নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৯
ধর্মভিরু ও স্বল্পশিক্ষিত মানুষকে আল্লাহর বাণী শুনিয়ে এবং তাদের ঠকিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি মালিক শামীম কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শামীমের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা রয়েছে। গতকাল সোমবার সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেছেন, শামীম কবির পাড়ায় পাড়ায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনসহ ধর্মকে পুঁজি করে সাধারণ মানুষকে অফিসে ডেকে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী করতেন। বিনিয়োগের মুনাফা হিসেবে তিনি লাখে মাসে ২ হাজার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আড়াই হাজার টাকা সুদ দেওয়ার কথা বলে লিফলেট প্রচার করতেন। পত্রিকায় লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিতেন।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার শুরুর পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুনাফা দিয়ে গ্রাহক সংগ্রহ করেন। এর কিছুদিন পর টাকা দ্বিগুণ তিন গুণ করার স্কিম চালু করেন তিনি। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রায় ২৫টি অফিস খুলে আমানত সংগ্রহ করেন। এভাবে তিনিসহ তার সহযোগীরা মোট ২০ হাজার গ্রাহকদের তিনশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, এফআইসিএলের চেয়ারম্যান মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। শামীম কবিরের তথ্যমতে, আত্মসাৎকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে তিনি তার নিজ গ্রাম ও সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকায় রাজপ্রাসাদের বাড়ি, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা সদর, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, গাজীপুরের কালিগঞ্জ, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রায় ৪০ একর জমি কিনেছেন।
এ ঘটনায় দুদক ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকেডি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।