ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিআইজি মিজানের গোয়েন্দাকাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৯


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতিবাজ ধরার জন্য ফাঁদ পাতে বিভিন্ন সময়ে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে অনেকবার অনেক রাঘববোয়াল দুর্নীতিবাজরা ধরাও পড়েছে। সেই তথ্য কমবেশি আমাদের জানা। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ডিআইজি মিজান ঘটিয়েছেন অন্য ঘটনা। তিনি নিজেই দুর্নীতি দমন কমিশনের বিরুদ্ধে একটি ফাঁদ পেতেছিলেন। এর সঙ্গে শুধু ডিআইজি মিজান একা নয়, পুলিশের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তাও এই পরিকল্পনার অংশীদার ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশন যখন তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থের জন্য তদন্তের ঘোষণা দেয়, তখনই এই গোয়েন্দাকাহিনীর খেলাটি খেলতে নামেন।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালককে ঘুষ দেওয়া এবং এই ঘুষের অডিও প্রকাশ নিয়ে যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হচ্ছে- তা একেবারেই পরিকল্পিত ছিল। এই পরিকল্পনার নেপথ্যের কাহিনী যেকোনো গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানায়।

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে এ সম্পর্কিত চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে যে, ডিআইজি মিজান পরিকল্পিতভাবে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসিরের ওপর ফাঁদ পেতেছিল এবং গোয়েন্দাগিরি করেছিল। যখন ডিআইজি মিজানকে দুর্নীতি দমন কমিশন তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের তদন্তের ঘোষণা দেয়, তখন থেকেই মিজান অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের দারস্থ হন। তিনি তাদের বিস্তারিত বলেন িএভাবে যে, দুদক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে হয়রানির জন্য এমসব করছে। তিনি নিশ্চিত যে তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হবে। তখন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন যে এরকম যদি হয় তাহলে তারা সর্বক্ষণ মিজানের পাশে থাকবে।

সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে ডিআইজি মিজান প্রথমে খন্দকার এনামুল বাসিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রথম পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মিজান বুঝতে পারেন যে বাছিরের মতলব ভালো নয়, বাছির হয়ত তার কাছে অর্থকড়িও চাইতে পারে। এরপরে মিজান একটি লিখিত চিঠির মাধ্যমে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান যে দুদক তদন্তের নামে তাকে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করছে এবং তার কাছে অন্যায্যভাবে অর্থ দাবি করছে। তারপর তিনি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে তাকে বলেন যে দুদকের এই বিষয়টির মুখোশ উন্মোচন করতে চান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলে সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুখোশ উন্মোচনের অনুমতি দেয়।

এরপর শুরু হয় আসল খেলা। মিজান সরাসরি বাসিরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তখন তিনি এটাও বলেন যে এই নাম্বারে কথা বলা নিরাপদ নয়। তখন তার ড্রাইভার হৃদয়ের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড নেন, শান্তিনগরের একটি দোকান থেকে একটি স্যামসাং মোবাইল এবং একটি সিমকার্ড কিনে দেন। ঐ সিম এবং মোবাইল দুটোর ভাউচার দুটোই মিজান সংগ্রহ করে রাখেন। মজার ব্যাপার হলো, ভাউচারে লেখাই আছে যে খন্দকার এনামুল বাসির দুটো জিনিসই কেনেন তার ড্রাইভারের নামে! তথ্য ঘুরে যায় এখানেও।

পরে তিনি সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানিকে একটি চিঠি দেন যে তাকে কেউ এই নাম্বার থেকে ব্লাকমেইল করতে পারে, তাই ব্লাকমেইলকারীর পরিচয় উন্মোচনের জন্য তিনি ঐ মোবাইল অপারেটরের সাহায্য চান। দুটো নাম্বারের সমস্ত কল রেকর্ড করার জন্য অনুরোধ করেন। সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মোবাইল অপারেটরকে সব কল রেকর্ড করার অনুমতিও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মোবাইল কোম্পানিকে চিঠি দেওয়ার দিনেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে বলেন যে, তাকে ফাঁসানোর জন্য দুদকের একজন কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে তথ্য প্রমাণের জন্য তিনি কলরেকর্ড করতে চান। সেটার অনুমতিও তাকে দেওয়া হয়। বাসির এরপর মিজানের কাছে টাকা চায়। তখন তিনি তার প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে তিনি টাকা উত্তোলনের জন্য একটি চিঠি অনুমতি প্রার্থনা করেন এবং সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ প্রদানের জন্য এই টাকা দিতে হবে।

মজার ব্যাপার হলো, প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে তাকে অগ্রিম গ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় টাকার জন্য তিনি তার দুই আত্মীয়ের কাছে যান। তিনশো টাকার দলিলের মাধ্যমে তিনি দুই আত্মীয়ের কাছ থেকেই টাকা নেন। সেই দলিলে তিনি উল্লেখ করেন যে, দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ প্রদানের জন্য তার ঋণ প্রয়োজন। এই ঋণ তিনি কবে পরিশোধ করতে পারবেন তা তিনি জানেন না। শুধু তাই নয়, দুই দফা টাকা যে বাসিরকে দেওয়া হয়, সেই টাকা হস্তান্তরের ভিডিও রেকর্ডও তিনি সংগ্রহ করে রেখেছেন, যেই টাকাগুলো দেওয়া হয়েছে তার নম্বরগুলোও তিনি তার কাছে রেখেছেন। এছাড়া সব অডিও টেপ তো রেখেছেনই।

জানা গেছে যে মিজান এখন তার সব তথ্যপ্রমাণগুলো পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করবেন, ন্যায় বিচার চাইবেন। অন্যদিকে একজন দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা কীভাবে দুদকের চৌকশ কর্মকর্তাকে ফাঁসালো সেটা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যেও নতুন করে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও বৃষ্টি চেয়ে পাবনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

অতি তীব্র তাপদাহ, সাথে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাবনাসহ সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষ। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচু ও ফসল । তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পাবনায় সালাতুল ইসতিসকা অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হয়েছে।

 

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় পাবনা দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন পাবনাবাসী। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

 

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুস শাকুর।

 

তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

 

নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র-যুবকসহ শহরের আশপাশের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। 

 

মাওলানা আব্দুস শাকুর বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এটা যৌক্তিক একটি কারণ। আমরা যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন মালিকের কাছে ধর্ণা দেবো তিনি যেন রহমত বর্ষণ করেন। এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দয়া ভিক্ষা চাইছি। রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা মাঠে এসেছি, আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম, ক্ষমা চাইলাম। আমরা আশা রাখি আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে মাফ করে দিবেন এবং তিনি দয়া করে পরিবেশকে আবার সুন্দর করে দিবেন।’


তীব্র তাপদাহ   ইসতিসকার নামাজ   বৃষ্টির আশা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছয় দিনের সফরে থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংকক ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

এ সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ সফরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা রয়েছে।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


সরকারী সফর   থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail অভিযুক্ত স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ

ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে না দেয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের কুমিরগোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ আইরিন পারভীনকে (৪২) গলা টিপে ও মাছ কাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে তার অর্থলোভী পাষন্ড স্বামী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ (৪৪)। এছাড়া প্রায় ১ মাস ধরে ৫ বছরের মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর নাছিমা পারভীন বিনা (৪৭) নামের বোন ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখেছে। এরপর থেকে মায়ের জন্য রাতদিন কান্নাকাটি করে ৫ বছরের অবুঝ শিশু আবিদা আনজুম অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।

 

অর্থলোভী আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের লাইব্রেরিয়ান ও চর বেলতৈল গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

 

এ ঘটনায় সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ জেলহক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি বাদীর লিখিত আবেদনটি আমলে নিয়ে আগামী ৭ মে আসামীদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে শিক্ষিকা আইরিন পারভীন জানান, প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ২০১২ সালের ১১ মে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাকে মারপিট ও নির্মম নির্যাতন করে বেতনের সমুদয় টাকা হাতিয়ে নিতেন। এরপর ঢাকার উত্তরায় জায়গা কেনার কথা বলে প্রতি মাসে বেতনের ১৮ হাজার টাকা করে ৫ বছরে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

 

এরপর ওই জায়গা দেখতে চাইলে বিদ্যুৎ ওই জায়গা দেখাতে পারেননি। ফলে তাকে টাকা দেয়া বন্ধ করা হয়। এছাড়া সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক থেকে ডিপিএসের ১ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৫ টাকা , জনতা ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও রূপপুরের বাড়িতে এক তলা পাকা বিল্ডিং নির্মাণের সময় স্বর্ণের গহণা বিক্রির টাকা ও সোনালি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ তুলে নিয়েছেন। সোনালি ব্যাংকের ঋণের কিস্তি বাবদ প্রতি মাসে এখনও ১১ হাজার ৪০০ টাকা করে বেতন থেকে কেটে নেওয়া অব্যহত থাকা অবস্থায় আবারও  চর বেলতৈল গ্রামে জমি কেনার কথা বলে সোনালি ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা ঋণ তুলে দিতে চাপ দেয়।

