নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৬ মে, ২০১৯
দুই মাসেরও বেশি সময় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে গতকাল বুধবার দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিমান বন্দরে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি সরাসরি চলে যান গণভবনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে সালাম করেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে স্নেহের বন্ধনে জড়িয়ে ধরেন। এসময় দুজনেই ছিলেন অশ্রুসিক্ত। প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। তিনি আগামী ক’টা দিন ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন। তার বাসায় যেন ভিড় করা না হয় সে ব্যাপারে অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে, বাইপাসটা হলো একটা নতুন জীবন। এখন কয়েকটা দিন একটু নিয়ম মেনে চললে আর কোনো সমস্যা হবে না। সঠিকভাবে চললে যেকোনো মানুষের চেয়ে বেশি কাজ করতে পারবে।
এসময় ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়, চিকিৎসা এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। চিকিৎসকরা যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।