নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৪ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৯
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কোরবানির মাংস বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়নের মন্ডুমালা গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীরা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার ঈদ-উল-আযহার নামাজ শেষে সন্ধ্যায় মন্ডুমালা গ্রামে কোরবানির মাংস নিয়ে গ্রামের মসজিদে হাজির হন আবু বক্কার ও একই গ্রামের ওসমান গণি। এসময় ওই মাংস সমাজের মধ্যে বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দেয়। এসময় গ্রামের সমাজভুক্ত পরিবারগুলো দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি অমীমাংসিত অবস্থায় যে যার বাড়ি চলে যান।
ওই বিবাদের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে আবার বচসা বাধে। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সংঘর্ষে এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১১জনকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর অবস্থায় হোসেন আলীকে (৮২) পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি নাজমুল হক বলেছেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের কেউ মামলা দায়ের করেনি বলে তিনি জানান। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকেডি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
পিটার হাস নির্বাচন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।