নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২০ মে, ২০১৭
কাঠ ফাঁটা রোদ! তীব্র গরম! এসব উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন সালেহা বেগম। সুলভে পণ্য কেনার আশায়। গত বৃহস্পতিবারও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন পণ্য কিনতে। এসেই বুঝতে পারলেন একটু দেরিই করে ফেলেছেন। বেলা ১২ টা বাজতেই সব পণ্য শেষ। তাই পরদিন শুক্রবার সকাল সকালই এসে লাইনে দাঁড়ান। সালেহার মত এমন অনেকেই আসেন ট্রাকে বিক্রি করা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনতে।
রমজান উপলক্ষে সারাদেশে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় পণ্য সরবরাহ কম থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য কিনতে পারছেন না অনেকে। লাইন শেষ না হতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে টিসিবির পণ্য। চাহিদার র্শীষে আছে চিনি, ছোলা ও সয়াবিন তেল।
রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রুবেল হোসেন বলেন, ‘দুই ঘণ্টা ধইরা খাড়ায়া আছি, এহন হুনতাছি ছুলা ও চিনি কিছুই নাই। কাম বাদ দিয়া প্রত্যেকদিন কী লাইনে খাড়ান যায়।’
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা হাবিবুর রহমান অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেই বলেন, ‘মাত্র কয়দিন হলো টিসিবি পণ্য বিক্রি করতেছে। এখনই চাহিদামতো পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। পরে কি হবে।’
রাজধানীর শংকর এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ আমাদের দৈনিক ট্রাকপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি চিনি, ছোলা, ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৩০০ থেকে ৪০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ থাকে। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদার কারণে বেশিরভাগ পণ্যই দুপুরের আগে শেষ হয়ে যায়।’
বয়স্কদের জন্য গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনা বেশ কষ্টকর। তেমনি একজন রহমত মিয়া (৬০)। থাকেন ডেমরাতে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার জন্য অনেক দূর থেকে আসতে হয় তাঁকে। রহম মিয়া বলেন,‘ সব জায়গাতেই যদি টিসিবির ট্রাক পাওয়া যেত আমাদের জন্য সুবিধা হত।’
টিসিবি গত সোমবার থেকে সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫ টাকায় বিক্রি করছে। একজন ভোক্তাকে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৩ কেজি মসুর ডাল, ৫ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৫ কেজি ছোলা দেওয়ার কথা থাকলেও তা কমবেশি করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। আর বাজার মূল্য থেকে টিসিবি চিনিতে ১৫ টাকা, ছোলায় ২০ টাকা, মসুর ডালে ১০ টাকা ও সয়াবিন তেলে প্রতিলিটারে ২০ টাকা কম নিচ্ছে।
প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসায়ীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, চিনি, তেলের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এমন দাম বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা দুষছেন পাইকারদের।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারী ব্যবসায়ী রহমত মিয়া বলেন,‘ আড়ত থেকেই দাম বাড়লে আমার কী করব। আমাদেরও বাড়াতে হয় পণ্যের দাম।’
অথচ প্রতি বছরই পণ্যের দাম বাড়বে না বলে অনেক আলোচনা সভা, বাজার অভিযানসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালায় টিসিবি। বিশ্লেষকদের মতে, টিসিবির উদ্যোগ এসবেই শেষ। নেই কোনো বাজার নজরদারির ব্যবস্থা। আর এমন নজরদারি না থাকায়ই পণ্যের দাম বাড়ছে।
বাংলা ইনসাইডার/আইএস/জেডএ
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।
তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।
তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।
এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সরকারি অফিস ঈদুল ফিতর অফিস টাইম রমজান
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।