নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৯
দেখতে দেখতেই শেষ হলো ঈদের ছুটি। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ কাটানোর পর নগরীতে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। বাস, ট্রেন, লঞ্চে যে নগরীতে ফিরছেন তারা। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ফেরার এ যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ঢাকায় ফেরার চাপ এখনো যথেষ্ট কম। এদিকে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে একটানা বৃষ্টি।
ঈদের ছুটি শেষে আজ বুধবার ১৪ আগস্ট থেকে অফিস খুলছে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট থেকে আবারও টানা তিনদিন সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই অনেকেই বুধবার ১৪ আগস্ট ছুটি নিয়েছেন। ফলে তাদের ছুটিটা বেশ লম্বাই হচ্ছে, টানা ৯দিন।
আজ ফিরতি বাস-লঞ্চ-ট্রেনে যাত্রীদের চাপ নেই। অবশ্য বাড়তি ছুটি থাকার পরও কেউ কেউ বিড়াম্বনা এড়াতে আগেভাগেই ঢাকায় ফিরেছেন।
এদিকে ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আজ বুধবার প্রথম কর্মদিবস। আজ থেকে সচিবালয়, অফিস, আদালত ও ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদিও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। কাল থেকে যেহেতু আবার ছুটি, তাই অফিস আদালত জমতে জমতে আগামী সপ্তাহ লাগবে। আগামী রোববার থেকেই অফিসপাড়া আবার কর্মচঞ্চল হচ্ছে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজ সচিবালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায় সচিবালয়ে উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন অনেকেই একদিনের ছুটি ম্যানেজ করে বাড়ি চলে গেছে। তারা হয়তো আগামী সপ্তাহে অফিস করবেন।
জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থানরত মন্ত্রী ও সচিবরা আজ কর্মস্থলে যোগদান করবেন। যদিও সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তারা সচিবালয়ে আসেননি। এরই মধ্যে পৌঁছে গেছেন অনেকে। অফিস আদালতে এখন হালকা কাজের চাপ, চলছে সহকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
৩০ মার্চ রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনী চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ওপর বোমা বর্ষণ করে। স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্মীরা নিরাপদ স্থানে চলে যান। সেখানে থাকা মুক্তিযোদ্ধারাও পিছু হটে যান। বোমাবর্ষণের আগে সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবারও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও সাহায্য দিতে বিশ্বের গণতান্ত্রিক সরকার ও জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আবেদন জানানো হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম শহরেও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর কামান দিয়ে বোমা বর্ষণ করে। রাতে নগরীর আশপাশে ছত্রীসেনা নামায় তারা। ভোর পর্যন্ত ইপিআর সদস্যদের সমন্বয়ে গড়া মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানিদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে।
২৭ মার্চ বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকা থেকে বের করে দিলেও কৌশলে থেকে গিয়েছিলেন ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদক সাইমন ড্রিং। তিনি ঢাকায় পাকিস্তানের সেনাদের হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ দেখতে পান। ব্যাংককে গিয়েই তিনি তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন লেখেন। ৩০ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন থেকেই বিশ্ববাসী প্রথম বিশদভাবে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা সম্পর্কে জানতে পারে। প্রতিবেদনটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'বিদ্রোহ দমনে পাকিস্তানে ট্যাংক আক্রমণ: ৭,০০০ নিহত, ঘরবাড়ি ভস্মীভূত'।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা এখন ধ্বংস ও আতঙ্কের নগরী। ২৩ ঘণ্টা ধরে অবিরাম শেল বর্ষণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঠান্ডা মাথায় সাত হাজারের বেশি লোককে হত্যা করেছে। সেনা অভিযানে ঢাকাসহ সব মিলিয়ে ১৫ হাজার লোক নিহত হয়েছেন। সাইমন ড্রিং লেখেন, সেনাবাহিনীই প্রধান জনপদগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। সেনাবাহিনী এখতে গুলি চালাচ্ছে এবং নির্বিচার দালানকোঠা দাংস করা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা ও ধংংসযজ্ঞ নিয়ে এই দিল দ্য নিউইয়র্ক টাইকও পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁতীবাজার ও শাঁখারীবাজার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সেনাবাহিনী দেশজুড়ে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করছে এ কুষ্টিয়ায় যুদ্ধ চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন বাঙালি সেনা কর্মকর্তা মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। কুষ্টিয়ায় অবস্থান নেওয়া পাকিস্তানি সেনাদলকে আক্রমণের জন্য ২৭ মার্চ ইপিআরের ফিলিপনগর কোম্পানি কুষ্টিয়া শহরের সুনির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হয়েছিল। দলটির নেতা ছিলেন বাঙালি সুবেদার মুজাফফর আহমেদ (পরে অনারারি লেফটেন্যান্ট)।
২৮ মার্চ দুপুর ১২টার মধ্যে সীমান্তে নিয়োজিত ইপিআরের সব কোম্পানি সমবেত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। একটি কোম্পানি সেনা ঝিনাইদহে যশোর-ঝিনাইদহ রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আরেক কোম্পানি সেনা বিকেলে ক্যাপ্টেন এ আর আজম চৌধুরীর (বীর বিক্রম, পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা-পোড়াদহ কাঁচা রাস্তা দিয়ে পোড়াদহে যায়। পরিকল্পনা ছিল, আক্রমণ হবে একই সময়ে তিন দিক থেকে। আক্রমণের সময় ছিল ২৯ মার্চ ভোর চারটা। সব আয়োজন শেষ হওয়ার পরও পরিকল্পনা পাল্টে আক্রমণের নতুন সময় স্থির করা হয় ৩০ মার্চ ভোর চারটা।
৩০ মার্চ ভোর চারটায় মুক্তিবাহিনী তিন দিক থেকে কুষ্টিয়া আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনারা হকচকিত হয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক তুমুল যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা পুলিশ লাইনস ও ওয়্যারলেস কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তানি সেনারা অস্ত্রশস্ত্র ফেলে জিলা স্কুলের দিকে তাদের সদর দপ্তরে পালিয়ে যায়। কিছু পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। জিলা স্কুল এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়া গোটা শহর মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিপর্যয় উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ব্যাটালিয়ন তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এই দিন বড় রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। ব্যাটালিয়নের তরুণ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রফিক সরকার তখন ছিলেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে। রফিক সরকার এক দিন আগে জানতে পেরেছিলেন, ৩০ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সামরিক কনভয় রংপুর থেকে বগুড়ার উদ্দেশে যাত্রা করবে। তিনি এক প্লাটুন সেনা নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বেলা তিনটার দিকে কনভয়টিকে অ্যামবুশ করেন। দুই পক্ষে প্রচন্ড তবি বিনিময় হয়। রফিক সরকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হন। পাকিস্তানিরা তাঁকে রংপুর সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচারের পর ১ এপ্রিল তাঁকে হত্যা করে। সৈয়দপুর সেনানিবাসে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মিরাজুল ইসলামকে রংপুর সেনানিবাসে ডেকে নেওয়া হয়। ৩০ মার্চ রংপুর সেনানিবাসে পৌছানোমার ১০ জন বাঙালি সৈনিকসহ তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এত বিপর্যয়ের পরেও এই দিন দিবাগত রাতে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সেনারা ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেনের (বীর প্রতীক, স্বাধীনতার পর মেজর জেনারেল) নেতৃত্বে সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
যশোরে প্রথম ইস্ট বেঙ্গলের বিদ্রোহ
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ব্যাটালিয়ন প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অর্ধেক বাঙালি সেনা মহড়া শেষে ২৯ মার্চ গভীর রাতে যশোর সেনানিবাসে ফিরেছিল। বাকি অর্ধেক ছিল ছুটিতে। ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলেন বাঙালি লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল জলিল। কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম, পরে মেজর, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী) এবং লেফটেন্যান্ট আনোয়ার হোসেন (বীর উত্তম) ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন পাকিস্তানি। প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলে মহড়ায় থাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের খবর তাঁরা পাননি। সেনানিবাসে ফেরার পর ৩০ মার্চ তাঁদের প্রায় নিরস্ত্র করা হয়। তাঁরা লক্ষ করেন, নিরন্ত্র অবস্থায় তাঁদের ঘিরে রেখেছে পশ্চিম পাকিস্তানের সশস্ত্র সেনারা। তাঁদের বুঝতে বাকি থাকে না, কী ঘটতে চলেছে। রেজাউল জলিল কোনো সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে বাঙালি সেনারা হাফিজ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করেন। তাঁরা অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে গুলিবর্ষণ করতে করতে যশোর সেনানিবাস ছেড়ে আসেন। এই সময় পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে লেফটেন্যান্ট আনোয়ারসহ বহু বাঙালি সেনা শহীদ ও আহত হন। আর প্রায় ২০০ জন বাঙালি সেনা বেরিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
সূত্র: ১. বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, দ্য টেলিগ্রাফ, নিউইয়র্ক টাইমস, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ
মন্তব্য করুন
সেন্টমার্টিন মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে। যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।
যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।
মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।
দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৩০ মার্চ রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনী চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ওপর বোমা বর্ষণ করে। স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্মীরা নিরাপদ স্থানে চলে যান। সেখানে থাকা মুক্তিযোদ্ধারাও পিছু হটে যান। বোমাবর্ষণের আগে সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবারও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও সাহায্য দিতে বিশ্বের গণতান্ত্রিক সরকার ও জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আবেদন জানানো হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম শহরেও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর কামান দিয়ে বোমা বর্ষণ করে। রাতে নগরীর আশপাশে ছত্রীসেনা নামায় তারা। ভোর পর্যন্ত ইপিআর সদস্যদের সমন্বয়ে গড়া মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানিদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে।
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। ২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।