নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০১৯
দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে প্রায় তিন বছর কারাবন্দী আছেন সাবেক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবারসহ মোট ছয়টি ঈদ কারাবন্দী থেকে করার অভিজ্ঞতা হলো এই নেত্রীর। ডিভিশনপ্রাপ্ত কারাবন্দী হওয়ায় তাকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারের ঈদটা কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিনে উৎযাপন করছেন বেগম জিয়া। বিশেষ সুবিধার আওয়াতায় ঈদে তাকে বিশেষ খাবার (কোরবানির মাংস) সরবরাহ করা হবে। যদি এই মাংস তিনি খেতে রাজি না হন তাহলে নেওয়া হবে বিকল্প ব্যবস্থা।
এব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়ার বিএসএমএমইউর ৬২১ নম্বর কেবিনে যায় পায়েস, সেমাই আর মুড়ি। এসব তৈরি করেন কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষীরা। তবে অন্যান্যদের মতো নয়, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কম চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় এ খাবার। মানা হয় তার ডায়েট চার্ট।
দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে খালেদার কেবিনে পৌঁছে যাওয়ার কথা দুপুরের খাবার। ভাত বা পোলাওয়ের যেকোনো একটির সঙ্গে (ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে) পাবেন ডিম, রুই মাছ, মাংস আর আলুর দম। খালেদা জিয়ার দাঁতে সমস্যা থাকায় তার মাংস অপেক্ষাকৃত নরম হবে।
দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ঈদের দিন দুপুরে খালেদার সঙ্গে দেখা করার জন্য ইতোমধ্যে তার ভাইসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছেন। তারা খালেদা জিয়ার জন্য খাবার আনতে পারবেন। খালেদা যদি কারা কর্তৃপক্ষের খাবার না খেতে চান তাহলে তার পরিবারের সদস্যদের আনা খাবার খেতে পারবেন। তবে তিনি খাবার গ্রহণ করার আগে সেই খাবার পরীক্ষা করে খাওয়ার অনুমতি দেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
সন্ধ্যার পরপর খালেদার জন্য থাকছে পোলাও (নরম)। সঙ্গে পরিমাণমতো কোরবানির গরু অথবা খাসির মাংস, একটি ডিম, ডায়াবেটিক মিষ্টি, পান-সুপারি এবং কোমল পানীয়।
কারা সূত্র জানায়, এসব খাবার ছাড়াও একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে খালেদা জিয়া অন্য কোনো খাবার খেতে চাইলে তা কারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারেন। তবে তাকে সেই খাবার দিতে বাধ্য নয় কর্তৃপক্ষ।
কারা সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ কোনো আইটেম তৈরির আবেদন করেননি খালেদা।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা ঘোষণার দিন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে ছিলেন তিনি। সেখানে একটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন। তবে গত ২৫ মার্চ আর্থাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধীর কারণে তাকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৬২১ নম্বর কেবিনে রয়েছেন। হাসপাতালে কারাবন্দি খালেদার এটি দ্বিতীয় ঈদ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খালেদার পাশাপাশি একই খাবার পাবেন তার গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম। ফাতেমার পরিবারের লোকজনও তার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যেতে পারবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এনএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।