নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ২৭ জুন, ২০১৯
স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় স্বামী রিফাত শরীফকে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হন রিফাত। বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে এলে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়কের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে নয়ন বন্ড এবং তার প্রতিবেশী দুলাল ফরাজীর ছেলে রিফাত ফরাজী। খুনী নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী দুজনেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের ছদ্ম ছায়ায় এমন কাণ্ড ঘটাতে সাহস পায়। সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ভায়রা দুলাল ফরাজির পুত্র রিফাত। বরিশালের বেসরকারী একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়াশুনা করে। রিফাতের সাথে ওর দুই ভাইও ছিল। নাম রিশান ফরাজী, এবং রাব্বি আকন ফরাজী।
জানা যায়, খুন হওয়া রিফাত শরীফকে এর আগে বিনা দোষে জেল হাজতেও নেওয়া হয়েছে। তার দোষ কেন সে বিয়ে করেছেন মিন্নিকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে নয়ন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
নিহত রিফাতের পরিবার জানায়, স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রিফাতের সঙ্গে দুই মাস আগে পুলিশ লাইন্স সড়কের আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ে হয়। বিয়ের পর নয়ন নামে এক যুবক মিন্নিকে তার প্রেমিকা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকে। সেই সঙ্গে মিন্নির সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলেও দাবি করে নয়ন।
এ বিষয়ে একাধিকবার নয়নকে সতর্ক করে রিফাত। এরপরও শোনেনি নয়ন। একপর্যায়ে প্রতিবাদ করে রিফাত। সেই জেরেই তাকে খুন করা হয়।
নিহত রিফাতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মঞ্জুরুল আলম জন বলেন, বিয়ের আগে মিন্নির সঙ্গে নয়ন বন্ডের একটা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রিফাতের সঙ্গে বিয়ে হয় মিন্নির। যা এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। এটা মেনে নিতে পারেনি নয়ন বন্ড। রিফাতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারও করে। এছাড়া মিন্নিকে নানাভাবে উত্ত্যক্তের পাশাপাশি ফেসবুকে তাকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এসব বিষয় নিয়ে একাধিকবার রিফাতের সঙ্গে নয়নের দ্বন্দ্ব হয়। এ দ্বন্দ্বের কারণেই রিফাতকে লাশ হতে হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বলেন, বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়কের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে নয়ন বন্ড ও তার প্রতিবেশী দুলাল ফরাজীর দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী এবং রাব্বি আকন আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায়। আমার সামনে ওই সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। শত চেষ্টা করেও আমি রিফাতকে বাঁচাতে পারিনি।
তবে ঘটনা ঘটার এত সময় পরেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে লাইভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
সড়ক দুর্ঘটনা যাত্রী কল্যাণ সমিতি
মন্তব্য করুন
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই-শারজাহর ফ্লাইট বাতিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন