ইনসাইড বাংলাদেশ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: দণ্ডিতরা কে কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় মোট ৪৯ জন আসামি ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এছাড়া তারেক রহমান এবং হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জনকে মামলার নথিতে পলাতক দেখানো হয়েছে।

বাকি তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা কে কোথায়?

তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় একযুগ যাবত লন্ডনে অবস্থান করছেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাঁকে যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে তাকে ‘পলাতক’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। অর্থ পাচার এবং দুর্নীতির মামলায় এরই মধ্যে তাঁর সাজা হয়েছে।

লুৎফুজ্জামান বাবর

বিএনপি সরকারের সময় তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর বাবরকে আটক করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে আছে। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও এরই মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবরকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

আব্দুস সালাম পিন্টু

বিএনপি সরকারের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন আব্দুস সালাম পিন্টু। এছাড়া তখন তিনি টাঙ্গাইল জেলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপমন্ত্রী থাকলেও তারেক রহমানের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে জানা যায়। গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বর্তমানে তিনি জেলেই আছেন।

আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামী। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়। 

মুফতি হান্নান

উগ্র ইসলামপন্থী দল হরকাতুল জিহাদের নেতা ছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলার মূল আসামী। তাঁর স্বীকারোক্তির মাধ্যমেই গ্রেনেড হামলা মামলায় মোড় ঘুরে যায় বলে জানান রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা। মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির পর তারেক রহমান এবং লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অনেককেই এ মামলার আসামী করা হয়। সিলেটে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সালে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সে গ্রেনেড হামলায় ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী আহত হয়েছিলেন। এছাড়া আরো কয়েকটি বোমা হামলার সাথে জড়িত ছিল এ জঙ্গি নেতা।

তাজুল ইসলাম

তিনি মাওলানা তাজউদ্দীন হিসেবে পরিচিত। বিএনপি সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু তার ভাই। গ্রেনেড হামলার পর তাকে ভুয়া পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন বলে জানা যায়। গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

হারিছ চৌধুরী

বিএনপি সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। তৎকালীন সরকারে যাদের প্রভাব অনেক বেশি ছিল হারিছ চৌধুরী তাদের মধ্যে অন্যতম। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন শাস্তি দেয়া হয়েছে। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান হারিছ। বর্তমানে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নয়। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশে আসা যাওয়া করছেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন।

মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী

বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর তাকে আটক করা হয়। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিজিএফআই-এর প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী। তৎকালীন প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা বা এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক। গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসামী। মামলার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এরই মধ্যে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক এ কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার ভাগ্নে। এ মামলায় দীর্ঘ সময় তিনি জামিনে থাকলেও এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন।

শহুদুল হক

আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সময় পুলিশ প্রধান ছিলেন শহুদুল হক। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার। গ্রেনেড হামলা হওয়ার পর তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্র পক্ষ। কারণ, হামলার পর ঘটনাস্থল একবারও পরিদর্শন করেননি তিনি। শহুদুল হক এক সময় সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর শহুদুল হককে পুলিশ প্রধানের পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। বিএনপি সরকারের সময় পুলিশ প্রধান পদে খুব বেশি দিন থাকতে পারেননি তিনি। আদালত অবমাননার দায়ে তাকে সে পদ ছাড়তে হয়েছিল। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ এক বছর আট মাস পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন শহুদুল হক।

মোহাম্মদ আশরাফুল হুদা

গ্রেনেড হামলার সময় আশরাফুল হুদা ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ চার মাসেরও কম সময় পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন আশরাফুল হুদা। মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

খোদাবক্স চৌধুরী

গ্রেনেড হামলার সময় অতিরিক্ত পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন খোদাবক্স চৌধুরী। পরবর্তীতে তিনি পুলিশ প্রধান হয়েছেন। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ

বিএনপির টিকিটে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। মামলার অভিযোগপত্রে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। ধারনা করা হয়, তিনি সৌদি আরবে পলাতক আছেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন আমেরিকায়

বিএনপি সরকারের সময় তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিজিএফআই-এর দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি ছিলেন। পরবর্তীতে সেনা-সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি ডিজিএফআই-এর প্রধান হয়েছিলেন। সে সরকারের মেয়াদ শেষ হলে তিনি আমেরিকায় চলে যান। মামলার কাগজপত্রে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। 

লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। 

সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সাবেক সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান এবং এএসপি আব্দুর রশিদ বর্তমানে কারাগারে আছেন। এ তিনজন বিএনপি সরকারের সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন।

গ্রেনেড হামলা মামলার আরেক আসামী হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ পলাতক রয়েছেন। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিখোঁজ কেএনএফ প্রধানের স্ত্রী লালসমকিম

প্রকাশ: ০৯:৩৬ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতিকাণ্ডের পর নতুন করে আলোচনার খাতা খোলেন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান নাথান বম। নিরুদ্দেশ তিনি। ভারতের মিজোরাম, নাকি ইউরোপের কোনো দেশে রয়েছেন তিনি তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে এবার নাথানের স্ত্রী লালসমকিম বমেরও মিলছে না খোঁজ।

লালসমকিম সরকারি হাসপাতালের সেবিকা (নার্স) হওয়ায় তার নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। গেল ৮ এপ্রিল রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছিল।

তবে বদলির ১৪ দিন পার হলেও হদিস নেই নাথানের স্ত্রীর। গতকাল পর্যন্ত লালমনিরহাটেও যোগ দেননি তিনি। রুমায় তার বাড়িতে নেই লালসমকিম।

স্থানীয়রা জানায়, লালমনিরহাটে বদলির আদেশের পর থেকেই লাপাত্তা লালসমকিম। রুমা সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাসাতেও থাকছেন না তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি আত্মগোপনে গেছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে আলোচনা।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, লালসমকিমকে না পেয়ে তার তাৎক্ষণিক বদলির অনুলিপি বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। সাধারণত এ ধরনের আদেশের পর জিনিসপত্র গুছিয়ে নতুন বদলির জায়গায় যোগ দিতে ছয় দিন সময় পান। যেদিন লালসমকিমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে, সেদিন থেকে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর থাকার সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। 


লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রমজান আলী বলেন, নাথানের স্ত্রীর বদলির তথ্য আমরা জেনেছি। তবে তিনি এখনও যোগ দেননি। কেন এত দিনেও নতুন কর্মস্থলে আসছেন না, সেটিও মৌখিক বা লিখিতভাবে জানাননি।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নাথান বমের স্ত্রী ও আরেক নার্স দীপালি বাড়ৈর সঙ্গে কেএনএফের যোগাযোগ আছে কি না এমন সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে কেউ কেউ শঙ্কা করছেন, কেএনএফের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের তথ্য পাচার হওয়া নিয়ে। এর আগেও লালসমকিম বমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তিনি তখন দাবি করেছিলেন, কয়েক বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই। 

র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। তবে নাথান বমের স্ত্রী কোথায় আছেন, সেটি জানা নেই। 

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, নাথানের স্ত্রীর হদিস পাচ্ছি না। তিনি বাড়িতে নেই, এটা জেনেছি। নাথানের অবস্থান নিয়েও স্পষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।

রুমা সদর ইউনিয়নের ইডেনপাড়ার বাসিন্দা মৃত জাওতন লনচেওর ছেলে নাথান বম। তার বাবা ছিলেন জুমচাষি। মা মৃত রৌকিল বম। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে নাথান ছোট। অভাব-অনটনের মধ্যে বড় হয়েছেন নাথান। তার দুই ভাই জুম চাষ করেন। নাথানের এক ভাই রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আরেক ভাই অর্থ পাচারের মামলায় রাঙামাটি কারাগারে।

১৯৯৬ সালে নাথান বম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। ওই বছরই ঢাবির প্রাক্তন উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বান্দরবান সফরে গিয়ে খিয়াং, লুসাই, ম্রো, বম জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিশ্রুতি দেন। তাই পরীক্ষায় পাস না করলেও নাথান চারুকলা অনুষদে ভর্তির সুযোগ পান। 

বান্দরবানে ডাকাতির পর সরকারের উচ্চ পর্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নাথানকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হবে। এ ব্যাপারে গতকাল পর্যন্ত নোটিশ পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদরদপ্তরের ইন্টারপোলের শাখা কার্যালয় ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) এআইজি আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, নাথান বমের ব্যাপারে যে সংস্থা তদন্ত করছে, তাদের কাছ থেকে আবেদন এলেই সেটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলে পাঠানো হবে। আমরা এখনও সে ধরনের চিঠি পাইনি।

এদিকে কেএনএফ তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে দাবি করে, ‘রাষ্ট্র বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থা কেএনএফের প্রধান নাথান বমকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী লালসমকিম বমকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল। যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর নাথানের স্ত্রী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পাড়াবাসী তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। লালসমকিম কোথায় আছেন, সে ব্যাপারে কেএনএফের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের কাছে এখনও কোনো তথ্য আসেনি।’

কেএনএফ ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে। পরের দিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে তারা। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা সমন্বিত অভিযান চালান। অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বান্দরবানের রুমায় কেএনএফ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনের কথা চাউর হয় ২০২২ সালের শুরুর দিকে। বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রোদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও সেখানে বম জনগোষ্ঠীর কিছু সংখ্যক লোক রয়েছে। এ কারণে সংগঠনটি পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।

কেএনএফের ফেসবুক পেজে তারা জানায়, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাইছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলীকদমসহ ৯ উপজেলা নিয়ে ‘কুকি-চিন রাজ্য’ হিসেবে গঠন করা হবে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আতঙ্কে সে সময় ভারতের মিজোরামে পালিয়ে আশ্রয় নেয় পাঁচ শতাধিক বম নারী-পুরুষ।

সশস্ত্র সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয় বলে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র‍্যাব। 


নিখোঁজ   কেএনএফ   ব্যাংক ডাকাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার রাজধানীতে 'হিটস্ট্রোকে' যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর ডেমরার আমিন বাগে মেহেদী হাসান (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে চিকিৎসকের ধারণা, মেহেদী হাসান হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

নিহত মেহেদী হাসান ডেমরার ইষ্টার্ন হাউজিং বাঁশের পোল আমিন বাগের জুয়ের মণ্ডলের একমাত্র ছেলে।

নিহতের খালা ইসরাত জাহান জানান, বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল মেহেদী। মা বাবার ইচ্ছায় মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করে সে। আগামী শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এরই মধ্যে আজ দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে হঠাৎ সে গরমে অস্থির হয়ে বেশ কয়েকবার বমি করে। পরে দ্রুত তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আজ রাতের দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান মেহেদী আর বেঁচে নেই। 

তিনি আরও জানান, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে জ্যামে পড়ে আমার কোলেই গরমে অচেতন হয়ে পড়ে আমার বোনের ছেলে মেহেদী। আমি সবই চেয়ে চেয়ে দেখলাম, আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমরা বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।


হিটস্ট্রোক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার প্রচারে আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর হিমু রঙিন পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। এতে ‍উপজেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে এই উপজেলায়। কিন্তু তার আগেই পছন্দের টিউওবয়েল প্রতীক ছাপিয়ে তার ফেসবুকে প্রচারণা শুরু করেছেন ওই নেতা। হুমায়ুন কবীর হিমু শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির এমন কাজে নিয়ে অন্য প্রার্থীরা অসেন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, নিজের আধিপত্য নিশ্চিত করতে ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতেই আগেভাগেই প্রচার চালাচ্ছেন আ.লীগ নেতা হিমু। এটা নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন।

এই নেতার ফেসবুকে শেয়ারে দেখা গেছে টিউওবয়েল (পানির কল) প্রতীক সংবলিত একটি রঙিন পোস্টার। এবং শেয়ার করে দোয়া চেয়েছেন। সেখানে তারও একটি রঙিন ছবি সংযোজন করা আছে।

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ভাইস চেয়ারম্যাট পদে দোয়া চাই ভোট চাই।’ আর তার শেয়ার করা প্রতীকসংবলিত পোস্টারে লেখা আছে, আমি আপনাদেরই লোক আমাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন’।

নির্বাচনী অফিস সূত্র বলছে, আগামী দুই মে প্রতীক বরাদ্দ পাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। যদি একই প্রতীক একাধিক প্রার্থীর পছন্দ থাকে তাহলে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে।

এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দীন বলেন, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি কে কোন প্রতীক পাবে? একই প্রতীক একাধিক প্রার্থীর পছন্দ থাকতে পারে। এতে একটা বিভ্রাট তৈরি হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির হিমুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কি আইন আছে তা জানি না। পরে নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আল নোমান বলেন, ‘তিনি এটা করতে পারবেন না। এটা আইনে নেই। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।


আওয়ামী লীগ নেতা   প্রতীক বরাদ্দ   প্রচার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরের দুই ভাই হত্যায় জড়িতদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৯ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পিটিয়ে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি। 

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে নিহতদের বাড়ি নওপাড়ার চোপেরঘাট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। পঞ্চপল্লীতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এবং মৎস্য মন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আশ্বাস দেন দুইমন্ত্রী।

পরিদর্শনকালে মৎস্য মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘যেভাবে তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে তা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে’।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা করে যারাই এই শান্তিপূর্ণ এলাকাকে অশান্ত করেছে। তাদের আইনের মাধ্যমে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে’। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ, মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, ইউএনও মামনুন আহমেদ অনীক প্রমুখ।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরে বিদেশ সফর শেষে ঢাকা থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান সরাসরি মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামে ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে নিহত আশরাফুল ও আসাদুলের বাড়িতে যান। মন্ত্রী তাদের মা-বাবাসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান। এসময় তিনি নিহতদের পরিবারের এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের আশ্বাস দেন।


ফরিদপুর   দুই ভাই হত্যা   প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএমপির দুই পদে ৪ জনের বদলি

প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার দুই জন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিএমপি হাবিবুর রহমানের সই করা অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে উল্লিখিত স্থানে বদলি অথবা পদায়ন করা হলো। এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ডিএমপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন