নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১১ এএম, ২১ মে, ২০১৯
বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা জেরিন দিয়া গতরাতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করার আগে তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেরিনের স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘১৩ তারিখ পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার পর যখন দেখলাম আমার নামটি নেই তখন ভাবলাম হয়তো যোগ্য না। তাই হয়তো আমার নামটি দেয়নি । এক পর্যায়ে শোভন ভাইকে ফোন দিলাম । ভাইকে বললাম ভাই আমাকে কেন কমিটিতে রাখা হলো না? আমি শুনতে চেয়েছিলাম তিনি হয়তো বলবেন আমি যোগ্য না। রাজনীতি করতে থাকো পাবে এক সময়। কিন্তু না......
ভাই আমাকে বললেন, তোকে অনেক রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু রাব্বানীর জন্য তোকে রাখতে পারিনি। তোর উপর রাব্বানীর ব্যক্তিগত ক্ষোভ। আমাকে ভুল বুঝিস না। কথাটা শুনে কাঁদবো না হাসবো বুঝতে পারলাম না। তখন আমি শোভন ভাইকে বললাম ব্যক্তিগত ক্ষোভের সেই ঘটনা। কোন উত্তর দিতে পারেননি শোভন ভাই। রাব্বানী ভাইকে অনেক বার ফোন দিয়েছি। উনি ফোন ধরেনি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে আমার সাথে রাব্বানী ভাই এর ক্ষোভের ঘটনাটি উল্লেখ করি। যেটা ভাইরাল হয়ে যায়।
আজ সেই লেখা স্ট্যাটাসটার জন্য আমাকে ছাত্রলীগ থেকে তারা বহিষ্কার করে দিলেন????? শোভন-রাব্বানী ভাই আপনাদের একটা কথা বলে যেতে চাই- ব্যক্তিগত ক্ষোভ না দেখিয়ে যারা সংগঠনের জন্য কাজ করে তাদের মূল্যায়ন দিয়েন। আমি সে দিনের মারামারিতে যখন কোমরে আঘাত পেলাম- কই আপনারা তো আমার একটা খোঁজ নিলেন না!!!
আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। জানি না কি করবো। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে উত্তরগুলো নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে। রাজনীতি করতে এসে রাজনৈতিক নেতাদেরই দ্বারা এতটা অসম্মানিত হবো কোনদিন ভাবতেও পারিনি।’
উল্লেখ্য, জেরিন দিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক সংসদ প্রভাতফেরীর সহ-সভাপতি। ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর সোমবার দিবাগত রাতে তিনি ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।