 

এতে রাজি না হওয়ায় গত ২৮ মার্চ ভোরে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ তাকে বেধরক মারপিট করে। এছাড়া গলাটিপে ও মাছকাটা বটি দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর বেধরক মারপিট ও নির্যাতন করে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৯) ও মেয়ে আবিদা আনজুম (৫)কে আটকে রেখে তাকে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের রূপপুর পুরান পাড়ার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনি ওইদিন সকালে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের চুনিয়াখালিপাড়া মহল্লার বাবা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। এর ৭ দিন পর অসুস্থ হয়ে ছেলে আবু বকর সিদ্দিক কৌশলে পালিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে।

 

অপরদিকে মেয়ে আবিদা আনজুমকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ছেচানিয়া আফতাব নগর গ্রামের বোন নাছিমা পারভীন বিনা ও তার স্বামী আল আমিনের বাড়িতে আটকে রেখে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে না দিলে একাধিক লোক মারফত ও মোবাইল ফোনে মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ হুমকির ফলে আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি। তিনি তার ৫ বছরের শিশু কন্যা আবিদা আনজুমকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

তিনি আরও জানান, এ মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতে দূর্বৃত্তরা আমার বাবার চুনিয়াখালি পাড়ার বাসভবনের নিচতলায় হামলা চালিয়ে একটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মারপিট, গলাটিপে ও বটি দা দিয়ে মারতে যাওয়ার ঘটনা দেড় বছর আগের। ২/১ মাসের মধ্যে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মেয়েকে আটকে রাখার ঘটনাও সত্য নয়। চুনিয়াখালি পাড়ার বাড়িতে হামলা জানালার গ্লাস ভাংচুরের সাথেও আমি জড়িত নই।  


হত্যা চেষ্টা   স্কুল শিক্ষিকা   অর্থ লোভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পত্তির লোভে মাকে ঘর ছাড়া করল ছেলে


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে রাতের অন্ধকারে মা ও বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমন অভিযোগ করেন দুই ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী ২ ব্যক্তি হলেন, পঁয়ষট্টি বছর বয়সী বৃদ্ধা সমমেহেরা বেগম ও তার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা জান্নাত আক্তার মুন্নি। অভিযুক্ত ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পান্না বেগম সম্পত্তি ও টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।

 

ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের খন্ডলী পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত জাহাঙ্গির আলম ও পান্না বেগম সম্পর্কে ছেলে ও ছেলের স্ত্রী।

 

ভুক্তভোগী সমমেহেরা বেগম ও মুন্নি বেগমসহ ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্বামী পরিত্যক্তা মুন্নি নিজের অর্থ দিয়ে পৈত্রিক কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন। নিজের টাকা দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী পান্নাকে ওই বাড়িতে থাকতে দেন তিনি। গভীর রাতে সম্পত্তি ও বসতঘর দখলের জন্য বৃদ্ধা মা ও বোনকে বের করে দেন জাহাঙ্গীর। বাড়ির চারপাশে টিন দিয়ে বন্ধ করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেয় রাতারাতি। বৃদ্ধা ওই দুই নারী এখন রাত্রি যাপন করে রাস্তায়।

 

মুন্নি বেগম আরো বলেন, তার সঞ্চয়কৃত দুই লাখ টাকা জাহাঙ্গীর ধার নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পাওনা টাকা দাবি করলে ও তার সম্পত্তি বিবাদীদের কাছে বিক্রি করবে না বলে জানালে তারা জোর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এখন তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার সাথে বাগানে, খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বলেও জানায়।

 

এদিকে এ ঘটনায় বক্তব্য নিতে গেলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পান্না বেগম কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ধরনের বন্টন নামা ছাড়া তার বোন সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ধরনের ক্রয় শুদ্ধ নয় বলে দাবি করেন তিনি।

 

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আনোয়ার বলেন, তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে জাহাঙ্গীর বাড়িতে নেই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার কথা জানান এই জনপ্রতিনিধি।


মাকে ঘর ছাড়া   সম্পত্তির লোভ   অর্থ আত্মসাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে বিশেষে ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত, বন্ধ যোগাযোগ

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুই বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওয়া দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা মো. গোলাম রব্বানী। 


ট্রেন   বগি লাইনচ্যুত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন