ইনসাইড বাংলাদেশ

নগরীতে ফিরছে মানুষ, ফাঁকা অফিসপাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

দেখতে দেখতেই শেষ হলো ঈদের ছুটি। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ কাটানোর পর নগরীতে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। বাস, ট্রেন, লঞ্চে যে নগরীতে ফিরছেন তারা। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ফেরার এ যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে ঢাকায় ফেরার চাপ এখনো যথেষ্ট কম। এদিকে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে একটানা বৃষ্টি।

ঈদের ছুটি শেষে আজ বুধবার ১৪ আগস্ট থেকে অফিস খুলছে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট থেকে আবারও টানা তিনদিন সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই অনেকেই বুধবার ১৪ আগস্ট ছুটি নিয়েছেন। ফলে তাদের ছুটিটা বেশ লম্বাই হচ্ছে, টানা ৯দিন।

আজ ফিরতি বাস-লঞ্চ-ট্রেনে যাত্রীদের চাপ নেই। অবশ্য বাড়তি ছুটি থাকার পরও কেউ কেউ বিড়াম্বনা এড়াতে আগেভাগেই ঢাকায় ফিরেছেন।

এদিকে ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আজ বুধবার প্রথম কর্মদিবস। আজ থেকে সচিবালয়, অফিস, আদালত ও ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদিও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। কাল থেকে যেহেতু আবার ছুটি, তাই অফিস আদালত জমতে জমতে আগামী সপ্তাহ লাগবে। আগামী রোববার থেকেই অফিসপাড়া আবার কর্মচঞ্চল হচ্ছে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আজ সচিবালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায় সচিবালয়ে উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন অনেকেই একদিনের ছুটি ম্যানেজ করে বাড়ি চলে গেছে। তারা হয়তো আগামী সপ্তাহে অফিস করবেন।

জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থানরত মন্ত্রী ও সচিবরা আজ কর্মস্থলে যোগদান করবেন। যদিও সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তারা সচিবালয়ে আসেননি। এরই মধ্যে পৌঁছে গেছেন অনেকে। অফিস আদালতে এখন হালকা কাজের চাপ, চলছে সহকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

৩০ মার্চ রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনী চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ওপর বোমা বর্ষণ করে। স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্মীরা নিরাপদ স্থানে চলে যান। সেখানে থাকা মুক্তিযোদ্ধারাও পিছু হটে যান। বোমাবর্ষণের আগে সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবারও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও সাহায্য দিতে বিশ্বের গণতান্ত্রিক সরকার ও জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আবেদন জানানো হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম শহরেও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর কামান দিয়ে বোমা বর্ষণ করে। রাতে নগরীর আশপাশে ছত্রীসেনা নামায় তারা। ভোর পর্যন্ত ইপিআর সদস্যদের সমন্বয়ে গড়া মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানিদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে।

২৭ মার্চ বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকা থেকে বের করে দিলেও কৌশলে থেকে গিয়েছিলেন ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদক সাইমন ড্রিং। তিনি ঢাকায় পাকিস্তানের সেনাদের হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ দেখতে পান। ব্যাংককে গিয়েই তিনি তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন লেখেন। ৩০ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন থেকেই বিশ্ববাসী প্রথম বিশদভাবে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা সম্পর্কে জানতে পারে। প্রতিবেদনটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'বিদ্রোহ দমনে পাকিস্তানে ট্যাংক আক্রমণ: ৭,০০০ নিহত, ঘরবাড়ি ভস্মীভূত'।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা এখন ধ্বংস ও আতঙ্কের নগরী। ২৩ ঘণ্টা ধরে অবিরাম শেল বর্ষণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঠান্ডা মাথায় সাত হাজারের বেশি লোককে হত্যা করেছে। সেনা অভিযানে ঢাকাসহ সব মিলিয়ে ১৫ হাজার লোক নিহত হয়েছেন। সাইমন ড্রিং লেখেন, সেনাবাহিনীই প্রধান জনপদগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। সেনাবাহিনী এখতে গুলি চালাচ্ছে এবং নির্বিচার দালানকোঠা দাংস করা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা ও ধংংসযজ্ঞ নিয়ে এই দিল দ্য নিউইয়র্ক টাইকও পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁতীবাজার ও শাঁখারীবাজার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সেনাবাহিনী দেশজুড়ে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করছে এ কুষ্টিয়ায় যুদ্ধ চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন বাঙালি সেনা কর্মকর্তা মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। কুষ্টিয়ায় অবস্থান নেওয়া পাকিস্তানি সেনাদলকে আক্রমণের জন্য ২৭ মার্চ ইপিআরের ফিলিপনগর কোম্পানি কুষ্টিয়া শহরের সুনির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হয়েছিল। দলটির নেতা ছিলেন বাঙালি সুবেদার মুজাফফর আহমেদ (পরে অনারারি লেফটেন্যান্ট)।

২৮ মার্চ দুপুর ১২টার মধ্যে সীমান্তে নিয়োজিত ইপিআরের সব কোম্পানি সমবেত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। একটি কোম্পানি সেনা ঝিনাইদহে যশোর-ঝিনাইদহ রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আরেক কোম্পানি সেনা বিকেলে ক্যাপ্টেন এ আর আজম চৌধুরীর (বীর বিক্রম, পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা-পোড়াদহ কাঁচা রাস্তা দিয়ে পোড়াদহে যায়। পরিকল্পনা ছিল, আক্রমণ হবে একই সময়ে তিন দিক থেকে। আক্রমণের সময় ছিল ২৯ মার্চ ভোর চারটা। সব আয়োজন শেষ হওয়ার পরও পরিকল্পনা পাল্টে আক্রমণের নতুন সময় স্থির করা হয় ৩০ মার্চ ভোর চারটা।

৩০ মার্চ ভোর চারটায় মুক্তিবাহিনী তিন দিক থেকে কুষ্টিয়া আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনারা হকচকিত হয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক তুমুল যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা পুলিশ লাইনস ও ওয়্যারলেস কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তানি সেনারা অস্ত্রশস্ত্র ফেলে জিলা স্কুলের দিকে তাদের সদর দপ্তরে পালিয়ে যায়। কিছু পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। জিলা স্কুল এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়া গোটা শহর মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিপর্যয় উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ব্যাটালিয়ন তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এই দিন বড় রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। ব্যাটালিয়নের তরুণ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রফিক সরকার তখন ছিলেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে। রফিক সরকার এক দিন আগে জানতে পেরেছিলেন, ৩০ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সামরিক কনভয় রংপুর থেকে বগুড়ার উদ্দেশে যাত্রা করবে। তিনি এক প্লাটুন সেনা নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বেলা তিনটার দিকে কনভয়টিকে অ্যামবুশ করেন। দুই পক্ষে প্রচন্ড তবি বিনিময় হয়। রফিক সরকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হন। পাকিস্তানিরা তাঁকে রংপুর সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচারের পর ১ এপ্রিল তাঁকে হত্যা করে। সৈয়দপুর সেনানিবাসে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মিরাজুল ইসলামকে রংপুর সেনানিবাসে ডেকে নেওয়া হয়। ৩০ মার্চ রংপুর সেনানিবাসে পৌছানোমার ১০ জন বাঙালি সৈনিকসহ তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এত বিপর্যয়ের পরেও এই দিন দিবাগত রাতে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সেনারা ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেনের (বীর প্রতীক, স্বাধীনতার পর মেজর জেনারেল) নেতৃত্বে সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

যশোরে প্রথম ইস্ট বেঙ্গলের বিদ্রোহ

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ব্যাটালিয়ন প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অর্ধেক বাঙালি সেনা মহড়া শেষে ২৯ মার্চ গভীর রাতে যশোর সেনানিবাসে ফিরেছিল। বাকি অর্ধেক ছিল ছুটিতে। ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলেন বাঙালি লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল জলিল। কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম, পরে মেজর, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী) এবং লেফটেন্যান্ট আনোয়ার হোসেন (বীর উত্তম) ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন পাকিস্তানি। প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলে মহড়ায় থাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের খবর তাঁরা পাননি। সেনানিবাসে ফেরার পর ৩০ মার্চ তাঁদের প্রায় নিরস্ত্র করা হয়। তাঁরা লক্ষ করেন, নিরন্ত্র অবস্থায় তাঁদের ঘিরে রেখেছে পশ্চিম পাকিস্তানের সশস্ত্র সেনারা। তাঁদের বুঝতে বাকি থাকে না, কী ঘটতে চলেছে। রেজাউল জলিল কোনো সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে বাঙালি সেনারা হাফিজ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করেন। তাঁরা অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে গুলিবর্ষণ করতে করতে যশোর সেনানিবাস ছেড়ে আসেন। এই সময় পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে লেফটেন্যান্ট আনোয়ারসহ বহু বাঙালি সেনা শহীদ ও আহত হন। আর প্রায় ২০০ জন বাঙালি সেনা বেরিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।


সূত্র: ১. বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, দ্য টেলিগ্রাফ, নিউইয়র্ক টাইমস, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ


৩০ মার্চ ১৯৭১   মুক্তিযোদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেন্টমার্টিনের ওপারে মর্টারশেল বিস্ফোরণ, আতঙ্কে বাসিন্দারা

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে আবারও আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের মধ্যে। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাখাইনের মংডু টাউনশিপের দক্ষিণের গ্রাম হাস্যুরাতে অন্তত ৪০টি মর্টারশেলের বিস্ফোরণ হয়েছে। 

এর আগে গত ১০-১২ দিন ধরে রাতের বেলায় উত্তরের কয়েকটি গ্রামে মর্টারশেল ও শক্তিশালী গ্রেনেড-বোমার বিস্ফোরণ ঘটে আসছিল। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল গণমাধ্যমকে জানান, তিনি বিকেল পর্যন্ত ৪০টির বেশি মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। বিস্ফোরণের কারণে দ্বীপে প্রবল কম্পন দেখা দেয়, যা ভূমিকম্পের সময়েও হয় না। এ সময় আতঙ্কে দ্বীপের মানুষেরা ছোটাছুটি শুরু করেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আমি জেনেছি হাস্যুরাতে আরাকান আর্মির অবস্থানে সরকারি বাহিনী হামলা শুরু করেছে। বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমারের জলসীমানায় সেদেশের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজও অবস্থান নিয়েছে। সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে দাঁড়িয়ে হাস্যুরাতের দৃশ্য খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে।

সেন্টমার্টিনের এক বাসিন্দা বলেন, শুক্রবার দুপুরে সবচেয়ে বেশি মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল সেন্টমার্টিন দ্বীপেই মর্টারশেল এসে পড়েছে।

এই বিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুক্রবার সকালে শাহপরীর দ্বীপের বিপরীতে নাফ নদীর মিয়ানমার জলসীমায় একটি বড় জাহাজের অবস্থান দেখা গেছে। দুপুরের আগেই জাহাজটি সেখান থেকে দক্ষিণে সরে গিয়ে সেন্টমার্টিনের বিপরীতে অবস্থান নেয়। 

তিনি আরও বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।


সেন্টমার্টিন   মিয়ানমার   রাখাইন রাজ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধুখালীতে এতিমদের সাথে ইফতার করলেন মৎস্য মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়ায় এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ অসহায় লোকজনের সাথে ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এমপি। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) মধুখালীর নিজ গ্রাম কামালদিয়া খেলার মাঠে কামালদিয়া ও কয়েসদিয়া এতিমখানা-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ শতাধিক স্থানীয় অসহায় লোকজন ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। 

এ সময় মন্ত্রী আব্দুর রহমানকে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ লোকজনকে ইফতার বিতরণ করতে দেখা যায়। 



ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম  (পিপিএম), মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুল হক অনিক, বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াসমিন, মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও বোয়ালমারী অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদেরকে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।

ফরিদপুর   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমেছে মুঠোফোনের ব্যবহার, অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেটের বাইরে

প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।

২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।

বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে।  যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।

যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।

দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।

মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়।  কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।

দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে। 


মুঠোফোন   ইন্টারনেট   আইসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’

স্থানীয় লোকজন ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন না তিনি।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত ভূমি সহকারী আবদুল কাদিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সহকারী কমিশনার।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন