নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ২৬ জুন, ২০১৯
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ভয়ঙ্কর হত্যাকারী আখ্যায়িত করেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, ‘যদি প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর হত্যাকারী কে? জবাব জেনারেল জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসে তিনি কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেন।’ তিনি জানালেন, ‘আমার কাছে তার এসব অপকর্মের অনেক তথ্যও আছে।’
বুধবার বিকেলে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন,‘১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৮১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও জাসদের ১ হাজার ৫০০ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে ৬২ হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮০ সালে রাজশাহীতে ৫০ জন জেলবন্দিকে গুলি করে হত্যা করেছেন। জিয়ার শাসন আমলে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম ও গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও ১৯৯১ সালে শ্রমিক আন্দোলন দমন করার নামে ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিলেন এছাড়াও সারের জন্য আন্দোলন করায় ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে ও ক্ষমতার বাইরে থাকতেও মানুষ হত্যা করেছেন। আগুন, পেট্রলবোমার কথা মানুষ ভুলে যায়নি।’ এ সময় তিনি সাতক্ষীরা জেলায় জিয়ার নির্দেশে একটি হত্যার ঘটনার পত্রিকার কাটিং স্পিকারের মাধ্যমে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘যার (খালেদা জিয়া) ছয়-ছয়টি জন্মতারিখ, সে কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে?’ এ বিষয়ে তিনি সাংসদ হারুনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে। যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।
যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।
মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।
দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ চীন চীনা রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। ২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।