রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন ফ্রন্টের নেতারা। করবে বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এই কর্মসূচি নেওয়া হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।