ইনসাইড বাংলাদেশ

৭ দিন সমুদ্রে ভাসলেন ভারতীয় জেলে, যেভাবে বাংলাদেশে উদ্ধার (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১২ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

নাম রবীন্দ্রনাথ দাস। বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলায়। পেশায় একজন মৎস্যজীবী। ৮ দিন আগে ভারতের হলদিয়া অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরে নৌকা নিয়ে মাছ ধরছিলেন তিনি ও তার ১৫ জন সঙ্গী। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়। একসময় নৌকা উল্টে যায়। প্রচণ্ড ঢেউয়ে একেকজন একেক দিকে ভেসে যায়। এই রবীন্দ্রনাথও ভেসে যায়। পেশায় জেলে হওয়ায় পানিকে ভয় না করে জীবন বাঁচাতে চেষ্টা চালিয়ে যান। তাই গভীর সমুদ্রে ভেসে গেলেও বেঁচে থাকার সাহস হারাননি। ভাসতে থাকেন। ঘন্টার পর ঘন্টা ভাসতে থাকেন। উপরে আকাশ আর নিচে পানি। রবীন্দ্রনাথ ভাসতে থাকেন। ১ ঘণ্টা ২ ঘণ্টা করতে করতে ১ দিন থেকে ২ দিন হয়ে যায় রবীন্দ্রনাথ ভাসতে থাকেন। রবীন্দ্রনাথের শরীর দুর্বল হয়ে যায় কিন্তু বাঁচার কোনো অবলম্বন খুঁজে পায় না। খাবার বলতে কেবল যখন বৃষ্টি নামে তখন সেই বৃষ্টির পানি। কারণ সমুদ্রের লোনা পানি পান করাও যায় না। তবুও রবীন্দ্রনাথ হার মানেননি। ভাসতে থাকেন, ভাসতে থাকেন।

ভাসতে ভাসতে সাতদিন পার হয়ে যায়। সাতদিন পর প্রায় ৬০০ কি.মি. ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের কুতুবদিয়ায় এসে পৌঁছে। তখন বাংলাদেশের জাহাজ ‘এমভি জাওয়াদের’ ক্যাপ্টেন অনেক দূর থেকে তাকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। দেখতে পেয়ে জাহাজের লোকজন তার দিকে লাইফ জ্যাকেট ছুড়ে মারে। কিন্তু সে ধরতে পারে না। তলিয়ে যায়। কিন্তু জাহাজের ক্যাপ্টেন জাতপাত, ধর্মীয় ভেদাভেদ, সীমানার কাঁটাতার ভুলে তার পেছনে ছুটতে থাকে। একজন মানুষের পেছনে ছুটতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ পর কিছুটা দূরে আবার তাকে দেখা যায়। ক্যাপ্টেন তাৎক্ষণিক জাহাজ সেদিকে ঘুড়িয়ে আবার একটি লাইফ জ্যাকেট ছুড়ে মারে। একপর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ লাইফ জ্যাকেট ধরতে পারে। এবং ধীরে ধীরে জাহাজের দিকে আসতে থাকে। কাছাকাছি এলে ক্যারেন ফেলে তাকে জাহাজে তোলা হয়।

তাকে জাহাজে তোলার দৃশ্যটি একজন নাবিক ভিডিওতে ধারণ করেন। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথকে যখন সফলভাবে জাহাজে তোলা সম্ভব হয় তখন জাহাজের সকল নাবিক খুশিতে চিৎকার করে ওঠে। একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর আনন্দে তারা আত্মহারা হয়ে যায়। একজন মৃত্যুমুখের যাত্রীকে জীবন ফিরিয়ে দেয়ার যে উত্তেজনা ভিডিওটি দেখলে আপনিও ফিল করতে পারবেন।

এমভি জাওয়াদের ক্যপ্টেনকে অবশ্যই স্যালুট। ধন্যবাদ এমভি জাওয়াদে উপস্থিত সকল নাবিককে। একজন মানব সন্তানকে জীবন ফিরিয়ে দিয়ে মানবতার যেই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা পৃথিবীবাসীকে আরো বেশি মানবিক হতে শেখাবে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলতে শেখাবে। মানুষ হতে শেখাবে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রবীন্দ্রনাথকে যখন বাংলাদেশের নাবিকরা উদ্ধার করছে ঠিক সেই মহূর্তে চাপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।

