ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রিসভায় রদবদল কবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ০৪ জুন, ২০১৭


Thumbnail

মন্ত্রিসভায় একটি রদবদল হবে- এমন কথা শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। তবে তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে গত ৮ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায়। মন্ত্রিসভায় এই রদবদল ঈদের আগে নাকি পরে হচ্ছে?

সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীরা ঈদে সাধারণত সরকারের সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরবেন ভোটারদের কাছে। তবুও তাদেরকে কাছে পেয়ে কিছু নেতিবাচক বিষয়ও ভোটাররা সামনে আনতে পারেন এই সময়। এগুলোর মধ্যে প্রাধান্য পেতে পারে চলতি বাজেট প্রস্তাব। বিশেষ করে ভ্যাট ও আবগারী শুল্ক নিয়ে। তাছাড়া আরও কিছু বিষয়ও সামনে আসতে পারে এ সময়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি ও রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নারী নিপীড়নের ঘটনা। এবং সর্বোপরি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডও সামনে আসবে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে। যা সরকারের ইতিবাচক কাজগুলোকে ভোটারদের সামনে পিছু টানতে পারে।

ঈদে ভোটারদের সামনে শতভাগ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হলেও তা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে চায় সরকার তথা আওয়ামী লীগ। সেজন্যে অন্তত সমালোচিত মন্ত্রীদের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা ঈদের আগেই নেয়ার যুক্তি দেখাচ্ছেন শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ। তবে এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ যাবেন কম, রদবদলই হবে বেশি বলে জানা গেছে।

আবার শীর্ষ নেতাদের কারও মতে, এখনই পরিবর্তন আনলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীরা সানন্দে ঈদ করতে পারবেন না। তাই এই পরিবর্তন ঈদের পরে আনাই উচিত বলে মত তাদের। তবে ঈদের পরে হলেও তা খুব বেশি সময় নেয়া হবে না বলেও জানা গেছে। কারণ আগস্ট মাসে সাধারণত মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না।

তবে কেবল নেতিবাচক নয়। এই রদবদলে ইতিবাচক পরিবর্তনও আসতে পারে মন্ত্রিসভায়। জানা গেছে, একাধিক নতুন মন্ত্রীও আসতে পারে এতে। দায়িত্ব পরিবর্তন হবে একাধিক মন্ত্রীর।

এছাড়া দুই-একজন প্রতিমন্ত্রীকে কাজের ইতিবাচক স্বীকৃতি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীও করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আবার নেতিবাচক ভাবমূর্তির কারণে মন্ত্রীদের মতো একাধিক প্রতিমন্ত্রীও বাদ পড়তে পারেন এবারের রদবদলে ।

বর্তমান সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন বলে মাঝেমধ্যেই কথা ওঠে। সরকার শপথ নেয়ার পর থেকে বহুবার এই কথা উঠলেও আসলেই তারা পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত করবেন, তাও এই রদবদলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এদিকে রদবদল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যেসব মন্ত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রী সামছুর রহমান শরীফ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ সায়েদুল হক ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে মন্ত্রণালয় নিয়ে সর্বশেষ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে সাম্প্রতিক আগাম বন্যার সময়। ওই সময় হাওরাঞ্চলের মানুষের আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে কৃষকদের সচেতন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। পারলে কৃষক হয়ত আগেই কিছু ফসল হলেও কেটে ঘরে তুলতে পারত।

তাছাড়া নারয়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার অন্যতম প্রধান আসামি তারেক সাঈদ তাঁর জামাতা। এই নিয়েও বিব্রত হতে হয়েছে সরকারকে। তাছাড়া মন্ত্রীর ছেলেকে নিয়েও বিভিন্ন সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে সরকারকে। ২০১১ সালে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর ছেলে দীপু চৌধুরীকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম আমলে দীপু চৌধুরীর নানা অপকর্মের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।

সম্প্রতি সরকার বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফকে নিয়েও। সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে মন্ত্রীর ছেলেকে কারাগারে যেতে হয়েছে। মন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ জনকে কয়েকদিন আগে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৯ এপ্রিল তারা দুইটি বাড়ি ও তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ভূমি বেদখলের অভিযোগ আছে। চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কমিউনিটি সেন্টার সংক্রান্ত ওই বিষয়ে গত বছর এপ্রিলের দিকে সরকারকে বেশ বিব্রত হতে হয়। তাছাড়া সৌদি আরবে কর্মী যেতে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও ৭-৮ লাখ টাকা খরচ হয় বলে অভিযোগ আছে। বহুদিনপর সৌদি আরবে শ্রম বাজার খুললেও এই বিষয়ে সমালোচনায় পড়তে হয় সরকারকে।

মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের কারণে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘরে মৌলবাদীরা আগুন দিয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। ওই সময় মন্ত্রী সংখ্যালঘুদের ‘মালাউন’ বলে গালি দিয়েছিলেন বলেও আছে অভিযোগ। এ কারণে সরকারকে কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে।

ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে হজ অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সময়ে মসজিদ-মন্দিরে বরাদ্দ দেয়া সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে। বিশেষ করে গত দুবারই হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে তাঁর মন্ত্রণালয়। এবারও সমস্যা সমাধানে আগাম তেমন কোন প্রস্তুতি না থাকায় এই ব্যর্থতার হ্যাটট্রিক হতে পারে বলে মনে করছেন অংশীজনেরা (স্টেকহোল্ডাররা)।

তাছাড়া মন্ত্রীপুত্র মুহিত উর রহমান মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ দেখভাল করেন বলে অভিযোগ আছে। প্রধানত হজযাত্রীদের সরকারি তালিকা তৈরি, তাদের ব্যাগ তৈরি, পূজা ও ঈদের বিশেষ বরাদ্দ বণ্টনে তিনি প্রভাব রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় এ যাবত তিনবার রদবদল হয়েছে। এরমধ্যে প্রথমবার রদবদল হয়েছিল শপথ গ্রহণের মাস দেড়েক পর ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে (এমএইচ মাহমুদ আলী) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং নজরুল ইসলামকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

প্রায় দেড় বছর পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রীসভায় যোগ হন নতুন পাঁচ জন। তাদের মধ্যে ওইদিন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। একই দিন মন্ত্রী হিসেবে আরও শপথ নেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তারানা হালিম (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) এবং নুরুজ্জামান আহমেদ (খাদ্য)।

মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদল হয় ২০১৫ সালের ৯ জুলাই। চমকপ্রদ ওই রদবদলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই দিন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বদলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। এক সপ্তাহ পর সৈয়দ আশরাফ পান তার নতুন মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন