নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩২ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৯
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরণের লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপনের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। পেমেন্ট গেটওয়ে চালু হলে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ ভূমি সেবায় একটি নতুন দিগন্ত শুরু হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে a2i এর সহযোগিতায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় ভূমি ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিন দিন ব্যাপী ‘ই-নামজারি সঞ্জীবনী কর্মশালা` এর দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান কালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, পেমেন্ট গেটওয়ে লেনদেনকে নির্ভরযোগ্য করে তোলার জন্য কার্যকর ও সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম।
উপস্থিত কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী সরকারি জমি উদ্ধারে আরও তৎপর হবার নির্দেশ প্রদান করেন। সরকারি জমি অবৈধ দখলকে ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে বিচার করার আইন প্রস্তুত করার কাজও চলছে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন দুর্নীতির কারণে আমরা আমাদের যথার্থ জায়গায় পৌছাতে পারিনি। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসাথে কাজ করে যেতে মন্ত্রী সবাইকে আহবান জানান। নিজ উদ্যোগে যেসব কর্মকর্তা ভূমি সেবা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন মন্ত্রী তাঁদের প্রশংসা করেন এবং অন্যদেরও এমন করতে উৎসাহ প্রদান করেন।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব),উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কানুনগো, সার্ভেয়ার, অফিস সহকারী, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করছেন। আজ কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরতগণ।
এর আগে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের তিনজন কর্মকর্তা তাদের বক্তব্যে নিজ অভিজ্ঞতা ও ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী এর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সেলিম রেজা, স্থানীয় সরকার পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী এবং এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ডঃ মোঃ আব্দুল মান্নান।
মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে যে সকল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ সম্পদ ব্যক্তির সাথে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করা, এবং সেইসাথে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান বের করার চেষ্টা করাই সঞ্জীবনী কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। ‘ই-নামজারি’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (www.land.gov.bd) একটি অংশ।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।