রবীন্দ্রনাথের এই ঘটনা প্রকাশ পাবার পরপরই দুই বাংলার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চারদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আশা করা যায়, এই খবর কয়েক দিনের মধ্যে সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়বে। তখন এই খবর পৌঁছে যাবে ভারতের একেবারে উপরের লোকজনের কানে। এই খবর পৌঁছে যাবে ভারতের বিএসএফের প্রধানদের কানেও। রবীন্দ্রনাথের এই উজ্জ্বলতম ঘটনাকে সম্মান করে হলেও বিএসএফ প্রতিজ্ঞা করবে যে, তারা নিরস্ত্র কোনো মানুষকে উদ্দেশ্ করে আর গুলি করবে না। রাতের অন্ধকারে কোনো অপরাধীকে দেখলেই হত্যার জন্য গুলি চালাবে না। কারণ, চোরা কারবারিরা এমন কোনো কিছুই চুরি করতে পারবে না যা মানুষের জীবনের চেয়েও দামি। মানবতার চেয়েও দামি।

ভিডিও লিংক: 



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নেতাকে ফাঁসাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নড়াইলের লোহাগড়ায় দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের আরেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের দ্বীন মোল্যার মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার জিয়া চৌধুরী (৩৩) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী। তিনি ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের মো. আজগর চৌধুরীর ছেলে। ভুক্তভোগী মো. আরজ আলী ওরফে লিচু কাজী (৫৮) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা লিচু কাজী চরদৌলতপুর বাজার থেকে পাংখারচর বাড়িতে ফেরার পথে দ্বীন মোল্যার দোকানের সামনে পৌঁছলে অভিযুক্ত জিয়া ডেকে নিয়ে বসান তাকে।

এ সময় পাশে বসে কৌশলে লিচু কাজীর পাঞ্জাবির পকেটে জিয়া একটি প্যাকেট ঢুকাতে গেলে তখন ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নীল রঙের জীপারযুক্ত পাঁচটি পলি ব্যাগ মাটিতে পড়ে যায়। সেখানে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জিয়া চৌধুরী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিচু চৌধুরীকে লোহাগড়া থানায় নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি পেকেটে থাকা ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে লিচু কাজী পুলিশকে জানান যে, সমাজে আমাকে হেয় করার জন্য জিয়া এমন নাটক সাজায়। উপস্থিত ভ্যানচালক আজিম ফকিরও পুলিশকে একই সাক্ষ্য দেন।

এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন বিকেলেই ইয়াবা কারবারি জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তারকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি অপরাধী নই।

আওয়ামী লীগ নেতা লিচু কাজী থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিকভাবে হেয় করতে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা জিয়ার মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সত্য উদঘাটিত হওয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে জিয়া চৌধুরী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আওয়ামী লীগ   নেতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি মন্ত্রণালয় : মোমেন

প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।  

তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নির্বাচনের আগে অনেকটা অগ্রগতি হলেও নানা কারণে থেমে যায়। সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটির বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ন্যামভবনে নিজের বাসায় এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন তিনি।  

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। সংসদীয় কমিটিও এ বিষয়ে কাজ করছে। তাদের জীবনমানসহ ওই অঞ্চলে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখার জন্য দ্রুতই কক্সবাজার যাবে সংসদীয় কমিটি। বর্তমান সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক সেখানে হওয়ার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। 

তবে আগামীতে এই বৈঠক হবে। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং ও ভাসানচর পরিদর্শনের প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে বিদেশে বাংলাদেশ দুতাবাসগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়। 


এ. কে. আব্দুল মোমেন   বৈঠক   জাতীয় সংসদ ভবন   রোহিঙ্গা   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি শীর্ষক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেশে ফেরেন তিনি।

এসময়ে তিনি আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং এর আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড স্পিকার সামিটসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

তিনি গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে সংসদীয় প্রতিনিধিদলসহ অংশগ্রহণ করেন এবং 'পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং' শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির প্রথম দিন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার জেনেভাতে 'এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ মিটিং' এ সভাপতিত্ব করেন।

এছাড়াও তিনি 'প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস' শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। '১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনেও বক্তব্য রাখেন তিনি। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন।


স্পিকার   ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা

প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং সেক্টরকে স্মার্ট ও গতিশীল করতে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।

বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা, সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং সদস্যদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য সমমনা সদস্য এবং সাবেক সভাপতিদের সঙ্গে নিয়ে ইলেকশন ফর ইউনিটি নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিজিএপিএমইএ’র সদস্যদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ও নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়, সেখানে সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের খান তাদের প্যানেল ও এর নেতার নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, সফিউল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

আব্দুল কাদের খান বলেন, যখন এই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম তখন সংগঠনকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি এবং যা সংগঠনকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে শাহারিয়ার সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে শাহরিয়ার গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং শিল্পে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে কাজ করছেন এবং এই শিল্পের প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিজ্ঞতা আয়ত্ত করেছেন।
ট্রিম এবং আনুষাঙ্গিক আইটেম রপ্তানিতে তার অসামান্য অবদানের জন্য শাহরিয়ারকে যুব উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২২, বিজিএপিএমইএ প্রদান করা হয়। তিনি দ্য বিজ এন্টারপ্রিনিউরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ লাভ করেন এবং জেসিআই ট্রফি ২০২১ (বাংলাদেশের দশটি অসামান্য তরুণ ব্যক্তি ২০২১) খেতাব অর্জন করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমান সময়ে গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস এক্সেসরি সেক্টর বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একজন সঠিক নেতৃত্বে থাকা দরকার। নতুন নেতৃত্ব তার যোগ্যতার মাধ্যমে সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সকল দাবি অর্জন করতে সক্ষম হবেন। শাহরিয়ারের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা আছে।

ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহরিয়ারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেকদিনের পরিচয়। উনি একজন দক্ষ, সৎ ও যোগ্য শিল্প উদ্যোক্তা। এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে আমরা সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারছি না। তাই আগামী দিনে ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের শক্তিশালী এবং ডায়নামিক লিডারশিপ প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজিএপিএমইএ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তপশিল অনুসারে আগামী ১১ মে ২০২৪-২০২৬ সময়ের জন্য একটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের নেতৃত্বে রয়ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-৫) ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, বিপিএএ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- আশরাফুর রহমান, উপসচিব (বাজেট) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রপ্তানি শাখা) তানিয়া ইসলাম।


বিজিএপিএমইএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের পর এখন পাল্টে গেছে চিত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী আচরণে পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পেয়েছে নতুন মাত্রা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই। বাংলাদেশ নিয়ে ইতিবাচক কথা আসছে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, টানাপোড়েনের পর বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণেই দুই দেশ সম্পর্ক সঠিক অবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছে। এতে সামনের দিনগুলোয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের।

কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের বিষয়টিকে সেভাবে আর সামনে রাখছে না। নির্বাচনের বিষয়ে তাদের আগের অবস্থানের কথা বারবার ঘোষণা করলেও বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অনেক বেশি আগ্রহী। এটি ¯পষ্ট হতে শুরু করে নির্বাচনের এক মাসের মাথায় ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় থেকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে বিভিন্ন ইস্যু উল্লেখ করে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা খোলাসা করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মনোভাব।

নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোয় সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারির পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখতে আন্তরিক আকাক্সক্ষার কথা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এ সম্পর্কের ভিত্তি।

বাইডেনের এ চিঠির পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে ঢাকা সফর করে যান দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার। এইলিন লুবাখার ঢাকা সফরে এসে বলেছিলেন, সম্পর্ক এগিয়ে নিতেই মার্কিন প্রতিনিধি দল সফর করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, শান্তিরক্ষাসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকাকে ওয়াশিংটনের গর্বিত অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গর্বিত অংশীদার। আমাদের এ অংশীদারি একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বাসাডর ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রশংসা করেন। তিনি ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি নির্মাণে বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের কাছে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক চর্চা প্রথম অগ্রাধিকার। এ কারণেই বাংলাদেশের নির্বাচনের বেশ আগে থেকে শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকার, সুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তাদের পররাষ্ট্রনীতির সফলতা বা ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাই তারা ব্যবসাবাণিজ্য, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোয় বেশি মনোযোগী হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী। এ সম্পর্কের মধ্যে কিছু টানাপোড়েনের ঘটনা যদিও ঘটেছে, কিন্তু বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণে সেগুলো ছাপিয়ে দুই দেশই তাদের সম্পর্ক সঠিক অবস্থানে রেখেছে। তিনি বলেন, ভূরাজনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ইমপ্লিমেন্ট করছে। এ অঞ্চলে তাদের মিত্রশক্তি প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের পাশে মিয়ানমার, চীন, ভারত রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান মিয়ানমারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিয়ানমারের অর্থনীতি ৮০ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সাড়ে চার শ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের একদিকে ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিরও উত্থান হয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সম্পর্কের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বজায় রাখছে।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   সম্পর্ক   আন্তর্জাতিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন