ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার উপর যতো হামলা ও বিচারের অগ্রগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০১৯


Thumbnail

১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, আর এরপর থেকে তাকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যায়ে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে আরও অন্তত পাঁচ দফা। শেখ হাসিনার ওপর এসব হামলার ঘটনায় অন্তত ৬৬ জন দলীয় নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার হিসাব আছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। তার মতো বিশ্বের খুব কম নেতারই এত হত্যাচেষ্টা মোকাবিলা করে দেশ পরিচালনা করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশ পরিচালনা নয়, বাংলাদেশের অতীতের কালিমাগুলোও মুছে দিয়েছেন। আর এ কারণেই পদে পদে তার শত্রুর মোকাবিলা করতে হয়েছে। কোটি মানুষের ভালোবাসায় তিনি আজও সেবা করতে পারছেন দেশ ও জনগনের।

হামলার সময়কাল:

হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে দুটি। ১৯৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে চারটি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে চারটি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে চারটি, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে একটি ও আওয়ামী লীগের বর্তমান আমলে চারটি হত্যাচেষ্টার কথা জানা যায়। সরাসরি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করেই ১৪ টি হামলার ঘটনা ঘটে।

কোথায় হামলা হয়?

শুধু ঢাকাতেই শেখ হাসিনার সাতবার সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয়ের সামনে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তখন মারা যান যুবলীগ কর্মী নূর হোসেন। ’৮৯ সালের ১১ আগস্ট ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে হামলা করে ফ্রিডম পার্টি। হত্যার উদ্দেশ্যে ৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন চলাকালে রাজধানীর গ্রিন রোডে ও ৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর ধানমন্ডির রাসেল স্কোয়ারে জনসমাবেশে গুলিবর্ষণ করা হয়। এরপর ৯৬ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মাইক্রোবাস থেকে সভামঞ্চ লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। ২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় যাওয়ার পথে কারওয়ান বাজারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। আর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। সেখানে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও মারা যান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতা-কর্মী। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি, ঈশ্বরদীতে ৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হামলা হয় ২০০০ সালের ২০ জুলাই। কোটালীপাড়ার মামলাটির ইতিমধ্যেই বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। খুলনায় ২০০১ সালের ২৯ মে, একই বছর ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয়, ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ও ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা করে হুজি, জেএমবি, জামায়াত ও বিএনপি। সবশেষ হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়।

বিচারের অগ্রগতি:

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি এরশাদ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আটদলীয় জোটের জনসভা ছিল। সেই জনসভায় যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার ট্রাকমিছিলে সশস্ত্র হামলা হয়। চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পাশে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে নিহত হন ৩০ জন। শেখ হাসিনাকে মানববর্ম তৈরি করে রক্ষা করতে গিয়ে নয়জন নেতা-কর্মী নিহত হন। তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। সাক্ষীর অভাবে থমকে আছে বিচারকাজ।
দীর্ঘ ১৮ বছরেও বিচারকাজ শেষ হয়নি ২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে হত্যাচেষ্টার। এ মামলার অন্যতম আসামি জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানকে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তবে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর শাকিল ও ওবায়েদ জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানা যায়।

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড ছোড়া হয়। শেখ হাসিনা তখন ওই বাসাতেই থাকতেন। এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৭ সালের দিকে। ২৮ বছরের আগের ঘটনায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চতুর্থ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রিন রোডে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তার গাড়িতে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এ ঘটনায় করা মামলার মীমাংসা হয়নি এখনো। ৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেন মার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। অসংখ্য গুলি লাগে তার বগিতে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অক্ষত থাকেন শেখ হাসিনা। বিএনপির একাধিক নেতা ওই মামলার আসামী। আসামীরা সবাই জামিনে আছেন।

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুত্ফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে সমাবেশ করার কথা ছিলো প্রধানমন্ত্রীর। সে সময় প্যান্ডেল তৈরীর করতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। যদিও সমাবেশের দুদিন আগে ৭৬ কেজি ও একই সালের ২৩ জুলাই হেলিপ্যাডের কাছ থেকে ৪০ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই এ মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে।

২০০১ সালের ৩০ মে খুলনার রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঘাতক চক্র সেখানেও শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। অবশ্য বিস্ফোরণের আগেই তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। একই বছর ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গেলে সেখানেও গাড়িবহরের ওপর গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু সে সময় বিএনপি- জোটের কারণে মামলাটি বারবার পেছোয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলেই ২০০২ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে ওই হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, লুটতরাজের ঘটনায় প্রকৃত হামলাকারীদের পরিবর্তে উল্টো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। যার বিচার আজও হয়নি।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাটে বৈশাখী মেলায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শাওন (১৮) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ৭ জন।

নিহত শাওন সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের কচি মিয়ার ছেলে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে পিয়াস নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সেবারহাট বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মেলা বসানো নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে শাওনসহ ৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে শাওন ও পিয়াস নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পিয়াসকে চট্টগ্রামে পাঠান।

সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি পুলিশের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


কিশোর গ্যাং   দুই গ্রুপের সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ফেসবুকে পিস্তলের ছবি দিয়ে হুমকির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশাল নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার নিজের ও ভুয়া ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি পিস্তলের ছবি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে তোলপাড়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন ওই পিস্তলের ছবি আপলোড দিয়ে তারিক সুলাইমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মিল্টনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী তারিক সুলাইমান।
ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মিল্টন তার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পিস্তলের ছবি আপলোড করেন। এর কিছু সময় পর তারিক সুলাইমান নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে একই পিস্তলের ছবিসহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পোস্ট করেন মিল্টন। এছাড়া তারিকের মোবাইল ফোনে অপরিচিতি নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত মিল্টন।

নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নম্বর যুগ্মআহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা। তিনি (তারিক) রাজনৈতিক কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, একজন নেতার ফেসবুক আইডি থেকে পিস্তলের ছবি আপলোডের ঘটনায় অবাক হয়েছি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমান উল্লাহ বারী।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


ফেসবুক   পিস্তল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৪ গুদাম

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারের আলুপট্টিতে লাগা আগুনে চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চারটি গুদাম পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উত্তরা জোনের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী বাজারের আলুপট্টির সোনাভান মার্কেটের পাশের গুদামে এ আগুন লাগে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের ব্যাপকতায় পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে চারটি গুদামের মালামাল পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশের কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদামগুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ করা ছিল। ব্যবসায়ীরা গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় পাঁচ হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মেসার্স সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত বন্ধ করে বাসায় পৌঁছার পর জানতে পারি দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি দোকানের সামনে অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।


আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেসবুকে লাইভ করায় চাকরি হারালেন এসপি

প্রকাশ: ১০:৪৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানাকে চাকরিচ্যুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো ও সেখান থেকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এটি প্রকাশ করা হয়েছে। গেল ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র)-১২১২৬ আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ১০ অক্টোবর কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিকালে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, লিখিত জবাব, উভয়পক্ষের বক্তব্য ও উপস্থাপিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি পর্যালোচনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত ভিত্তি রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা বিধিমতে সাক্ষ্য, সাক্ষীদের জেরা, উপস্থাপিত ভিডিওসহ সব দলিলপত্রাদি পর্যালোচনা ও সরেজমিনে তদন্ত অন্তে গত ২৩ মে তার বিরুদ্ধে আনিত ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অভিযোগ, লিখিত জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদণ্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৩ জুন দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়। ২০ জুলাই দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করেন ওই পলিশ সুপার। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মকর্তার দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পুনরায় পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খণ্ডনের মতো কোনো যুক্তি তিনি উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি।

পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়। পরে ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।

অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’র প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গেল ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরণে পরামর্শ প্রদান করে।

ফেসবুকে লাইভ   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫৬৫

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৫৬৫ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২২৮ জন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। 

সড়ক দুর্ঘটনা   যাত্রী কল্যাণ সমিতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন