নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১২ জুলাই, ২০১৯
কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বেশ কয়েকটি জেলায় পানি বেড়েছে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
এই টানা ভারিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী ও হাটহাজারীসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। সাঙ্গু ও হালদা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে, নদী পাড়ের স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। সড়কের উপর পানি বাড়ায় আজও বন্ধ আছে অধিকাংশ যানবাহন চলাচল। এদিকে পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে রংপুরে তিস্তার পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পান্দিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় গবাদি পশু নিয়ে তিস্তার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। নিরাপদ পানি ও খাদ্য সংকট সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন বন্যা দুর্গতের সহায়তা দেওয়ার কথা জানালেও দুর্গতরা এখনো তেমন সাহায্য পাওয়ার কথা জানাননি।
টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদীর পানি বেড়েছে। স্থানীয়রা মনে করছে, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে তাদের বসতবাড়ি ছেড়ে যেতে হবে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর এবং ফুলছড়ির নদী তীরবর্তী এলাকায় নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে।
লালমনিরহাটে প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৭ হাজার পরিবার।
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার এবং ছাতক উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। জেলার বেশিরভাগ উপজেলার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ-মাদ্রাসায় পানি ঢুকে পড়েছে।
আবার টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে সব নদনদীর পানি বাড়ছে। পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ২০টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।